সন্ধান করুন

শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

লিভার ক্যান্সার (Carcinoma Hepatitis)

লিভার ক্যান্সার (Carcinoma Hepatitis)

লপভারে বিভিন্ন প্রকারের ক্যান্সার হয়, যেমনঃ

১। কার্সিনোমা ফ্যাসিকুলেটাম (Carcinoma faciculatum)
এই ধরনের সমস্যা খুব কম দেখা যায়। লাল হলুদ মিশ্রিত কাচের মত স্বচ্ছ একটা ট্রান্সপারেন্ট ম্যাস তার উপর ফাইব্রাস টিস্যুরর দ্বারা আবৃত এই কয়টি লক্ষণের সাহায্যে উক্ত রোগ নির্ণয় করা হয়।

২। এলভিওলার ক্যান্সার (Alveolar cancer)
এই র্রগ প্রায় দেখা যায়না। জেলিমণ্ডলের মত একপ্রকার পদার্থ এরিওলাটিস্যুর মধ্যে জন্মায় এবং পোর্টাল ভেইন যেখানে শাখা বিস্তার করেছে, তার চারপাশেই হয়।

৩। মেডুলার বা এনকেফালয়েড ক্যান্সার (Medullar or Encephaloid Cancer)
এই প্রকারের ক্যান্সারই বেশিরভাগ হয়ে থাকে। এটা সাদা রংএর এবং এর মধ্যে চর্বির মত পদার্থ থাকে। কখনও রক্তের মিশ্রণ থাকলে লাল বর্ণ দেখায় এবং কখনও পিগমেন্টের মিশ্রণ থাকায় কাল বর্ণের দেখা যায়। লিভার পরীক্ষায় - উপর থেকে এবড়ো-থেবড়ো অসমান গাঁট গাঁট হয় এবং তাতে হাত দিলে খুব শক্ত বোঝা যায়। এরমধ্যে সামান্য ফ্লাচুয়েসন বা তরল পদার্থের সঞ্চালন পাওয়া যায়। এই ক্যান্সার আকারে কখনও খুব দ্রুত আবার কখনও ধীরে ধীরে বাড়ে।

লিভার ক্যান্সারের কারণঃ

এই কঠিন রোগের কারণ কি তা সঠিক ভাবে বলা কঠিন, তবে লিভারে কোনও রোগ প্রথমে দেখা দেবার পর এই রোগ দেখা দিতে পারে। কিন্তু সাধারণতঃ এটা শরীরের অন্য কোনও অংশে ক্যান্সার হতেই প্রয়ই লিভারে ক্যান্সার হয় বলে ধারণা। ৫০ থেকে ৬০ বছরের আগে এই রোগ প্রায়ই দেখা যায়না।

লিভার ক্যান্সারের লক্ষণঃ

* লিভার বড় হয়ে যায় এবং এবড়ো-থেবড়ো ও অসমভাব দেখা যায়।
* লিভারের স্থানে বেদনা প্রচন্ড স্পর্শকাতর।
* জণ্ডিস দেখা দেয়। শরীর শুকিয়ে যায় এবং সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম আঁশের মত পদার্থ শরির থেকে উঠে যায়।
* ক্যান্সার বড় হলে তার চাপে লিভারের ধমনীতে রক্ত চলাচলে বাধা পায়, যেকারনেই শরীর ফুলে পরে জেনারেল ড্রপসি (General dropsy) হয়।
* গরহজম ও অ্যাসিডিটি প্রকাশ পায়।
* প্লীহা বাড়ে না।
* অধিক জ্বর থাকে না, জ্বর বেশি হলে বুঝতে হবে যে, এর সাথে আরও রোগ যুক্ত হয়েছে।
* রক্তস্রাব দেখা হয়।
* প্রস্রাবের কিছু না কিছু গোলযোগ থাকে।

রোগ নির্বাচন

এই রোগে যদি রোগের প্রথমাবস্থায় প্রধান লক্ষণ লিভারের আকার খুব বড় ও এবড়ো থেবড়ো না হয়, তাহলে রোগ নির্বাচন করা কঠিন হয়ে যায় এবং নিম্নলিখিত রোগের সাথে ভ্রম হতে পারেঃ

(ক) কোলয়েড লিভার (Colloid Liver) - এতে রুগীর গর্ম্মী পীড়া এবং এলবুমেনুরিয়া থাকে।
(খ) ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) - এই রোগে রুগীর টিউবার্কুলসিস বা অতিরিক্ত ভোজনের ইতিহাস পাওয়া যাবে।
(গ) গর্ম্মীদোষজনিত লিভারের প্রদাহ (Syphilitic inflamation of the liver) - রুগীর ধাতুগত সিফিলিসের দোষ থাকলে হয়।
(ঘ) নাটমেগ লিভার (Nutmeg Liver) - এই রোগে লিভার খুব শক্ত হয় এই রোগ শুরুর আগে হার্ট অথবা ফুসফুসের কোনও রোগ থাকে।

              তাই রুগির মাঝে উপরের কারনগুলো না পেলে এবং শরীরের অন্য কোন স্থানে ক্যানসার হবার পরে লিভার আক্রান্ত হলে বঝতে হবে লিভার ক্যানসার হয়েছে। তবে সংখ্যায় কখনও কখনও টিউবারকুলসিস, হার্টের কোনও অর্গানিক রো, টাইফয়েড জ্বর, ইত্যাদি রোগের লক্ষণরূপেও হতে পারে। কিন্তু এরকম সংখ্যায় খু্ কমই হয়।

                               চিকিৎসা

লিভার ক্যানসারে সাধারণতঃ আর্সেনিক, কষ্টিকাম, কার্ব-এনিমেলিস, কোনিয়ম, হাইড্রাষ্টিস ক্যান, লাইকোপডিয়ম, সিপিয়া, সাইলিশিয়া, কোলোষ্টেরিণাম প্রভৃতি ঔষধ ব্যবহৃত হয়।

-------------------------------------------------------------------

চিকিৎসার জন্য যোগাযোগের ঠিকানাঃ

ডাঃ মোঃ আতাউর রহমান।
ডি,এইচ,এম,এস (রংপুর), বি.এইচ.বি (ঢাকা)।
১৫+ বছরের অভিজ্ঞ , ক্রনিক ও পুরাতন রোগের সফল চিকিৎসক।

চেম্বারঃ-
সাদিক হোমিও হল,
মুন্সিরহাট বাজার (অগ্রণী ব্যাঙ্কের নীচতলা), সদর জেলা ঠাকুরগাঁও।
মোবাইলঃ নং – 01916–133246 ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন