এই পোস্টটি শুধুমাত্র হোমিও চিকিৎসকের জন্য।
* কষ্টিকাম (Causticum) ঔষধটিকে কখনও ফসফরাসের (Phosphorus) আগে বা পরে ব্যবহার করবেন না।
* বিশেষত Sulphur, Silicea, Psorinum, Phosphorus, Lachesis, Kali carb, Graphities, Carcinosinum, Zincum নামক ঔষধগুলি ভুলেও উচ্চশক্তিতে খাবেন না। কেননা এতে রোগ বেড়ে যেতে পারে মারাত্মকভাবে এবং তাছাড়াও অন্য ধরণের বিরাট ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এজন্য প্রথমে নিম্নশক্তিতে (৩০, ২০০) ব্যবহার করে উপকৃত হলেই কেবল প্রয়োজনে উচ্চশক্তিতে প্রয়োগ করতে পারেন।
* লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium) নিম্নশক্তিতে দীর্র্ঘদিন ভুল প্রয়োগে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি মৃত্যু পযর্ন্ত হতে পারে।
* হ্যানিম্যানের মতে, সালফারের (Sulphur) পূর্বে ক্যালকেরিয়া কার্ব (Calcarea Carbonica) ব্যবহার করা উচিত নয়। (এতে শরীর মারাত্মক দুর্বল হয়ে যেতে পারে।)
* ক্যাল্কেরিয়া কার্ব (Calcarea Carbonica) এবং ব্রায়োনিয়া (Bryonia alba) শত্রুভাবাপন্ন (inimical) ঔষধ। কাজেই এই দুটিকে কাছাকাছি সময়ে একটির আগে বা পরে অন্যটিকে ব্যবহার করা নিষেধ।
* মার্ক সল (Mercurius solbulis) এবং সিলিশিয়া (Silicea) ঔষধ দুটির একটিকে অপরটি (কাছাকাছি সময়) আগে বা পরে ব্যবহার করা উচিত নয়।
* জ্বরের উচ্চ তাপের সময় নেট্রাম মিউর (Natrum mur) ঔষধটি প্রয়োগ করা নিষেধ।
* ক্যাল্কেরিয়া কার্ব (Calcarea Carbonica) ঔষধটি সালফার বা নাইট্রিক এসিডের (Nitricum acidum) পূর্বে ব্যবহার করা নিষেধ।
* লিডাম (Ledum) খেয়ে সৃষ্ট দুর্বলতার চিকিৎসায় চায়না ব্যবহার করা ক্ষতিকর।
* ক্যাল্কেরিয়া কার্ব (Calcarea Carbonica) এবং ব্রায়োনিয়া (Bryonia) শত্রুভাবাপন্ন (inimical) ঔষধ। কাজেই এই দুটিকে কাছাকাছি সময়ে একটির আগে বা পরে অন্যটিকে ব্যবহার করা নিষেধ।
* কোন রোগীর যদি নিদ্রাহীনতা থাকে, তবে তাকে রাতের বেলা সালফার (Sulphur) দিতে পারেন। পক্ষান্তরে যেই রোগী ভালো ঘুমায়, তাকে সকাল বেলায় সালফার খাওয়ানো উচিত। কেননা রাতের বেলা সালফার দিলে তার ঘুমে অসুবিধা হতে পারে। নাক্স ভমিকা (Nux vomica) রাতে এবং সালফার সকালে দিতে পারেন যদি তাদের সম্পূরক (complementary) ক্রিয়া প্রত্যাশা করেন।
* বাম ফুসফুসের ব্যথায় ফসফরাস (Phosphorus) ঔষধটি ঘন ঘন প্রয়োগ করা বিপজ্জনক। কেননা এতে রোগীর তাড়াতাড়ি যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
* মেডোরিনাম (Medorrhinum) ঔষধটি হৃরোগীদেরকে কখনও উচ্চশক্তিতে দিতে নাই। এতে করে তার হৃদরোগ বৃদ্ধি পেয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে। প্রথমে ২০০ শক্তিতে প্রয়োগ করে তারপর সহ্য শক্তি অনুযায়ী উপরের শক্তি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
* কলিনসোনিয়া ক্যান (Collinsonia canadensis) ঔষধটি হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে কখনও নিম্নশক্তিতে প্রয়োগ করতে নাই।
* Apis, Lac defloratum, Gossipium, Pulsatilla, Pinus lamb, Viscum album
ইত্যাদি ঔষধ গর্ভবতীদের দেওয়া নিষেধ। কেননা এতে গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে।
* সিলিশিয়া (Silicea) ঔষধটি কারো কোন অপারেশনের ছয়মাসের মধ্যে ব্যবহার নিষিদ্ধ। অন্যথায় সেখানে ঘা/পূঁজ হয়ে জোড়া ছুটে যেতে পারে।
* কয়েকদিন যাবত অচেতন রোগীদেরকে জিংকাম মেট (Zincum metallicum) দিতে হয়। কিন্তু ভুলেও এক মাত্রার বেশী দিবেন না।
* জর্জ ভিথুলকাসের মতে, কোন রোগীর মধ্যে যদি কোন একটি ঔষধের ১০০ ভাগ লক্ষণ পাওয়া যায়, তবে সেই রোগীকে সেই ঔষধটি নিম্নশক্তিতে খাওয়ানো তাকে হত্যা করার সমতুল্য। ভিথুলকাসের এই কথাটি যে কতো ভয়ংকর একটি সত্য, তা আমি নিজের অভিজ্ঞতায় প্রমাণ পেয়েছি। তখন আমি হোমিওপ্যাথিতে নতুন, ভিথুলকাসের এই থিওরীটাও জানতাম না। আমার ওয়াইফের জন্মগতভাবেই মাসিকে বেশী রক্তক্ষরণ হইত এবং মাসিক প্রায় ৮-১০ দিন চলত। আমি অনেক ভেবে দেখলাম, ক্রিয়োজোটাম ঔষধটির সাথে তার সব লক্ষণ মিলে যায়। হাতের কাছে ৬ শক্তির ক্রিয়োজোটামের একটি শিশি ছিল, তা থেকে ৫টি বড়ি খাইয়ে দিলাম। সেই বার তার পিরিয়ড হয়েছিল প্রায় বিশ দিন এবং এতো বেশী ব্লিডিং হয়েছিল যে, অল্পের জন্য সে প্রাণে বেঁচে গেছে । অত্যধিক রক্তক্ষরণের ফলে তার শরীর একেবারে মরা মানুষের মতো সাদা হয়ে গিয়েছিল।
অনেক রকমের ঔষধ-এন্টিডোট খাইয়েও ক্রিয়োজোটের একশান বন্ধ করতে ১০-১৫ দিন লেগে যায় । শেষ পর্যন্ত হয়ত অপারেশান করে তার জরায়ু কেটে ফেলে দিতে হইত। কাজেই আপনার রোগীর লক্ষণের সাথে যদি আপনার নির্বাচিত ঔষধটির লক্ষণ যদি অনেক মিল থাকে, তবে ভূলেও ৩০ শক্তির নীচে প্রয়োগ করবেন না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন