সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

পুরুষের যৌনরোগে হোমিওপ্যাথি

পুরুষের যৌনরোগে হোমিওপ্যাথি

সংখ্যায় বেশি পুরুষের যৌনরোগ দেখতে পাওয়া যায়। যেমন বীর্যপাতলা হয়ে যাওয়া সহসায় বীর্য পতন স্বপ্নদোষ আরও নানা সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। পুরুষের রোগগুলোর মধ্যে স্বপ্নদোষ বা রাত্রে নিদ্রাকালে অসাড়ে বীর্যপাত ঘটে এই সমস্যাগুলো বিরক্তিকর, ক্ষতিকারক।

স্বপ্নদোষ কি ও কেন :

শরীরে যখন যৌবনের আগমন ঘটে এবং পুরুষ অল্পবিস্তার কামতাড়ির হয় তখন এমন হইতে দেখা যায়। খুব স্বাভাবিক কারণে অর্থাৎ প্রকৃতির নিয়েমেও কখনো কখনো অসারে বীর্যপাত হয়ে যায়। এই সমস্যাটি ততটা
খারাপ ও ক্ষতিকারক নহে। কিন্তু ঘনঘন এমনটা হইতে থাকলে চিকিৎসার প্রয়োজন বলে মনে করতে হবে। অল্প কথায় বেলা যেতে পারে, পুরুষ ঘুমে স্বপ্নে বাসনাত্মক স্বপ্ন দেখতে পায়। সেই স্বপ্ন্রে শেষ পরিণতি স্বপ্নদোষ।

<a href="http://homeotreatment24.files.wordpress.com/2015/09/wpid-wp-1443543099866.jpeg"><img title="wp-1443543099866" class="alignnone size-full" alt="image" src="http://homeotreatment24.files.wordpress.com/2015/09/wpid-wp-1443543099866.jpeg" /></a>

কারণঃ

স্বপ্নদোষের মূলকারণ অশ্লীল ও খারাপ চিন্তা-ভাবনা তাই এই সমস্যার চিকিৎসা হিসাবে ওষুধের চেয়ে বেশি প্রয়োজন মানসিক সংযম। কখনো কোনভাবে খারাপ চিন্তা মনে না আসে সে দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। সুতারাং স্বপ্নদোষ হতে রক্ষা পেতে হলে প্রত্যেক রোগীকে সচেতন হতে হবে। অশ্লীল চিন্তা, অশ্লীল পত্র-পত্রিকা পড়াসহ অশ্লীল সিনেমা দেখা কুঅভ্যাস ত্যাগ করতে পারলেই বিনা ওষুধে সমস্যা মিটে যায়।

পুরুষের যৌন দুর্বলতাঃ

আমরা সকলেই জানি যৌন জীবন বা যৌন মিলন শুধু সন্তান জন্ম দেওয়া নয়। এক স্বর্গীয় আনন্দদায়ক ক্রিয়া। কিন্তু কোন কারণবশত এই অপার আনন্দ প্রাপ্তিতে কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় তখন মানুষ অত্যন্ত নিরাশ ও ব্যথিত হয়। এই ক্ষেত্রে শুধু তারাই নয়। তাদের দাম্পত্য জীবনেই বিষময় হয়ে পড়ে এই সকল সমস্যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পুরুষত্বহীন, ধাতু্স্রাব, স্বপ্নদোষ, শুক্রতারল্য, বদঅভ্যাস, শীঘ্র পতন ইত্যাদি।

এছাড়া মিলনের ইচ্ছা থাকলেও প্রিয়তমা স্ত্রী পাশে থাকা সত্ত্বেও যৌনঙ্গের দুর্বলতার কারণে মিলনের অক্ষমতা প্রকাশ করেন পুরুষের এই সকল সমস্যার মূলে রোগী নিজেই। প্রথমতঃ যৌবনের পদার্পণ সময় থেকে বিবাহের পূর্ব মুহূত্ব পর্যন্ত মন মানসিকতা ভাল রাখা একান্ত জরুরি। খারাপ চিন্তা, খারাপ অভ্যাস সব বর্জন করে ভাল মনের মানুষরূপে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে তাই প্রয়োজন ধর্মীয় বিষয় চিন্তা- চেতনাকে মনে জাগ্রত করতে হবে-যেই ব্যক্তি যেই ধর্মের অনুসারী সেই হিসাবে নিজেকে নিজের চরিত্রকে গঠন করতে হবে। তাহলে সব কর্মে প্রকৃত সুখ আশা করা যাবে। রোগ হলে ওষুধের প্রয়োজন। ওষুধও আপনাকে সেবন করতে হবে।

তাই বলবো সঠিক চিকিৎসা পেতে হলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন হোমিও চিকিৎসা সব ধরনের সমস্যা সমাধানের একমাত্র ব্যবস্থা তাই আপনি সঠিক চিকিৎসার জন্য একজন অভিজ্ঞ হোমিপ্যাথি ডাক্তার খুঁজে নিন আপনার সমস্যার কথাগুলো গোপন না রেখে বলুন। রোগ লক্ষণ ওষুধের লক্ষণ সব মিলিয়ে সঠিক ওষুধ নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় মাত্রায় হোমিও ওষুধ সেবনে আপনি নিশ্চয় সুচিকিৎসা পাবেন।

শীতকালীন সাইনোসাইটিসে হোমিওপ্যাথি

শীতকালীন সাইনোসাইটিসে হোমিওপ্যাথি

নাক, কান ও গলা- এ তিনটি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। শীতের কারণে যে কোনোএকটি
আক্রান্ত হলে পুরো শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। নাকের পলিপাস এক বা উভয় নাকেরভেতর হতে পারে। প্রথমে তা দেখতে মটরশুঁটির মতো হয়। আস্তে আস্তে বড় হয়েনাসিকার ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় ন্যাজাল পলিপাস থেকে রক্ত বের হতেদেখা যায়। নাকের পলিপাস দেখতে আঙুরের মতো। নাসারন্ধ্রের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিথেকে উদ্ভেদ হয়। এ রোগের লক্ষণে নাসারন্ধ্রের অস্বাভাবিক আকৃতি পরিলক্ষিতহয়। এটি নাসিকা প্রদাহ বৃদ্ধির কারণে হতে পারে। এটি মহিলাদের তুলনায়পুরুষদের অধিক হতে দেখা যায়। অনেক সময় বংশানুক্রমিকও হতে পারে। নাসারন্ধ্রেপ্রায় সময় নরম, নীল বর্ণ, মসৃণ শ্বেতময় ও পুঁজময় ক্ষত হতে দেখা যায়। নাকেরছিদ্র বন্ধ হলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে হয়। রক্তে সিরাম আইজিয়েরপরিমাণ বেড়ে গেলে ঠান্ডা, সর্দি, হাঁচি-কাশি ও নাক দিয়ে টপ টপ করে পানিপড়তে পারে। নাকের ভেতরের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিগুলোতে অ্যালার্জিক প্রদাহ সৃষ্টিহয় এবং ঝিলল থেকে আস্তে আস্তে এক ধরনের মাংসপিন্ডের আবির্ভাব হয়, যাদেখতে আঙুরের মতো। এ ধরনের সমস্যাকে নাকের পলিপাস বলে।

<a href="http://homeotreatment24.files.wordpress.com/2015/09/wpid-wp-1443541572801.jpeg"><img title="wp-1443541572801" class="alignnone size-full" alt="image" src="http://homeotreatment24.files.wordpress.com/2015/09/wpid-wp-1443541572801.jpeg" /></a>

বারবারহাঁচি, নাক দিয়ে টপ টপ করে পানি ঝরে, নাক বন্ধ থাকে, নাক দিয়ে নিঃশ্বাসনিতে কষ্ট হয়। অনেক সময় মাথাব্যথা হয়, নাক ও কানে চুলকায়, নাকে ব্যথা ওস্মৃতিশক্তি কমে যায় এবং মুখ হা করে নিঃশ্বাস নিতে হয়।

পলিপাস ওসাইনোসাইটিস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর রোগ নির্ণয় করে উপযুক্ত লক্ষণ ওসমস্যা সংগ্রহ করে হোমিও চিকিৎসা নিলে অপারেশন ছাড়াই নাকের পলিপাস ওসাইনোসাইটিসের যন্ত্রণা থেকে বিনাকষ্টে অতি সহজে মুক্তি পাওয়া যাবে।

সতর্কতা :
সাইনোসাইটিস ও পলিপাসের রোগীকে সব সময় অ্যালার্জিজাতীয় খাবার, ঠান্ডা ওধুলাবালু থেকে দূরে থাকতে হবে। যথাসময় পলিপাসের চিকিৎসা না নিলে পরবর্তীসময়ে সাইনাসে ইনফেকশন হয়ে সাইনোসাইটিস ও অ্যাজমা দেখা দিতে পারে।

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

টনসিল প্রদাহ, কারণ, লক্ষণ, জটিলতা, এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ( Tonsillitis, Causes, Symptoms, Complications, and Homeopathy treatment )

টনসিল প্রদাহ, কারণ, লক্ষণ, জটিলতা, এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ( Tonsillitis, Causes, Symptoms, Complications, and Homeopathy treatment )

টনসিল হচ্ছে দুটি লিম্ফ নোড যা মুখের পিছনে এবং গলার উপর দিকে অবস্থিত । এর কাজ হলো রোগ প্রতিরোধ করা। এরা ব্যকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবানুকে বের করে দিয়ে দেহকে সক্রমণের হাত থেকে প্রতিরোধ করে।

কারণঃ

যথারীতি ব্যকটেরিয়া (স্ট্রেপটোকক্কাস) অথবা ভাইরাস।

ঝুঁকিসমূহঃ

* ডে-কেয়ার সেন্টারের ছোট ছেলেমেয়েরা এবং শিক্ষক উভয় আক্রান্ত হয়
* জনাকীর্ণ স্থানে বসবাস, কাজ, এবং অবস্থান করলে
* ধূমপান
* ডায়াবেটিস এর মত দীর্ঘস্থায়ী অসুখ থাকলে

লক্ষণঃ

সাধারণ লক্ষণ হতে পারেঃ

* গিলতে কষ্ট হয়
* কানে ব্যথা
* জ্বর এবং শীত শীত
* মাথা ব্যথা
* গলায় ক্ষত, যা ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে
* চোঁয়াল এবং গলায় স্পর্শকাতরতা
* গলার দুই পাশের গ্রন্থি বা লিম্ফনোড বড় হয়ে যাওয়া
* গলা সাদা বা হলুদ দাগ থাকতে পারে
* শিশুদের মধ্যে ক্ষিদে না থাকা দেখা দিতে পারে

অন্যান্য সমস্যা বা লক্ষণ দেখা দিতে পারেঃ

* নিশ্বাস নিতে সমস্যা, যদি টনসিল খুব বড় হলে
* খাবার খেতে বা পান করতে সমস্যা

<a href="http://homeotreatment24.files.wordpress.com/2015/09/wpid-wp-1443456740368.jpeg"><img title="wp-1443456740368" class="alignnone size-full" alt="image" src="http://homeotreatment24.files.wordpress.com/2015/09/wpid-wp-1443456740368.jpeg" /></a>

টনসিল প্রদাহের জটিলতাঃ

* দীর্ঘস্থায়ী টনসিল প্রদাহ
* দীর্ঘস্থায়ী উপরের শ্বাসনালী বাধা ঘুমের মধ্যে শ্বাস কষ্ট বা ঘুমের ব্যঘাত ঘটাতে পারে
* নিদ্রাহীনতা বা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে
* খেতে বা গিলতে সমস্যা
* কথা বার্তায় অস্বাভাবিকতা
* কানের প্রদাহ
* হার্টের কপাটিকার রোগ
* ফোঁড়া
* গ্লোমেরুনেফ্রাইটিস বা কিডনি প্রদাহ
* ব্যাকটেরিয়াল এন্ডোকার্ডাইটিস, এছাড়াও স্কারলেট জ্বর, বাতজ্বর, এবং হৃদরোগও হতে পারে। টনসিল প্রদাহ নির্ণয়ঃ
* গলা কালচার করলে সংক্রমনকারী জীবাণু সম্পর্কে জানা পারে।
* CBC তে সাধারণত শ্বেত রক্ত কণিকা বাড়া প্রকাশ পায়।
* বায়োপসি করে ফোড়া থেকে সেলুলিটিস পার্থক্য করা যায়।

টনসিল প্রদাহের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ

হোমিওপ্যাথি সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকিৎসা ব্যবস্থা। বিবিসি তথ্য মতে, দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সম্পূর্ণ লক্ষণ সংগ্রহের মাধ্যমে, স্বতন্ত্র ঔষধ নির্বাচন করে অবশ্যই টনসিল প্রদাহ আরোগ্য করা সম্ভব। সঠিক চিকিৎসার জন্য রোগীর অবশ্যই একজন যোগ্য (বিএইচএমএস ডিগ্রী সম্পন্ন) ও দক্ষ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারে সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। টনসিল প্রদাহ আরোগ্য করে এমন কিছু সহায়ক হোমিওপ্যাথিক ওষুধের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নে দেওয়া হলোঃ

Baryta Carb - প্রত্যেকবার ঠান্ডার পর টনসিল প্রদাহ হয়; গিলতে গেলে গলায় অস্বস্থি অনুভব হয়। কঠিন বস্তু গ্রাস করার সময় এবং খালি গিলতে গেলে অনেক কষ্ট হয়, গলায় প্লাগের মত বেদনা অনুভূত হয়। টনসিল পাকার ঝোঁক থাকে, বিশেষভাবে ডান টনসিল। টনসিল ধীর্ঘস্থায়ীভাবে শক্ত বা কঠিনভাবে থাকতে পারে।

Belladonna - টনসিল প্রদাহ, অংশবিশেষ উজ্জ্বল লাল থাকে। গিলার সময় মনে হয় গলা খুবই সরু হয়ে গেছে। রক্ত সঞ্চয়ের লক্ষণ। তরল খাবার খেতেই বেশী খারাপ অবস্থা হয়। ডান টনসিল সবচেয়ে আক্রান্ত হয়।

Alumen - টনসিল প্রদাহ হওয়ার প্রবণতা, গলা এবং গলা শ্লেষ্মা; কথা বলা এবং তরল খাবার গ্রহনের সময় গলা ক্ষত এবং শুষ্ক হয়; গলার উভয় পাশে খুবই শুষ্কতা অনুভব করে।

Hepar Sulph - শুনাতে সমস্যা সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী টনসিল; গলায় মাছের কাঁটা থাকার মত অনুভূতি; গলা সেলাই মত অনুভূতি, যা কান পর্যন্ত বিস্তৃত।

Calcaria Phos - মধ্যকর্ণের প্রদাহসহ দীর্ঘস্থায়ী টনসিল প্রদাহ; গলা ব্যাথা গিলার সময় অনেক বৃদ্ধি পায়।

Calcaria Carb - ভালভ বড় হয় এবং টনসিল প্রদাহ হয়; গিলার সময় মনে হয় গলা সংকুচিত হয়েছে। ব্যথা গলা থেকে কান পর্যন্ত বিস্তৃত।

Baryta Iod - টনসিল বড় হয়; দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্ধন এবং টনসিলের কঠিনীভাব তৈরী হয়; লিম্ফনোড বা লসিকানালী গ্রন্থি ফোলা, এটা প্রায়ই পুঁজ তৈরীতে বাধা দেয়।

Apis Mel - গিলতে সময় কাঁটাবিধামত ব্যথা জ্বালা; মুখ এবং গলায় শুষ্কতা; লাল এবং টনসিলে অনেক প্রদাহ; তাপ বা গরম পানীয়ে বাড়ে, ঠান্ডা বা ঠান্ডা পানীয়ে ভাল অনুভব করে।

Silicea - গভীর ক্ষত, এমনকি পচা ঘাঁ বা গ্যাংগ্রিন হয়; টনসিল ফুলে গলাধকরণে বাধা তৈরী করে; টনসিল প্রদাহ, গ্রন্থিতে পুঁজ তৈরী হয়, যা সহজে আরোগ্য হয় না; গলায় পিন থাকার মত অনুভূতি, যা গলা কাশি ঘটায়; গলার বাম পাশে বেশি ঘটে।

Lachesis - টনসিল প্রদাহের জন্য অনেক ভালো ওষুধ; টনসিলে পুঁজ তৈরী হয়; টনসিল ফোলে যায়, ডান পাশের প্রদাহ প্রবণতার সঙ্গে বাম পাশের টনসিলে অনেক বাড়ে; গলাধ:করণে অক্ষমতা, সজোরে দমবন্ধ হয়ে যায়।

Lac can - টনসিল প্রদাহ, ক্ষত বা কালশিটে খুবই উজ্জল জ্বলজ্বলে, গলার এতো কাছে চলে আসে যাতে গলা বন্ধ হয়ে যায়; পূঁজ তৈরী হয় ডানে থেকে বামের টনসিলে, বা এপাশ ওপাশ পরিবর্তন, বা উভয় টনসিল সমানভাবে প্রভাবিত; গোটা গলার পিছনের অংশ ফোলে যায়।

Psorinum - টনসিল প্রদাহ, সাব ম্যাক্সিলারী গ্রন্থি বা উপ চোয়াল গ্রন্থি ফোলে; গলা জ্বলে, মনে হয় গলা পুড়ে গেছে এমন অনুভূতি, লালা গিলতেও গেলেও ব্যাথা, ডান পাশের টনসিলে আলসার বা ক্ষত, কণ্ঠ জ্বলার সঙ্গে গভীরে অনেক ব্যথা।

বিস্তরিত তথ্য অথবা চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করুনঃ
ডাঃ মোঃ আতাউর রহমান
D.H.M.S (Rangpur), B.H.B (Dhaka)

চেম্বারঃ
সাদিক হোমিও হল;
মুন্সিরহাট বাজার (অগ্রণী ব্যাঙ্কের নীচতলা);
সদর জেলা- ঠাকুরগাঁও।
মোবাইলঃ 01916133246

বিঃদ্রঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করিবেন না। হিতে বিপদ হতে পারে। সকল কিছুর মালিক আল্লাহ।

রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

♦♦♦দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ করতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

♦♦♦দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ করতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

দ্রুত বীর্যপাতেরই আরেক নাম ইংরেজিতে প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন। মাঝে মধ্যে অনেক পুরুষকেই দেখা যায় যৌনমিলনের সময় নিজেদের অথবা তাদের যৌনসঙ্গিনীর চাহিদার তুলনায় দ্রুত বীর্যপাত করে ফেলেন। যদি এটা কদাচিৎ ঘটে তাহলে তেমন সতর্ক হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু যদি নিয়মিত আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর ইচ্ছার চেয়ে দ্রুত বীর্যপাত ঘটে অর্থাৎ যৌনসঙ্গম শুরু করার আগেই কিংবা যৌনসঙ্গম শুরুর একটু পরে আপনার বীর্যপাত ঘটে যায়- তাহলে বুঝতে হবে আপনার যে সমস্যাটি হচ্ছে তার নাম প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন একটি সাধারণ যৌনগত সমস্যা। পরিসংখ্যানে ভিন্নতা রয়েছে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, প্রতি তিনজন পুরুষের মধ্যে একজন এ সমস্যায় আক্রান্ত হন। যদিও এটি একটি সাধারণ সমস্যা, যার চিকিৎসা রয়েছে; কিন্তু অনেক পুরুষ এ বিষয়ে তাদের চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে কিংবা চিকিৎসা নিতে সঙ্কোচ বোধ করেন।

একসময়ে ধারণা করা হতো, প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন বা দ্রুত বীর্যপাতের কারণ হলো সম্পূর্ণ মানসিক; কিন্তু বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, দ্রুত বীর্যপাতের ক্ষেত্রে শারীরিক বিষয়গুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে দ্রুত বীর্যপাতের সাথে পুরুষত্বহীনতার সম্পর্ক রয়েছে। আপনি আর দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা নিয়ে জীবন কাটাবেন না। বর্তমানে অনেক চিকিৎসা বেরিয়েছে- যেমন, বিভিন্ন ওষুধ, মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সেলিং ও বিভিন্ন যৌনপদ্ধতির শিক্ষা। এগুলো বীর্যপাতকে বিলম্ব করে আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর যৌনজীবনকে মধুর করে তুলবে। অনেক পুরুষের ক্ষেত্রে সমন্বিত চিকিৎসা খুব ভালো কাজ করে।

উপসর্গঃ-

একজন পুরুষ বীর্যপাত করতে কতটা সময় নেবেন সে ব্যাপারে চিকিৎসাবিজ্ঞানে কোনো আদর্শ মাপ নেই। দ্রুত বীর্যপাতের প্রাথমিক লক্ষণ হলো নারী-পুরুষ উভয়ের পুলক লাভের আগেই পুরুষটির বীর্যপাত ঘটে যাওয়া। এ সমস্যা সব ধরনের যৌনতার ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। এমনকি হস্তমৈথুনের সময়ও কিংবা শুধু অন্যের সাথে যৌনমিলনের সময়।

প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়-

> প্রাইমারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনঃ এটি হলো আপনি যৌন সক্রিয় হওয়া মাত্রই বীর্যপাত ঘটে যাওয়া।
> সেকেন্ডারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনঃ এ ক্ষেত্রে আগে আপনার যৌনজীবন তৃপ্তিদায়ক ছিল, কিন্তু বর্তমানে দ্রুত বীর্যপাত ঘটছে।

কারণঃ-

কী কারণে দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে তা নিরূপণ করতে বিশেষজ্ঞরা এখন পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একসময় ধারণা করা হতো, এটা সম্পূর্ণ মানসিক ব্যাপার। কিন্তু বর্তমানে আমরা জানি, দ্রুত বীর্যপাত হওয়া একটি জটিল ব্যাপার এবং এর সাথে মানসিক ও জৈবিক দু’টিরই সম্পর্ক রয়েছে।

মানসিক কারণঃ-

কিছু চিকিৎসক বিশ্বাস করেন, প্রাথমিক বয়সে যৌন অভিজ্ঞতা ঘটলে তা এমন একটি ধরনে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, পরবর্তী জীবনে সেটা পরিবর্তন করা কঠিন হতে পারে। যেমন-
1. লোকজনের দৃষ্টি এড়ানোর জন্য তড়িঘড়ি করে চরম পুলকে পৌঁছানোর তাগিদ।
2. অপরাধ বোধ, যার কারণে যৌনক্রিয়ার সময় হঠাৎ করেই বীর্যপাত ঘটে যায়।

অন্য কিছু বিষয়ও আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে-

পুরুষাঙ্গের শিথিলতাঃ-

যেসব পুরুষ যৌনমিলনের সময় তাদের লিঙ্গের উত্থান ঠিকমতো হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন কিংবা কতক্ষণ লিঙ্গ উত্থিত অবস্থায় থাকবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন, সেসব পুরুষের দ্রুত বীর্যস্খলন ঘটে।

দুশ্চিন্তাঃ-

দ্রুত বীর্যপাত হয় এমন অনেক পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের একটি প্রধান কারণ দুশ্চিন্তা। সেটা যৌনকাজ ঠিকমতো সম্পন্ন করতে পারবেন কি না সে বিষয়ে হতে পারে। আবার অন্য কারণেও হতে পারে। বীর্যপাতের আরেকটি প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত উত্তেজনা।

জৈবিক কারণঃ-

বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, কিছুসংখ্যক জৈবিক বা শারীরিক কারণে দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছেঃ
> হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা
> মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান বা নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা
> বীর্যস্খলনব্যবস্থার অস্বাভাবিক ক্রিয়া
> থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
> প্রোস্টেট অথবা মূত্রনালীর প্রদাহ ও সংক্রমণ
> বংশগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য

খুব কম ক্ষেত্রে নিচের কারণগুলোর জন্য দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে-

> সার্জারি কিংবা আঘাতের কারণে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হওয়া।
> নারকোটিকস বা মাদক কিংবা দুশ্চিন্তার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ট্রাইফ্লুপেরাজিন প্রত্যাহার করা এবং অন্য মানসিক সমস্যা থাকা।

যদিও বেশির ভাগ প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনের ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক দু’টি বিষয়ই দায়ী। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে দায়ী হলো শারীরিক কারণ যদি সেটা জীবনভর সমস্যা হয়ে থাকে (প্রাইমারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন)।

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ঃ-
বিভিন্ন বিষয় আপনার দ্রুত বীর্যপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেমন-

পুরুষাঙ্গের শিথিলতাঃ-

যদি আপনার লিঙ্গ ঠিকমতো উত্থিত না হয়, কিংবা মাঝে মাঝে উত্থিত হয় কিংবা উত্থিত হলেও বেশিক্ষন উত্থিত অবস্থায় না থাকে তাহলে আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। যৌনসঙ্গমের সময় আপনার লিঙ্গের উত্থান অবস্থা বেশিক্ষণ থাকবে না, এমন ভয় আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে। প্রতি তিনজন পুরুষের মধ্যে একজনের এ ধরনের লিঙ্গোত্থান সম্পর্কিত দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা থাকে।

স্বাস্থ্য সমস্যাঃ-

যদি আপনার এমন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে যার কারণে আপনি যৌনমিলনের সময় উদ্বেগ অনুভব করেন, উদাহরণস্বরূপ যদি আপনার হৃদরোগ থাকে তাহলে দ্রুত বীর্যপাতের ঘটনা ঘটতে পারে।

মানসিক চাপঃ-
আপনার জীবনে আবেগজনিত কিংবা মানসিক চাপ দ্রুত বীর্যস্খলনের ব্যাপারে ভূমিকা রাখে।

কিছু কিছু ওষুধঃ-
কিছু ওষুধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে দ্রুত বীর্যস্খলন ঘটাতে পারে।

কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেনঃ-

বেশির ভাগ যৌনমিলনের সময় যদি আপনি আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর আকাক্সক্ষার চেয়ে দ্রুত বীর্যপাত করে ফেলেন তাহলে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। আপনার যৌনজীবন মধুর করতে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রোগ নির্ণয়ঃ-

চিকিৎসক আপনার বিস্তারিত যৌন ইতিহাস জেনে তার ওপর ভিত্তি করে দ্রুত বীর্যপাত রোগ নির্ণয় করেন। চিকিৎসক আপনাকে অনেক একান্ত ব্যক্তিগত প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারেন এবং আপনার সঙ্গিনীকেও উপস্থিত থাকতে বলতে পারেন। যদিও সেক্স সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলতে আপনাদের দু’জনেরই অস্বস্তিবোধ হতে পারে তবুও বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে চিকিৎসক আপনার সমস্যার কারণ নিরূপণ করতে সাহায্য করবেন এবং সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা দিতে পারবেন। আপনার চিকিৎসক আপনার স্বাস্থ্যের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চাইতে পারেন। তিনি আপনার সাধারণ শারীরিক পরীক্ষা করতে পারেন।

আপনার চিকিৎসক আপনার কাছে এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইতে পারেনঃ
> কত দ্রুত আপনার বীর্যপাত ঘটে?
> একজন বিশেষ সঙ্গিনীর বেলায় কি আপনার দ্রুত বীর্যপাত হয়?
> আপনি যতবার যৌনমিলন করেন, ততবারই আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটে?
> আপনি কতবার যৌনমিলন করেন?
> দ্রুত বীর্যপাত আপনার যৌন আনন্দ লাভে এবং আপনার সার্বিক জীবনে কতটা বিরূপ প্রভাব ফেলে?
> আপনার লিঙ্গ উত্থান হতে কিংবা দীর্ঘ সময় উত্থান অবস্থায় থাকতে কি সর্বদা সমস্যা হয়?
> আপনি এ সমস্যার জন্য কী কী ওষুধ গ্রহণ করেন?

আপনার দ্রুত বীর্যপাতের কারণ উদঘাটন করতে আপনার কিছু মানসিক বিষয়ও জানা প্রয়োজন। চিকিৎসক আপনার নিম্নোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাইতে পারেনঃ
> আপনার ধর্মীয় শিক্ষাদীক্ষা,
> আপনার প্রাথমিক যৌন অভিজ্ঞতা,
> আপনার অতীত ও বর্তমানের যৌনসম্পর্ক।

আপনার বর্তমান সম্পর্কের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ যদি আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে থাকে, এবং আপনার লিঙ্গোত্থানে সমস্যা হয়, তাহলে আপনার চিকিৎসক আপনার পুরুষ হরমোনের মাত্রা (টেস্টোস্টেরন) দেখার জন্য আপনার রক্ত পরীক্ষাসহ আরো কিছু পরীক্সা করতে দিতে পারেন।

জটিলতাঃ-

যদিও দ্রুত বীর্যপাত আপনার মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ায় না, কিন্তু এটা আপনার ব্যক্তিগত জীবনে ধস নামাতে পারে। যেমন-

সম্পর্কে টানাপড়েনঃ-

দ্রুত বীর্যপাতের সাধারণ জটিলতা হলো যৌনসঙ্গিনীর সাথে সম্পর্কের অবনতি। যদি দ্রুত বীর্যপাতের কারণে আপনার সঙ্গিনীর সাথে মনোমালিন্য চলে, আপনি দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। আপনার চিকিৎসাপদ্ধতির মধ্যে দ্বৈত থেরাপিও থাকবে।

বন্ধ্যত্ব সমস্যাঃ-

দ্রুত বীর্যপাত মাঝে মধ্যে আপনার বন্ধ্যাত্ব ঘটাতে পারে। যেসব দম্পতি সন্তান নেয়ার চেষ্টা করছেন সেটা অসম্ভব হতে পারে। যদি দ্রুত বীর্যপাতের ঠিকমতো চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর দু’জনেরই বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

চিকিৎসা ব্যবস্থাঃ-

দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসাব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে - সেক্সুয়াল থেরাপি, ওষুধপত্র ও সাইকোথেরাপি। অনেক পুরুষের ক্ষেত্রে সমন্বিত চিকিৎসা সবচেয়ে ভালো কাজ করে।

সেক্সুয়াল থেরাপিঃ-

এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক আপনাকে বুঝিয়ে দেবেন যৌনমিলনের সময়।আপনাকে কী করতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যৌনমিলনের এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টা আগে হস্তমৈথুন করতে পরামর্শ দেন অ্যালোপ্যাথ ডাক্তাররা, যাতে যৌনমিলনের সময় দেরি করে বীর্যপাত হয়। যদিও এটি কোন সুষ্ঠু সমাধান নয়। চিকিৎসক আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময় যৌনমিলন থেকে বিরত থাকার কথা বলতে পারেন।

অন্য একটা পদ্ধতি রয়েছে, যা আপনার।চিকিৎসক আপনাকে ও আপনার সঙ্গিনীকে শিখিয়ে দেবেন। এ পদ্ধতি প্রয়োগ করলে কিছুটা আপনার দ্রুত বীর্যপাতের উন্নতি ঘটবে। এ পদ্ধতিকে বলে স্কুইজ পদ্ধতি। এটির চারটি ধাপ রয়েছে, যা আপনার সঙ্গিনী আপনার ওপর প্রয়োগ করবে। এ পদ্ধতি বারবার অনুশীলন করার পর আপনি বীর্যপাত ছাড়াই আপনার সঙ্গিনীর শরীরে প্রবেশ করতে পারবেন। এ পদ্ধতি ভালো করে অনুশীলন করলে ভবিষ্যতে আবার তা অনুশীলন করার প্রয়োজন হবে না। তখন আপনি দেরি করে বীর্যপাত করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন।

ওষুধসমূহঃ-

দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসায় কিছু নির্দিষ্ট অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ও টপিক্যাল অ্যানেসথেটিক ক্রিম ব্যবহার করা হয়। তবে এসব ওষুধ কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়। ওষুধ প্রথমে অল্প মাত্রা দিয়ে শুরু করতে হয়। তবে দ্রুত বীর্যপাত রোধ করতে প্রতিদিন ওষুধের সাহায্য নেবেন না। টপিক্যাল অ্যানেসথেটিক ক্রিম আপনার লিঙ্গের অনুভূতিকে ভোঁতা করে আপনার বীর্যপাত দেরিতে ঘটাতে সাহায্য করে। যৌনমিলনের কিছুটা আগে এসব ক্রিম লিঙ্গে মাখতে হয়। কিছু পুরুষ অভিযোগ করেন, ক্রিম ব্যবহারে তাদের যৌন আনন্দ কমে যায়। কিছু নারীও অভিযোগ করেন, তাদের পুরুষ সঙ্গীরা যখন এসব ক্রিম ব্যবহার করেন তখন তাদের যোনির সংবেদনশীলতা কমে যায়, পুরুষ সঙ্গীরা যৌন আনন্দ লাভ করলেও তারা তেমন যৌন আনন্দ লাভ করেন না।

সাইকোথেরাপিঃ-

এটা হলো কাউন্সেলিং বা আপনার যৌনসমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের সাথে বিস্তারিত কথা বলা ও পরামর্শ গ্রহণ করা। এ ধরনের কথা বলায় আপনার দুশ্চিন্তা কমবে এবং সমস্যার উন্নতি ঘটবে। অনেক দম্পতির ক্ষেত্রে শুধু সাইকোথেরাপির মাধ্যমে ভালো ফল পাওয়া গেছে।

প্রতিরোধঃ-

কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে যৌনসঙ্গিনীর সাথে ঠিকমতো যোগাযোগ বন্ধন গড়ে না ওঠার কারণে। পুরুষ ও নারীর মধ্যকার যৌনকাজের পার্থক্য না বোঝার কারণে পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত ঘটে। চরম পুলকে পৌঁছতে পুরুষের তুলনায় নারীর দীর্ঘ উদ্দীপনার প্রয়োজন হয় আর এই পার্থক্য একটা দম্পতির মধ্যে যৌন অসন্তুষ্টি ঘটাতে পারে। অনেক পুরুষ যৌনমিলনের সময় চাপ অনুভব করেন বলে দ্রুত বীর্যপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। নারী ও পুরুষ একে অপরকে খোলামেলা বুঝতে পারলে দু’জনের জন্যই যৌন আনন্দ লাভ করা সহজ হয়। এতে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তাও দূর হয়। যদি আপনি আপনার সঙ্গিনীর কাছ থেকে যৌনসুখ লাভ না করেন তাহলে তার সাথে খোলামেলা আলাপ করুন। আপনাদের মধ্যে সমস্যাটা কোথায় তা খুঁজে বের করুন এবং প্রয়োজনে অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের সাহায্য নিন।

আপনাদের মধ্যকার আলোচনা আপনার চিকিৎসকের সামনেও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সব লজ্জা ও জড়তা ঝেড়ে ফেলে খোলা মনে আলাপ করুন। দ্রুত বীর্যপাত হয় এমন অনেক পুরুষ হতাশা বোধ করেন। এমনকি লজ্জা ও অপমানে জর্জরিত হন। আপনার জানা উচিত, এ সমস্যা খুব সাধারণ এবং এর যথাযথ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাও রয়েছে। যদি দ্রুত বীর্যপাতের কারণে আপনি বা আপনার সঙ্গিনী হতাশ হয়ে পড়েন তাহলে দ্রুত ভালো একজন হোমিও চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন, অবশ্যই আপনার যৌনজীবন আনন্দময় ও সুখের হয়ে উঠবে।

হোমিওপ্যাথিক সমাধানঃ-

দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বাধুনিক, উন্নত এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা রয়েছে, যা এই সমস্যা সমাধানের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং একবার আরোগ্য হলে তা আর দেখা দেয় না। তাই অন্তত একবার হলেও হোমিও চিকিৎসা নিয়ে দেখবেন আশা করি। আমরা নানান যৌন সমস্যায় আক্রান্ত হাজার হাজার রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে পুরিপূর্ণ সুস্থ করে তুলতে সক্ষম হয়েছি।

আপনিও যদি এ ধরনের কোনো সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে কোনো প্রকার সংকোচ না করে আপনার বিস্তারিত সমস্যা আমাদের জানাবেন আশা রাখি, আমরা আপনার অবস্থার আলোকে যথাযথ সমাধান দিব। আপনার সুস্থ, সুন্দর এবং আনন্দময় যৌন জীবনই আমাদের কাম্য। ভালো থাকবেন।

আরও বিভিন্ন যৌন সমস্যা নিয়ে জানতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ
সাদিক হোমিও হলে স্থায়িত্ব বৃদ্ধি জন্য অনলাইনে হোমিও
চিকিৎসা পেতে ভিজিট করুণ
ওয়েব লিংকঃ www.homeotreatment24.wordpress.com ধন্যবাদ