সন্ধান করুন

শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০১৫

জরায়ু-মুখ ক্যান্সারঃ

জরায়ু-মুখ ক্যান্সার

জরায়ু বা বাচ্চাদানির সবচেয়ে নিচের অংশ হলো জরায়ু মুখ যা প্রসবের পথ বা যোনিতে গিয়ে মিশেছে। জরায়ুর বিভিন্ন অংশের মধ্যে এই অংশে ক্যন্সার এর আশংকা সবচেয়ে বেশি। অতিরিক্ত সাদাস্রাব, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, অতিরিক্ত অথবা অনিয়মিত রক্তস্রাব, সহবাসের পর রক্তপাত, মাসিক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবার পর পুনরায় রক্তপাত, কোমড়-তলপেট বা উড়ুতে ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গগুলো জরায়ু মুখ ক্যান্সার এর লক্ষণ। অল্পবয়সেই যারা যৌনাচারে অভ্যস্ত হয়ে থাকে তাদের এই ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী। একাধিক পুরুষ সঙ্গী থাকা, বা পুরুষ সঙ্গীটির একাধিক নারী সঙ্গী থাকা কিংবা ঘন ঘন বাচ্চা নেয়া ইত্যাদি কারনেও জরায়ূ মুখ ক্যান্সার হতে পারে। বাল্য বিবাহ হওয়া মেয়েদের এই রোগ হবার সম্ভাবনা বেশী।

একদিন বা একমাসে হঠাৎ করে এই ক্যান্সার হয়না স্বাভাবিক কোষ থেকে জরায়ু মুখের ক্যান্সার হতে প্রায় ১০-১৫ বছর সময় লাগে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে চিকিৎসার দ্বারা শতকরা ১০০ ভাগ রোগীই ভালো হয়ে যেতে পারে। রোগের শুরুতে উপসর্গ গুলো অল্পমাত্রায় থাকে দেখে একে কেউ গুরুত্ব দিতে চান না। এজন্য রোগীদের পক্ষে অনেক সময়ই প্রাথমিক পর্যায়ে আসা সম্ভব হয়না। দেরীতে আসলে রোগটি ছড়িয়ে পরে তখন জীবন বাঁচাতে বড় ধরনের অপারেশন এবং রেডিওথেরাপীর (Radiotherapy) প্রয়োজন হয় কিন্ত তাতেও পূর্ণ নিরাময় সম্ভব হয়না।

নিয়মিত পরীক্ষা করানোর মাধ্যমে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই রোগ থেকে মুক্ত থাকতে যে সকল মহিলার বয়স ৩০ এর বেশী (বাল্য বিবাহ হলে ২৫ এর বেশী) তাদের প্রতি তিন বছর পর পর স্ত্রী রোগ চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কর্মী দ্বারা জরায়ু মুখ পরীক্ষা করানো উচিত। ভায়া -VIA (Visual Inspection of Cervix with Acetic acid), প্যাপ স্মেয়ার (PAP smear) ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে রোগের প্রাথমিক পর্যায়েই রোগটি সনাক্ত করা সম্ভব।

মাসিকের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রাকৃতিক কিছু উপায়

আপনার মাসিকের সময় কি অনেক পেটে ব্যথা হয় ? মাসিকের কথা চিন্তা করলে কি আপনি আঁতকে উঠেন? মাসিকের প্রথম দিন, যে দিন আপনাকে কাটাতে হয় ব্যাথার ঘোরে সেই দিনের কথা কে না জানে? অনেকেই মেয়েদের বোঝাতে চেষ্টা করে যে এই ব্যথা কিছুই না। এটা আমাদের মনগড়া একটি ব্যাপার। অন্যরা আবার বলে যে এই ব্যাথা একজন মেয়ে হয়ে জন্মাবার খেশারত।

যাদের মাসিকের সময় পেটে তীব্র ব্যাথা হয় তারাই শুধু জানে এর আসল রূপ। না, আপনার এই ব্যাথা মনগড়া কোন ব্যাপার না। গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতি ৪ জন তরুনির মধ্যে ৩ জন তরুনির এবং প্রতি ৪ জন মহিলাদের মধ্যে ১-২ জন মহিলার মাসিকের সময় এই তীব্র পেটে ব্যাথা ও অস্বস্তি হয়। তার ঊপর আরও দেখা গেছে যে গড়ে ৫ জন মেয়ের যদি এই তীব্র মাসিকের ব্যথা থাকে, তার মধ্যে ১ জনের ব্যথা এত তীব্র হয় যে সে স্বাভাবিক কাজকর্ম–জীবনযাপন করতে বার্থ হয়। ব্যথাটি সাধারণত কোমরে শুরু হয় এবং পায়ের উপরিভাগ পর্যন্ত চলে যায়। এটি মাসিকের সাথে শুরু হয় এবং ১২-২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। মাসিকের সময় আপনার জরায়ুর মাংসপেশি সংকোচন করে। এই সংকোচনের ফলে আপনার জরায়ুর ভিতর থেকে জরায়ুর ঝিল্লি (uterine lining) বের হয়ে যায় মাসিকের রক্ত হিসেবে।

আপনার জরায়ুর মাংসপেশি যখন সংকুচিত হয়, তখন তা জরায়ুর রক্ত সঞ্চালন সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেয়। এই কারণে তখন জরায়ুতে রক্ত এবং অক্সিজেনের (oxygen) অভাব হয়। যখন অক্সিজেনের (oxygen) মাত্রা জরায়ুর কোষগুলোতে (cells) কমে যায়, তখন এক রকমের রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয় যা আমাদের শরীরে - অর্থাৎ জরায়ুতে - ব্যাথা করে। যদি এর সাথে সাথে বেশী রক্তক্ষরণও থাকে, তখন ব্যথা আরও বেশী অনুভব হয়। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই ব্যাথা কমে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। তাছাড়া অনেক মহিলারাই বলেন যে সন্তান প্রসব করার পর এই ব্যাথা আগের চেয়ে কমে যায়। সাধারণত জরায়ুর কোষগুলোতে (cells) অক্সিজেনের ঘাটতি হলেই এই ব্যাথা হয়। তবে এর আরও অন্য কারণ থাকতে পারে। আপনার ফাইব্রয়েড (fibroid) থাকতে পারে। এটি একটি রোগ যেখানে জরায়ুতে একটি টিউমার (tumour) হয়, তবে তা কোন ক্যানসার জনিত কারণে নয়। আপনার যদি ফাইব্রয়েড (fibroid) থাকে তাহলে আপনার মাসিকের সময় ব্যথা অনেক বেশী হবে।

আপনার এন্ডোমেট্রিওসিসও (endometriosis) থাকতে পারে। এটি একটি রোগ যেখানে জরায়ুর ঝিল্লি (uterine lining) জরায়ুর ভিতরে ছাড়াও শরীরের অন্যান্য স্থানে - যেমন ডিম্বাশয়ে (ovary) এবং গর্ভনালীতে (fallopian tube) - থাকে। মাসিক চক্রের (menstrual cycle) সাথে সাথে এই সব জরায়ুর ঝিল্লি (uterine lining) যা শরীরের অন্য স্থানে আছে তা বাড়তে এবং কমতে থাকে। তখন পেটে অনেক ব্যাথা হয়।

তাছাড়া আপনি যদি গর্ভনিরোধ ইমপ্ল্যান্ট (IUD – Intrauterine device) ব্যবহার করেন তাহলেও আপনার মাসিকের সময় অনেক ব্যাথা হতে পারে। এর কারণ জরায়ুর ভিতরে ওই ইমপ্ল্যান্টটি দেওয়া থাকে এবং তখন জরায়ুর মাংসপেশি বার বার সংকুচিত হতে থাকে তা বাইরে বের করে দেওয়ার জন্য। ঐ মুহূর্তে ব্যথাটি অনুভূত হয়।

যেই কারণই হোক, আপনার যদি মাসিকের সময় তীব্র ব্যথা থাকে, তাহলে আপনার একজন ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎ করা খুবই জরুরী। এর পাশাপাশি আপনাকে আরও খেয়াল রাখতে হবে মাসিকের এই সমস্যার সাথে সাথে আর কোন সমস্যা হয় কি না। আপনার মাসিক কি অনিয়মিত হয়? আপনার কি দুই মাসিকের মাঝখানে হঠাৎ একটু অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হয়? ঘন, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব ভাঙে? সহবাসের সময় কি ব্যাথা হয়? যদি আপনার মাসিকের ব্যাথা কোন রোগের কারণে হয়, তাহলে এই তীব্র ব্যথার পাশাপাশি আরও অন্যান্য উপসর্গ থাকবে। আপনাকে আরও খেয়াল করতে হবে এই ব্যাথা ক্রমশ বাড়ে কি না এবং সাধারণের চেয়ে লম্বা সময় ধরে থাকে কি না।

আপনি যখন একবার নিশ্চিত হয়ে যাবেন যে আপনার এই তিব্র ব্যাথা কোন রোগের কারণে হচ্ছে না, তখন আপনি এই ব্যাথা কমানোর জন্য প্রাকৃতিক বা ভেষজ উপায় অবলম্বন করতে পারবেন। কিছু কিছু ঘরোয়া প্রতিকার, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও ব্যায়াম আছে যা আপনার এই তীব্র ব্যাথা কমাতে সাহায্য করবে।

ব্যাথা কমাতে সবচেয়ে বেশী যেই পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয়, তা দিয়ে শুরু করুন। এটি আমাদের নানী- দাদীর আমলেও ব্যাবহার করা হতো। ব্যাথা যখন বেশী হবে, তখন আপনার পেটের উপরে একটি গরম পানির ব্যাগ রাখুন। এতে আপনার রক্তের শিরাগুলো সংকুচিত না থেকে বড় হবে এবং তাতে রক্তসঞ্চালন ভালো হবে।

আপনি যদি একটি ছোট তোয়ালে মাইক্রোওয়েভে (microwave) গরম করে তলপেটের উপরে দেন তাহলেও একই কাজ হবে। আপনি যদি তলপেট এবং পিঠ গরম অলিভ ওয়েল (olive oil) দিয়ে মালিস করেন তাহলেও পেটে ব্যাথা কমে আসবে। যদি আপনার বিশ্রাম নেওয়ার সময় থাকে তাহলে আপনি কাত হয়ে দুই হাঁটু বুকের কাছে এনে শুয়ে থাকতে পারেন। এতে আপনার ব্যাথা কিছুটা কমবে। গরম গরম তরল খাবার – যেমন গরম দুধ, গরম সুপ ইত্যাদি খাবার এই সময় খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার মাংসপেশিগুলো ঢিলে হবে এবং আপনার আরাম লাগবে। সবজির রস যেমন শশার রস এবং গাজরের রসে অনেক অ্যান্টি -অক্সিডেন্ট (anti-oxidant) থাকে যা আপনার শরীর থেকে যে কোন বিষাক্ত পদার্থ (toxins) বের করে দিতে সাহায্য করে। আপনি পানিতে আদা (ginger) দিয়ে সিদ্ধ করে নিয়মিত খেতে পারেন। মিন্ট ক্যান্ডি (mint cant) কিছুটা সাহায্য করে ব্যাথা কমাতে। আপনি এক গ্লাস ফুটন্ত পানিতে ১৫-২০টি ধনিয়া (coriander seeds) দিয়ে তা ঠাণ্ডা করে তারপর তা খেয়ে নিতে পারেন। যে কোন পানীয় খাওয়ার সময় চিনির বদলে মধু ব্যাবহার করতে পারেন। খাবারের উপরে দারচিনির গুঁড়ো (cinnamon powder) ছিটিয়ে নিতে পারেন। এর কারণ দারচিনি একটি প্রাকৃতিক ঔষধ যা ব্যাথা ও ফোলা কমাতে সাহায্য করে। পুষ্টিকর সুষম খাদ্য খান, এবং তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রচুর পরিমাণে পানি খান এবং ২ ঘণ্টা পর পর প্রস্রাব করুন। আপনার মুত্রথলি (bladder) যদি ভরা থাকে, তাহলে তা জরায়ুর উপরে চাপ দেয় এবং আপনার ব্যাথা আরও বেশী হয়। যদিও আপনার এই সময় ব্যায়াম করতে ইচ্ছা করবে না, তবুও হালকা ব্যায়াম করলে খুব সাহায্য হয়। আপনি এই সময় একটু হাটতে পারেন, সাইকেল চালাতে পারেন, বা যোগ ব্যায়াম করতে পারেন পেটে ব্যাথা কমানোর জন্য।

ডাঃ মোঃ আতাউর রহমান
সাদিক হোমিও হল,
মুন্সিরহাট বাজার,
সদর জেলা ঠাকুরগাঁও।
মোবাইলঃ ০১৯১৬১৩৩২৪৬

বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫

হাদিস

<html>
<head>
<style>
h1{color:green:}
p{color:navy:}
putu{color:magenta:}
#laltu{color:red:}
</style>
</head>
<body>
<h1>সালাম ফিরানোর পর যিকরসমূহ
ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُﺍﻟﻞَّﻩَ ‏[ 3 times ] ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﻭَﻣِﻨْﻚَ
ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﺗَﺒَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻳَﺎ ﺫَﺍ ﺍﻟْﺠَﻼَﻝِ হ-া-াল্লুরিফগাত্সআ
ﻭَﺍﻟْﺈِﻛْﺮَﺍﻡِ (তিনবার) আল্লা-হুম্মা আনতাস্
সালা-মু ওয়া মিনকাস্ সালা-মু তাবা-
রক্তা ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম
আমি আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা
করছি (তিনবার)। হে
আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট
থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়,
হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী
মুসলিম ১/৪১৪, নং ৫৯১।...</h1>
<p class="putu">সালাম ফিরানোর পর
যিকরসমূহ ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُﺍﻟﻞَّﻩَ ‏[ 3 times ] ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ
ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﻭَﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﺗَﺒَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻳَﺎ ﺫَﺍ ﺍﻟْﺠَﻼَﻝِ হ-া
ল্লুরিফগাত্সআ ﻭَﺍﻟْﺈِﻛْﺮَﺍﻡِ (তিনবার) আল্লা-
হুম্মা আনতাস্ সালা-মু ওয়া মিনকাস্
সালা-মু তাবা-রক্তা ইয়া যালজালা-লি
ওয়াল-ইকরা-ম
আমি আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা
করছি (তিনবার)। হে
আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট
থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়,
হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী
মুসলিম ১/৪১৪, নং ৫৯১।...</p> me
<div>
<h3id="laltu">সালাম ফিরানোর পর
যিকরসমূহ ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُﺍﻟﻞَّﻩَ ‏[ 3 times ] ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ
ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﻭَﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﺗَﺒَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻳَﺎ ﺫَﺍ ﺍﻟْﺠَﻼَﻝِ হ-া
ল্লুরিফগাত্সআ ﻭَﺍﻟْﺈِﻛْﺮَﺍﻡِ (তিনবার) আল্লা-
হুম্মা আনতাস্ সালা-মু ওয়া মিনকাস্
সালা-মু তাবা-রক্তা ইয়া যালজালা-লি
ওয়াল-ইকরা-ম
আমি আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা
করছি (তিনবার)। হে
আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট
থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়,
হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী
মুসলিম ১/৪১৪, নং ৫৯১।...</h3>
<pid="laltu">সালাম ফিরানোর পর
যিকরসমূহ ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُﺍﻟﻞَّﻩَ ‏[ 3 times ] ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ
ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﻭَﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﺗَﺒَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻳَﺎ ﺫَﺍ ﺍﻟْﺠَﻼَﻝِ হ-া
ল্লুরিফগাত্সআ ﻭَﺍﻟْﺈِﻛْﺮَﺍﻡِ (তিনবার) আল্লা-
হুম্মা আনতাস্ সালা-মু ওয়া মিনকাস্
সালা-মু তাবা-রক্তা ইয়া যালজালা-লি
ওয়াল-ইকরা-ম
আমি আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা
করছি (তিনবার)। হে
আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট
থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়,
হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী
মুসলিম ১/৪১৪, নং ৫৯১।...</p>
</div>
<div>

স্তনের সুস্থতা নিশ্চিত করবে যে ৬ টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ

<im>স্তনের সুস্থতা.jpg</im>

ইদানীং স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে। অন্যান্য অনেক ক্যান্সারের তুলনায় স্তন ক্যান্সারে প্রতিদিন আক্রান্ত হন অনেক বেশী সংখ্যক নারী। শুধু তাই নয়, এই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে পুরুষদেরও। তবে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা নিঃসন্দেহে বেশি। জরিপে দেখা যায় প্রতি ২৮ জন নারীর মধ্যে ১ জনের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু স্তন ক্যান্সারই নয়, স্তন সংক্রান্ত আরও অনেক রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায় নারীদের।

নিউইয়র্ক মেমোরিয়াল স্লোয়ান-কেট্টেরিং ক্যান্সার সেন্টারের এমডি, ডেব্রা ম্যানজিনো বলেন, কমবয়েসি মেয়েদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বয়স্ক নারীদের তুলনায় অনেক কম। তবে যদি কোনো কারণে কমবয়সী নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যান তবে রোগের মাত্রা বয়স্কদের তুলনায় অনেক বেশি বেড়ে যায়। তাই সতর্ক থাকতে হবে অল্প বয়স থেকেই। স্তনের সুস্থতা নিশ্চিত করতে জরুরী কিছু কাজ করা উচিত সকলেরই। স্তন ক্যান্সার ও স্তন সংক্রান্ত সকল জটিলতা রুখে দেয়া সম্ভব একটি সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে।
(১) ওজন কমিয়ে ফেলুন

ওজন বাড়ার সাথে সাথে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। নিউইয়র্ক সিটি সেন্টার ফর ক্যান্সার অ্যান্ড প্রিভেনশনের এমডি হ্যারল্ড ফ্রিম্যান এবং প্রেসিডেন্ট ও ফাউন্ডার রালফ লউরেন বলেন, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি মুক্ত থাকতে চাইলে অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরী। তাই উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী ওজন সঠিক রাখার চেষ্টা করুন।
(২) নিয়মিত ব্যায়াম করুন

ব্যায়ামের মাধ্যমে দেহ সুগঠিত রাখা উচিত। কারণ ব্যায়ামের মাধ্যমে ফিট থাকলে দেহের ইমিউন সিস্টেম অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে সহজে রোগাক্রান্ত হয় না। এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে এস্ট্রোজেন এবং ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
(৩) ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন

পুরুষের পাশাপাশি অনেক নারীই ধূমপান ও মদ্যপান করে থাকেন যা একেবারেই উচিত নয়। ধূমপান ও মদ্যপান স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা যায় প্রতিদিন ধূমপান ও মদ্যপান স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ২১ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। মদ্যপানের পরিবর্তে আঙুরের রস পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। আঙুরের খোসায় রয়েছে রেসভ্যারাট্রোল যা এস্ট্রোজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়, সেই সাথে কমায় স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি।
(৪) শাকসবজি রাখুন খাদ্যতালিকায়

কম ফ্যাট জাতীয় খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয় এবং সেই সাথে প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। খাদ্যতালিকায় শাকসবজি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি ধরণের সবজি রাখা উচিত সকলের। কারণ এই জাতীয় সবজির মধ্যে রয়েছে সালফোরেফেইন যা দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি প্রতিহত করে। সব চাইতে ভালো ফল পেতে এই জাতীয় সবজি কাঁচা খাওয়া উচিত।
(৫) স্তন সংক্রান্ত পারিবারিক বিষয়াবলী জেনে রাখুন

নিউইয়র্ক সিটি সেন্টার ফর ক্যান্সার অ্যান্ড প্রিভেনশনের এমডি হ্যারল্ড ফ্রিম্যানের মতে, ‘প্রায় ১৫% নারীর স্তন ক্যান্সারের মূলে থাকে পরিবারের কারো স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের ঘটনা’ অর্থাৎ এটি অনেকাংশে বংশগত একটি সমস্যা। পরিবারে কারো সত্ন ক্যান্সার হয়ে থাকলে এই রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তাই বংশে আর কারো এই রোগ রয়েছে কিনা তা সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।
(৬) নিয়মিত চেকআপ করান

প্রতি ৩ বছরে অন্তত ১ বার নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করানো উচিত প্রত্যেক নারীর। এবং ৪০ বছর বয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে তা প্রতি বছরে ১ বার মেমোগ্রাফ করা উচিত। যাদের বংশে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের ঘটনা দেখা যায় তাদের আরও বেশি সতর্কতার সাথে নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। প্রয়োজনে মেমোগ্রাফের পাশাপাশি এমআরআই ও সোনোগ্রাম করানো উচিত নিয়মিত।

পুরুষ যৌনতার মুল্যবান কথাঃ

হতাশা, অবসাদ, উৎকণ্ঠা প্রভৃতি কারণে বা কোনো আপাত কারণ না থাকলেও কখনো কখনো পুরুষের লিঙ্গশৈথল্য দেখা দিতে পারে। একবারের এ অসফলতা দেখে অনেকে নিজের ওপর আস্থা হরিয়ে ফেলেন। এরপর যখন তিনি সচেতন ভাবে লিঙ্গোত্থান ঘটানোর চেষ্টায় ব্রতী হন তখন কিন্তু আবার ঐ শৈথল্য দেখা দিতে পারে। এর ফলে সৃষ্ট উৎকণ্ঠা লিঙ্গোত্থানের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। পুরুষের লিঙ্গ শৈথল্য হওয়ার সবচেয়ে স্বাভাবিক কারণ হলো উৎকণ্ঠা। উৎকণ্ঠা ও অহেতুক ভয় দূর করতে পারলে অনেকাংশে সফলতা পাওয়া যায়।

পুরুষের যৌন অসফলতার বিষয়টিকে আলোচনা করতে হলে আমাদের বিভিন্ন বিষয়কে আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেমন-

*. কামনা/বাসনা
*. লিঙ্গোত্থান
*. অঙ্গভেদ
*. লিঙ্গোত্থান বজায় রাখা
*. চরম আনন্দ বা তৃপ্তি লাভ এবং
*. বীর্যপাত

কামনা/বাসনা

হতাশা বা বিষাদ বা ঐ ধরনের অন্যকোনো কারণে সঙ্গিনীর দেহের গন্ধে বিতৃষ্ণায়, অবসাদে, অসুস্থতায় কিংবা ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়নে পুরুষের যৌন বাসনার হানি ঘটতে পারে। আবার অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস, মনমতো সঙ্গিনী লাভ প্রভৃতিতে যৌন বাসনা বেড়ে যায়।

লিঙ্গোত্থান

সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় কিংবা হস্তমৈথুনের সময় যদি লিঙ্গোত্থান ঘটে কিন্তু মিলনকালে লিঙ্গ শৈথল্য দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে ব্যাপারটি শারীরিক নয়, মানসিক।

অঙ্গভেদ

মিলনকালে পুরুষটি যদি যোনিভেদে অসমর্থ হয়, তাহলে আসন ভঙ্গি সম্বন্ধে এবং নারীর দেহগঠন সম্বন্ধে তার পূর্ণতর জ্ঞান আছে কি না, তা দেখতে হবে। অঙ্গভেদের সময় যদি লিঙ্গে ব্যথা হয় তাহলে পুরুষটির ফাইমোসিস বা মুদারোগ আছে কিনা এবং নারীটির যোনিপথে বা যোনিমুখে কোনো বাধা আছে কিনা তা দেখতে হবে। অনেক সময় একটি মিলনে অঙ্গশৈথল্য পরবর্তী মিলনগুলোতে ভয় জনিত বাধা সৃষ্টি করে এবং সে ক্ষেত্রে অঙ্গভেদের প্রাক মুহূর্তে লিঙ্গ শৈথল্য দেখা দিতে পারে।

লিঙ্গোত্থান বজায় রাখা

অঙ্গভেদের পরে যদি লিঙ্গ তার দৃঢ়তা হারায় তাহলে বুঝতে হবে ব্যর্থতার ভয় বা অত্যধিক শিথিল যোনিপথ এ ব্যর্থতা ডেকে আনছে।

চরমানন্দ লাভ

দেখতে হবে ঘুম থেকে ওঠার পর সঙ্গমে প্রবৃত্ত হলে চরমানন্দ লাভে বিঘ্ন দেখা দিচ্ছে কিনা, নাকি ঘুমাতে যাবার আগে মিলনে প্রবৃত্তি হলে চরমানন্দে অসুবিধা হচ্ছে কিনা। বীর্যপাত বিলম্বের ব্যাপার ঘটলে তাকেও বিবেচনার মধ্যে আনতে হবে।

বীর্যপাত

চরমানন্দ লাভের সঙ্গে সঙ্গে মূত্রপথ থেকে বীর্য বেরিয়ে আসে। কখনো কখনো চরমানন্দ লাভেরপরে কোনো বীর্যপাতই হয় না, একে বিপরীত স্খলন বলা হয়। বীর্যপাতঠিক কীভাবে হচ্ছে, চুইয়ে পড়ছে নাকি, ছিটকে বেরোচ্ছে, তাও দেখাদরকার। এসব ক্ষেত্রে স্নায়বিক বা পেশিঘটিত গোলমালের ভূমিকা অনেক, তাই এসব পরীক্ষা করে দেখাদরকার।
বয়ঃসন্ধিকালে বা যৌবনের প্রারম্ভে কোনো তরুণের কেবলমাত্র দৃষ্টিতে বা যৌনচিন্তায় লিঙ্গোত্থান ঘটে। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই এই ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং তখন লিঙ্গোত্থানের জন্য সরাসরি লিঙ্গ উদ্দীপনা প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে। এটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ নারীই মিলনের আগে পূর্ব রাগ পূর্বে স্বামীর যৌনাঙ্গে হাত দিতে চাননা। ভালো মেয়েরা এসব কাজ করে না, কিংবা এভাবে এগোলে স্বামী কী ভাবেন, এ কথা ভেবেই সম্ভবত কাজটিতে তারা বিরত থাকেন। নারীর এমন মনোভাব নিঃসন্দেহে ক্ষতিকর।
যৌনবিষয়ক কল্পনায় পুরুষের লিঙ্গোত্থান ঘটে। মস্তিষ্কে অবস্থিত যৌনকেন্দ্রটি প্রথমে উদ্দীপিত হয়। ঐ কেন্দ্র দ্বারাউত্তেজনার সংবাদ মেরুদণ্ড ও বিশেষ স্নায়ু মারফত যৌনাঙ্গে এসে পৌঁছায়। এ সময়ে বস্তি অঙ্গগুলোতে বাড়তি রক্তের প্রবাহ আসে এবং এরই পরিণতিতে লিঙ্গোত্থান ঘটে। বয়স যত বাড়তেথাকে, লিঙ্গোত্থানের জন্য পুরুষের ততই সরাসরি লিঙ্গে উদ্দীপনা প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে। অবশ্য ভয়, ভীতি, দোষী মনোভাব বা যৌনচিন্তা থেকে সরে গেলে যৌন উদ্দীপনায় বাধা পড়ে এবং সে ক্ষেত্রে লিঙ্গ শিথিল হয়ে যায়।

শারীরিক পুরুষত্বহীনতার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলো হলো ডায়াবেটিস, রেডিয়াম চিকিৎসা বা ভাসকুলার বিশৃঙ্খলা। যৌন গবেষক মাস্টার এন্ড জনসন যৌনতার চারটি স্তরের কথা বলেছেন এগুলো হল-

*. উত্তেজনার স্তর
*. বিস্তার স্তর
*. চরমানন্দ লাভের স্তর এবং
*. বিরতির স্তর

উত্তেজনার স্তরে লিঙ্গে রক্তপ্রবাহের
আধিক্য ঘটে এবং এর ফলে লিঙ্গোত্থান হয়। অন্ডকোষের থলিটি অল্প উপরে উঠে যায় এবং অন্ডকোষটি উপরে ওঠে। পরবর্তী স্তরে রক্তপ্রবাহ আরো বাড়ে এবংলিঙ্গের কাঠিন্য দেখা যায়। অন্ড দুটি আরো উপরে ওঠে এবং আকারে একটু বড় হতে পারে। চরমানন্দ লাভের স্তরে অনৈচ্ছিকপেশিসমূহের সংকোচন ঘটে এবং মূত্রপথ দিয়ে বীর্যধারা ছিটকে বেরিয়ে আসে, চলতি কথায় একে বলা হয় স্খলন। শারীরিক দিক দিয়ে নাড়ির গতি, রক্তচাপ এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেশ বৃদ্ধি পায়। ক্রমে শারীরিক প্রক্রিয়াগুলো স্বাভাবিক স্তরে চলে আসে এবং এ স্তরটিকেই বলে বিরতির স্তর। একবার স্খলনের পর পুরুষের পক্ষে তাৎক্ষণিক লিঙ্গোত্থান ঘটানো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫

লিঙ্গে সাইজ নিয়ে ভাবনা?

অনেকেই লিঙ্গের সাইজ নিয়ে নেটে অনেক ব্লগ পোষ্ট দেখেন এবং পড়েন। হয়তো অনেকেই উপযুক্ত তথ্য পান না। আমাকে অনেকেই মেইল করলো এই নিয়ে পোষ্ট লেখার জন্য।তাই লিখতে বসলাম সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের সঠিক ও উপযুক্ত তথ্য দেওয়ার জন্য।

যাই হোক আপনাদের সাড়া পেয়ে উৎসাহ নিয়ে লিখতে বসলাম আমাদের পুরুষাঙ্গটি ‘স্পঞ্জের মত’ এক প্রকার নরম সংকোচনশীল ও সম্প্রসারণশীল পেশিতন্তু বা উত্থানশীল তন্ত বা ইরেক্টাল টিস্যু দিয়ে গঠিত। মানুষের শারিরীক গঠনের মতই পেনিস বা লিঙ্গ ও বিভিন্ন গঠনের বা সাইজের হয়ে থাকে। স্বাভাবিক অবস্থায় লিঙ্গ বা পুরুষাঙ্গটি নরম ও ছোট থাকে কিন্তু সেক্স উত্তেজনার সময় এইসব রক্তনালীতে প্রচুর রক্ত এসে পূর্ণ হয়ে যায় ফলে এটি আকারে বৃদ্ধি পেয়ে লম্বা, মোটা-তাজা ও দৃঢ় হয় আর একেই বলে ইরেকশন অফ পেনিস বা পুরুষাঙ্গের উত্থান ইরেকসন হলে একজন স্বাভাবিক মানুষের স্বাভাবিক সাইজ ৫”থেকে ৬.৫”।

অনেকেই লিঙ্গ ছোট মনে করে এবং এজন্য অনেক দুশ্চিন্তা করে। আমি বলব বেশির ভাগ যৌন সমস্যা সমশযা নয় তা দুশ্চিন্তার কারন। ছেলেরা নেটে চটি পড়ে সব চেয়ে বেশি নিজের ক্ষতি করে কারন চটি সম্পুর্ন কল্পনার জগত আর তা বাস্তব মনে করে পড়ে বেশির ভাগ তরুন-তরুনি। আর নিজের, চটি আচরন ও অবস্তা খুজতে চেষ্টা করে যার পরিনতিই এই দুশ্চিন্তা।

যাই হোক যৌন মিলনের জন্য অনেক মোটা ও অনেক লম্বা পেনিসে দরকার নেই কারন মেয়েদের যৌনিতে সামান্য ভেতরেই খাজ কাটা গ্রুভ থাকে, লিংজ্ঞের নাড়াচাড়ায় ঐসব খাজ থেকে মজা তৈরী হয়। এজন্য বড় লিংজ্ঞের দরকার হয় না। কেউ যদি যৌনিতে লিঙ্গ বা পেনিস না ঢুকিয়ে হাতের আঙ্গুল দিয়ে ও ঐ যৌনির গ্রুভের মধ্যে নাড়া নাড়া-চাড়া করে তাতো মেয়েদের ওরগাজম হয়ে যবে।

মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০১৫

হাদিস

৬। আবূল ইয়ামান হাকাম ইবনুূু নাফি (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনুূু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবূ সুফিয়ান ইবনুূু হরব তাকে বলেছেন, বাদশাহ হিরাকল একবার তাঁর কাছে লোক পাঠালেন। তিনি কুরাইশদের কাফেলায় তখন ব্যবসা উপলক্ষে সিরিয়ায় ছিলেন। সে সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ সুফিয়ান ও কুরাইশদের সাথে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সন্ধিবদ্ধ ছিলেন। আবূ সুফিয়ান তার সঙ্গীদের সহ হিরাকলের কাছে এলেন এবং তখন হিরাকল জেরুযালেমে অবস্থান করছিলেন। হিরাকল তাদেরকে তাঁর দরবারে ডাকলেন। তার পাশে তখন রোমের নেত্রীস্থানীয় ব্যাক্তিগন উপস্থিত ছিল। এরপর তাদের কাছে ডেকে নিলেন এবং দোভাষীকে ডাকলেন।

তারপর জিজ্ঞাসা করলেন, এই যে ব্যাক্তি নিজেকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে দাবী করে — তোমাদের মধ্যে বংশের দিক দিয়ে তাঁর সবচেয়ে নিকটাত্মীয় কে? আবূ সুফিয়ান বললেন, আমি বললাম, বংশের দিক দিয়ে আমিই তাঁর নিকটাত্মীয়। ’ তিনি বললেন, তাঁকে আমার খুব কাছে নিয়ে এস এবং তাঁর সঙ্গীদেরও কাছে এনে পেছনে বসিয়ে দাও। ’ এরপর তাঁর দোভাষীকে বললেন, তাদের বলে দাও, আমি এর কাছে সে ব্যাক্তি সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করবো, সে যদি আমার কাছে মিথ্যা বলে, তবে সাথে সাথে তোমরা তাকে মিথ্যাবাদী বলে প্রকাশ করবে। ’ আবূ সুফিয়ান বলেন, আল্লাহ্‌র কসম! তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলে প্রচার করবে-এ লজ্জা যদি আমার না থাকত, তবে অবশ্যই আমি তাঁর সম্পর্কে মিথ্যা বলতাম।

এরপর তিনি তাঁর সম্পর্কে আমাকে প্রথম প্রশ্ন যে করেন তা হচ্ছে, তোমাদের মধ্যে তাঁর বংশমর্যাদা কেমন?’ আমি বললাম, তিনি আমাদের মধ্যে অতি সম্ভ্রান্ত বংশের। ’ তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে এর আগে আর কখনো কি কেউ একথা বলেছে?’ আমি বললাম, না। ’ তিনি বললেন, তাঁর বাপ-দাদাদের মধ্যে কি কেউ বাদশাহ ছিলেন?’ আমি বললাম, না। ’ তিনি বললেন, তারা কি সংখ্যায় বাড়ছে, না কমছে?’ আমি বললাম, তারা বেড়েই চলেছে। ’ তিনি বললেন, তাঁর দ্বীন গ্রহণ করার পর কেউ কি নারায হয়ে তা পরিত্যাগ করে?’ আমি বললাম, না। ’ তিনি বললেন, নবূয়তের দাবীর আগে তোমরা কি কখনো তাঁকে মিথ্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছ?’ আমি বললাম, না। ’ তিনি বললেন, তিনি কি চুক্তি ভঙ্গ করেন?’ আমি বললাম, না। ’ তবে আমরা তাঁর সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট সময়ের চুক্তিতে আবদ্ধ আছি। জানিনা, এর মধ্যে তিনি কি করবেন। ’

আবূ সুফিয়ান বলেন, এ কথাটুকু ছাড়া নিজের পক্ষ থেকে আর কোন কথা সংযোজনের সুযোগই আমি পাইনি। ’ তিনি বললেন, তোমরা কি তাঁর সাথে কখনো যুদ্ধ করেছ?’ আমি বললাম, হাঁ। ’ তিনি বললেন, তাঁর সঙ্গে তোমাদের যুদ্ধ কেমন হয়েছে?’ আমি বললাম, তাঁর ও আমাদের মধ্যে যুদ্ধের ফলাফল কুয়ার বালতির ন্যায়। কখনো তাঁর পক্ষে যায়, আবার কখনো আমাদের পক্ষে আসে। ’ তিনি বললেন, তিনি তোমাদের কিসের আদেশ দেন?’ আমি বললাম, তিনি বলেনঃ তোমরা এক আল্লাহ্‌র ইবাদত কর এবং তাঁর সঙ্গে কোন কিছুর শরীক করো না এবং তোমাদের বাপ-দাদার ভ্রান্ত মতবাদ ত্যাগ কর। আর তিনি আমাদের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করার, সত্য কথা বলার, নিষ্কলুষ থাকার এবং আত্মীয়দের সাথে সদ্ব্যবহার করার আদেশ দেন। ’

তারপর তিনি দোভাষীকে বললেন, তুমি তাকে বল, আমি তোমার কাছে তাঁর বংশ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি। তুমি তার জওয়াবে উল্লেখ করেছ যে, তিনি তোমাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত বংশের। প্রকৃতপক্ষে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গণকে তাঁদের কওমের উচ্চ বংশেই প্রেরণ করা হয়ে থাকে। তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি, এ কথা তোমাদের মধ্যে ইতিপূর্বে আর কেউ বলেছে কিনা? তুমি বলেছ, না। ’ তাই আমি বলছি যে, আগে যদি কেউ এ কথা বলে থাকত, তবে অবশ্যই আমি বলতে পারতাম, এ এমন ব্যাক্তি, যে তাঁর পূর্বসূরীর কথারই অনুসরণ করছে। আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি, তাঁর পূর্বপুরুষের মধ্যে কোন বাদশাহ ছিলেন কি না? তুমি তার জবাবে বলেছ, না। ’ তাই আমি বলছি যে, তাঁর পূর্বপুরুষের মধ্যে যদি কোন বাদশাহ থাকতেন, তবে আমি বলতাম, ইনি এমন এক ব্যাক্তি যিনি তাঁর বাপ-দাদার বাদশাহী ফিরে পেতে চান। আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি- এর আগে কখনো তোমরা তাঁকে মিথ্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছ কি না? তুমি বলেছ, না। ’ এতে আমি বুঝলাম, এমনটি হতে পারে না যে, কেউ মানুষের ব্যাপারে মিথ্যা ত্যাগ করবে অথচ আল্লাহ্‌র ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলবে। আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি, শরীফ লোক তাঁর অনুসরন করে, না সাধারণ লোক? তুমি বলেছ, সাধারণ লোকই তাঁর অনুসরণ করে। আর বাস্তবেও এরাই হন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গণের অনুসারী। আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি, তারা সংখ্যায় বাড়ছে না কমছে? তুমি বলেছ বাড়ছে। প্রকৃতপক্ষে ঈমানে পূর্ণতা লাভ করা পর্যন্ত এ রকমই হয়ে থাকে। আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি, তাঁরা দ্বীনে দাখিল হওয়ার পর নারায হয়ে কেউ কি তা ত্যাগ করে? তুমি বলেছ, না। ’ ঈমানের স্নিগ্ধতা অন্তরের সাথে মিশে গেলে ঈমান এরূপই হয়। আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি তিনি চুক্তি ভঙ্গ করেন কি না? তুমি বলেছ, না। ’ প্রকৃতপক্ষে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গণ এরূপই, চুক্তি ভঙ্গ করেন না। আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি তিনি তোমাদের কিসের নির্দেশ দেন। তুমি বলেছ, তিনি তোমাদের এক আল্লাহ্‌র ইবাদত করা ও তাঁর সাথে অন্য কিছুকে শরীক না করার নির্দেশ দেন। তিনি তোমাদের নিষেধ করেন মূর্তিপূজা করতে আর তোমাদের আদেশ করেন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে, সত্য কথা বলতে ও কলুষমুক্ত থাকতে। তুমি যা বলেছ তা যদি সত্য হয়, তবে শীঘ্রই তিনি আমার এ দু’পায়ের নীচের জায়গার মালিক হবেন। আমি নিশ্চিত জানতাম, তাঁর আবির্ভাব হবে; কিন্তু তিনি যে তোমাদের মধ্যে থেকে হবেন, এ কথা ভাবিনি। যদি জানতাম, আমি তাঁর কাছে পৌঁছাতে পারব, তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য আমি যে কোন কষ্ট স্বীকার করতাম। আর আমি যদি তাঁর কাছে থাকতাম তবে অবশ্যই তাঁর দু’খানা পা ধুয়ে দিতাম। এরপর তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সেই পত্রখানি আনতে বললেন, যা তিনি দিহ্য়াতুল কালবীর মাধ্যমে বসরার শাসকের কাছে পাঠিয়েছিলেন। তিনি তা পাঠ করলেন। তাতে লেখা ছিলঃ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে)। আল্লাহ্‌র বান্দা ও তাঁর রাসুল মুহাম্মদএর পক্ষ থেকে রোম সম্রাট হিরাকল এর প্রতি। --শান্তি (বর্ষিত হোক) তার প্রতি, যে হিদায়াতের অনুসরণ করে। তারপর আমি আপনাকে ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছি। ইসলাম গ্রহণ করুন, নিরাপদে থাকবেন। আল্লাহ্ আপনাকে দ্বিগুণ পুরষ্কার দান করবেন। আর যদি মুখ ফিরিয়ে নেন, তবে সব প্রজার পাপই আপনার উপর বর্তাবে। হে আহলে কিতাব! এস সে কথার দিকে, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই; যেন আমরা আল্লাহ্ ব্যতীত আর কারো ইবাদত না করি, কোন কিছুকেই তাঁর শরীক না করি এবং আমাদের কেউ কাউকে আল্লাহ্ ব্যতীত রব রূপে গ্রহণ না করি। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বলো, তোমরা সাক্ষী থাক, আমরা মুসলিম’ (৩:৬৪)।

আবূ সুফিয়ান বলেন, হিরাকল যখন তাঁর বক্তব্য শেষ করলেন এবং পত্র পাঠও শেষ করলেন, তখন সেখানে শোরগোল পড়ে গেল, চীৎকার ও হৈ-হল্লা তুঙ্গে উঠল এবং আমাদের বের করে দেওয়া হল। আমাদের বের করে দিলে আমি আমার সঙ্গীদের বললাম, আবূ কাবশার ছেলের বিষয়তো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, বনূ আসফার (রোম)-এর বাদশাহও তাকে ভয় পাচ্ছে। তখন থেকে আমি বিশ্বাস করতে লাগলাম, তিনি শীঘ্রই জয়ী হবেন। অবশেষে আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে ইসলাম গ্রহণের তওফীক দান করলেন।

ইবনুূু নাতূর ছিলেন জেরুযালেমের শাসনকর্তা এবং হিরাকলের বন্ধু ও সিরিয়ার খৃষ্টানদের পাদ্রী। তিনি বলেন, হিরাকল যখন জেরুযালেম আসেন, তখন একদিন তাঁকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। তাঁর একজন বিশিষ্ট সহচর বলল, আমরা আপনার চেহারা আজ বিবর্ণ দেখতে পাচ্ছি, ’ ইবনুূু নাতূর বলেন, হিরাকল ছিলেন জ্যোতিষী, জ্যোতির্বিদ্যায় তাঁর দক্ষতা ছিল। তারা জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাদের বললেন, আজ রাতে আমি তারকারাজির দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলাম, খতনাকারীদের বাদশাহ আবির্ভূত হয়েছেন। বর্তমান যুগে কোন্ জাতি খতনা করে?’ তারা বলল, ইয়াহূদী ছাড়া কেউ খতনা করে না। কিন্তু তাদের ব্যাপার যেন আপনাকে মোটেই চিন্তিত না করে। আপনার রাজ্যের শহরগুলোতে লিখে পাঠান, তারা যেন সেখানকার সকল ইয়াহূদীকে হত্যা করে ফেলে। ’ তারা যখন এ ব্যাপারে ব্যতিব্যস্ত ছিল, তখন হিরাকলের কাছে এক ব্যাক্তিকে উপস্থিত করা হল, যাকে গাসসানের শাসনকর্তা পাঠিয়েছিল। সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্পর্কে খবর দিচ্ছিল। হিরাকল তার কাছ থেকে খবর জেনে নিয়ে বললেন, তোমরা একে নিয়ে গিয়ে দেখ, তার খতনা হয়েছে কি-না। ’ তারা তাকে নিয়ে দেখে এসে সংবাদ দিল, তার খতনা হয়েছে। হিরাকল তাকে আরবদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। সে জওয়াব দিল, তারা খতনা করে। ’ তারপর হিরাকল তাদের বললেন, ইনি [রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ] এ উম্মতের বাদশাহ। তিনি আবির্ভূত হয়েছেন। ’ এরপর হিরাকল রোমে তাঁর বন্ধুর কাছে লিখলেন। তিনি জ্ঞানে তাঁর সমকক্ষ ছিলেন। পরে হিরাকল হিমস চলে গেলেন। হিমসে থাকতেই তাঁর কাছে তাঁর বন্ধুর চিঠি এলো, যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আবির্ভাব এবং তিনিই যে প্রকৃত নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম , এ ব্যাপারে হিরাকলের মতকে সমর্থন করছিল। তারপর হিরাকল তাঁর হিমসের প্রাসা’দ রোমের নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিদের ডাকলেন এবং প্রাসা’দর সব দরজা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। দরজা বন্ধ করা হল। তারপর তিনি সামনে এসে বললেন, হে রোমবাসী! তোমরা কি কল্যাণ, হিদায়ত এবং তোমাদের রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব চাও? তাহলে এই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 'র রায়’আত গ্রহণ কর। ’ এ কথা শুনে তারা জংলী গাধার মত ঊর্ধ্বশ্বাসে দরজার দিকে ছুটল, কিন্তু তারা তা বন্ধ অবস্থায় পেল। হিরাকল যখন তাদের অনীহা লক্ষ্য করলেন এবং তাদের ঈমান থেকে নিরাশ হয়ে গেলেন, তখন বললেন, ওদের আমার কাছে ফিরিয়ে আন। ’ তিনি বললেন, আমি একটু আগে যে কথা বলেছি, তা দিয়ে তোমরা তোমাদের দ্বীনের উপর কতটুকু অটল, কেবল তার পরীক্ষা করেছিলাম। এখন আমি তা দেখে নিলাম। ’ একথা শুনে তারা তাঁকে সিজদা করল এবং তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হল। এই ছিল হিরাকল এর শেষ অবস্থা। আবূ আবদুল্লাহ [বুখারী (রহঃ)] বলেন, সালেহ ইবনুূু কায়সান (রহঃ), ইউনুস (রহঃ) ও মা’মার (রহঃ) এ হাদীস যুহরী (রহঃ) থেকে রিওয়ায়েত করেছেন।



Posted via Sharif