বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে ডায়েটিংয়ের সময় যাঁরা ৮-১০ গ্লাস পানি খান তাঁদের ওজন যাঁরা ৪ গ্লাসেরও কম পানি খান তাঁদের চেয়ে অনেক তাড়াতাড়ি কমে৷ কারণ শরীর হাইড্রেটেড থাকলে মেটাবলিজমের হার বাড়ে৷ তার হাত ধরে কমে ওজন৷ আবার মূল খাবার খাওয়ার আগে যদি দু-এক গ্লাস পানি বা অন্য কোনও লো-ক্যালোরির তরল খাবার, যেমন ভেজ ক্লিয়ার স্যুপ বা ডালের জল খেতে পারেন, কম খাবারেই পেট ভরবে৷ তাতেও ওজন কমার সুরাহা হবে৷
পানি বিস্বাদ লাগলে লেবু বা পুদিনা মিশিয়ে নিতে পারেন৷ এক-আধবার খাঁটি মধুও মেশাতে পারেন৷ হালকা গরম পানি মধু ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে ক্ষতি নেই৷ কিন্তু যতোই জিরো ক্যালোরি বা ডায়েট ভার্সান বলা হোক না কেন, সফট ড্রিঙ্ক খাবেন না৷ মাঝে মধ্যে বরং ডাবের পানি খান, বিশেষ করে অসময়ে খিদে পেলে৷ খিদে তো মিটবেই, এনার্জিও বাড়বে৷
ডাবের পানি পুষ্টির তুলনায় ক্যালোরি এতোই কম যে খিদের মুখে নিয়মিত খেলে ওজন তাড়াতাড়ি কমবে৷ এর সঙ্গে সারা দিন ধরে বিভিন্ন ধরনের লো-ক্যালোরির পুষ্টিকর তরল খান৷ স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এই সব বিশেষ ধরনের পুষ্টির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে৷ দিনে দু-একবার লো-ফ্যাট দুধ ও এই দুধে বানানো দইয়ের ঘোল খান৷ পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও অন্য অনেক নিউট্রিয়েন্ট পাবেন যা ওজন কম রাখার পাশাপাশি শরীরকে তরতাজা করতে কাজে লাগবে৷
খান সবজির রস
লেটুস, গাজর, পালং, টমেটোর রসে আছে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল, রান্না করে খেলে যার অনেকটাই অধরা থেকে যায়৷ স্বাদ বাড়াতে বিটনুন, টাটকা মধু বা গোল মরিচ মেশাতে পারেন৷
খান গ্রিন টি
আধুনিক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যাঁরা দিনে ৩-৪ কাপ গ্রিন টি খান তাঁদের ফ্যাট বার্নিং ক্যাপাসিটি অন্যদের তুলনায় ৩৫-৪৩ শতাংশ বেড়ে যায়৷ তবে অবশ্যই দুধ-চিনি ছাড়া খেতে হবে৷ দিনে-দুপুরে ঘুম তাড়াতে এক-আধবার ব্ল্যাক কফিও খেতে পারেন৷ অতিরিক্ত খিদে কমাতেও এর জুড়ি নেই৷
তবে সাবধান, এর বেশি নয় কিন্তু৷ অতিরিক্ত কফির নানা কুফল আছে৷ দিনে একবার এক গ্লাস জলে দু-চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার, এক চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন৷ ঘন ঘন খিদে পাওয়া ঠেকাতে এও খুব কার্যকর৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন