সন্ধান করুন

রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৫

আঙুল হাঁড়া (Whitlow : Panaris : Felon : Pabonyobia)

অঙ্গুলির অগ্রভাগে তীব্র জ্বালা ও যন্ত্রণাকর পুজাত্মক প্রদাহকে আঙুল হাঁড়া বা হুইটলো বা ফেলন বা প্যারওনাইকিয়া বলা হয়। প্রদাহ অঙ্গুলিতেই সীমাবদ্ধ থাকিতে পারে; কখন কখন করতল, এমন কি বাহু পর্যন্ত বিস্তৃত হইয়া পড়ে।

তিন শ্রেণীর আঙুল-হাঁড়া হইতে দেখা যায়। যথা – উপত্বকীয় বা সাব
– কিউটি কিউলার,
– কৌষিক তন্তুজ বা সেলিউলার ও ঝিল্লিজ বা থেক্যাল হুইটলো বা ফেলন।

* উপত্বকীয় বা সাব – কিউটিকিউলার শ্রেণী – ইহাতে কেবল মাত্র অঙ্গুলির উপত্বক নিয়ে প্রদাহ হইয়া পুঁজ জন্মে। সামান্য যন্ত্রণা থাকে এবং ফোস্কার ন্যায় উদ্ভেদ সৃষ্ট হয় ও তাহা বিদীর্ণ হইয়া পুঁজ নির্গত হইলে আরোগ্য হয়। এই সমস্যাটি সোরিক মায়াজমের কারনে হইয়া থাকে।

* সেলিউলার শ্রেণী – ইহাতে অঙ্গুলি-শীর্ষের সেলিউলার টিসু ও পেশিবন্ধনী বা টেগুণসমূহ পর্যন্ত প্রদাহিত হয়। অঙ্গুলি-শীর্ষ স্ফীত ও তীব্র যন্ত্রণাযুক্ত হয় এবং প্রদাহ ঊর্ধ্বে পরিচালিত হয়, কিন্তু যন্ত্রণার জন্য অঙ্গুলি নাড়াচাড়া করিতে বিশেষ কষ্ট হয় না; আক্রান্ত স্থান উত্তপ্ত হয় এবং অবিশ্রান্তভাবে দপদপ করিতে থাকে এবং হস্ত নিম্নমুখে ঝুলাইয়া রাখিলে যন্ত্রণার প্রখরতা নিদারুন হইয়া উঠে। ইহাতে ২/৪ দিনের মধ্যেই পুঁজ জন্মে এবং পুঁজ বহির্গত হইলেই ধীরে ধীরে আরোগ্য হয়। কখন কখন অঙ্গুলি-শীর্ষের অস্থিখণ্ডের পচন বা নক্রোসিস হইতে পারে। এই সমস্যাটি সিফিলিটিক মায়াজমের কারনে হইয়া থাকে।

* থেক্যাল হুইটলো বা ফেলন – ইহাই প্রকৃত আঙুলহাঁড়া। ইহাকে প্যারওনাইকিয়াও বলা হয়। ইহাতে অঙ্গুলির পেশী – বন্ধনী বা টেগুণ ও তাহার আবরক পর্দার তীব্র প্রদাহ উপস্থিত হয় এবং অঙ্গুলির অস্থিসমূহও আক্রান্ত হইয়া পড়ে। আক্রান্ত স্থল লাল ও গরম হয় এবং পেশী বন্ধনী বা অস্থি আবরক ঝিল্লী বা পেরি অষ্টিয়াম ও অস্থি প্রদাহাম্বিত হইয়া ভীষণ দপদপানি ও দুর্বিষহ টাটানি বেদনায় রোগী ছটফট ও আর্তনাদ করিতে থাকে, আদৌ ঘুমাইতে পারে না। সমগ্র হস্ত অত্যধিক স্ফীত হয় এবং প্রদাহ ঊর্ধ্বে বিস্তৃত হইয়া সমগ্র নিম্নবাহু স্ফীত হইয়া উঠে। আক্রান্ত অঙ্গুলি বক্রভাব ধারণ করে এবং রোগী তাহা সঞ্চালন করিতে পারে না ; হস্ত নিম্নদিকে ঝুলাইয়া রাখিলে বেদনা অত্যন্ত বৃদ্ধি পায়। কয়েক দিনের মধ্যে টেগুণের পর্দা, সেলিউলার টিসু ও পেরিঅষ্টিয়াম মধ্যে পুঁজ জন্মে ও তাহা অঙ্গুলি ও হস্ত অতিক্রম করিয়া বিস্তৃত হইয়া পড়ে। প্রায়ই অঙ্গুলির অস্থির পচন বা নিক্রোসিস হয় এবং সুচিকিৎসিত না হইলে গ্যাংগ্রিন হইয়া পেশী বন্ধনী বা টেগুণ পচিয়া অঙ্গুলির এক বা ততোধিক অস্থিখণ্ড খসিয়া যাইতে পারে। কখন বা পেশী বন্ধনী অস্থিসহ খসিয়া যাইতে পারে। কখন বা পেশী বন্ধনী অস্থিসহ সংলগ্ন হইয়া পড়ে ও অঙ্গুলি স্থায়ীভাবে বক্র ও অকর্মণ্য হইয়া থাকে।

চিকিৎসাঃ-
প্রদাহিক অবস্থায় উষ্ণ জলে কিঞ্চিত লবণ মিশ্রিত করিয়া তন্মধ্যে অঙ্গুলি ডুবাইয়া রাখিলে যন্ত্রণার লাঘব হইয়া পুঁজৎপত্তি ত্বরাম্বিত করে । উষ্ণ জল সহ্য না হইলে ডায়স্কোরিয়া কিম্বা আইরিস ভারস মুল অরিষ্ট অথবা নাইট্রিক এসিড Q ১০ ফোঁটা এক আউন্স শীতল জলের সহিত মিশ্রিত করিয়া তন্মধ্যে অঙ্গুলি ডুবাইয়া রাখিলেও উপকার হয় । পুঁজ হইলেও এই প্রতিক্রিয়ায় সহজেই তাহা বিদীর্ণ হইয়া পুঁজ নির্গত হইলে যন্ত্রণার লাঘব হয় ।

ঔষধাবলি –
প্রদাহের প্রথমাবস্থায় ও পুঁজৎপত্তির পূর্বে সালফার প্রয়োগ করিলে রোগ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হইতে পারেদ। পুঁজৎপত্তি হইয়া থাকিলে, বিশেষত যদি তাহা নির্গত হইতে থাকে, অধিকিন্তু যদি পুঁজ বিবর্ণ ও দুর্গন্ধ যুক্ত হয় এবং অস্থি আক্রান্ত হয় তাহা হইলে সাইলিসিয়া বিধেয়। কিন্তু পুঁজৎপত্তির পর তাহা নির্গত না হইলে হিপার অথবা মাইরিষ্টিকা 3x বিশেষ ফলপ্রদ। ইহাতে পুঁজ নির্গত হইতে আরম্ভ করিলেই পুনরায় সাইলিসিয়া ব্যবস্থেয়। ইহাতে প্রায় সমুদয় লক্ষণাদি তিরোহিত হয় অন্যথায় আক্রান্ত অঙ্গুলিতে হুলবিধনবৎ জ্বালাময় যন্ত্রণা থাকিলে এপিস ;
★ ক্ষতস্থান অত্যধিক স্ফীত, ঈষৎ কৃষ্ণাভ এবং তাহাতে আগুনের ন্যায় জ্বালা, অস্থিরতা, উদ্বেগ, মধ্য রাত্রিতে যন্ত্রণার বৃদ্ধি, প্রভুতি লক্ষণে আর্সেনিক (উপকার না হইলে আন্থ্রাসিনাম ; ক্ষতস্থান নীলবর্ণ ধারণ করিলে ল্যাকেসিস)
★ অস্থি বিনষ্ট হইলে বিশেষত সাইলিসিয়া বিফল হইলে ও শীতল বস্তু প্রয়োগে উপশম বোধ হইলে এসিড ফ্লুওরিক শীতল বস্তু প্রয়োগে উপশম এবং যন্ত্রণা যদি স্নায়ু দিয়ে উপর দিকে ধাবিত হয় লিডাম (সাইলিসিয়া ও আর্সেনিক – উত্তাপ প্রয়োগে উপশম)
★ ক্ষত মধ্যে কাঁটা ফুটিবার ন্যায় যন্ত্রণায় এসিড নাইট্রিক,
★ টেগুণ ও তাহার আবরক পর্দার মধ্য দিয়া প্রদাহ ও পুঁজ বিস্তৃত হইয়া পড়িলে – মার্ক - বিন – আয়ড বা সল ;
★ সুচ বা পেরেক বিদ্ধ হইবার জন্য আঙুল হাঁড়ায় – লিডাম ;
★ উপযুক্ত লক্ষণাদি সহ এপিস প্রযুক্ত হইয়া বিফল হইলে সালফার ফলপ্রদ ;
★ দুরস্ত যন্ত্রণার রোগী উম্মাদের ন্যায় আচরণ করিলে কখন কখন Stramonium প্রয়োগে অতি শীঘ্র যন্ত্রণার লাঘব হইয়া পুঁজ নির্গমন সুগম হয়।

ডাঃ মোঃ আতাউর রহমান। ডি, এইচ, এম, এস।
১৫ + বছরের অভিজ্ঞ, ক্রনিক ও পুরাতন রোগের সফল চিকিৎসক।

শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৫

জরায়ু নির্দিষ্টস্থানে অবস্থানের ব্যতিক্রম জনিত ব্যাধি সমূহ ও তাঁর হোমিও চিকিৎসা (Various Displacements of Uterus)

এই রোগ প্রধানতঃ দুই প্রকার হয় –

( ক ) – জরায়ুর বডি (Body) পিছনের দিকে ঝুঁকিয়া পড়া বা রেট্রোফ্লেকশন অব দি ইউটেরাস - ( Retroflexion of the uterus )।

( খ ) – জরায়ু নীচের দিকে নামিয়া যাওয়া বা প্রলাপ্স অব দি ইউটেরাস – (Prolapse of the uterus)।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
রেট্রোফ্লেকশন অব দি ইউটেরাসঃ – জরায়ু স্বাভাবিক অবস্থান থেকে এই রোগে উহার বিপরীত অবস্থানে থাকে। কাহারও কাহারও কোন কষ্ট হয় না বা অন্যক্ষতি হয় না। কাহারও কমরে ব্যথা হয়, যৌন সঙ্গমে ব্যথা অনুভুত হয় ও সন্তানাদি হয় না।

চিকিৎসাঃ- হজ পেশারি (Hodge Pessary) দ্বারা জরায়ুকে নিজ স্থানে রাখিয়া লক্ষণ সাদৃশ্যে ঔষধ সেবন করিতে হইবে।
জরায়ু নীচের দিকে নামিয়া যাওয়া বা প্রলাপ্স অব দি ইউটেরাস – (Prolapse of the uterus)
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
কারণ সমূহঃ-
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
* শরীরের মাংস পেশী, লিগামেন্ট ইত্যাদির জোর কমিয়া যাওয়া। যেমন ৫০ বছর বয়সে সাড়া শরীরের রগ চামরা ইত্যাদি ঢিলাঢালা হইয়া যায়। জরায়ুকে যে সকল মাংস পেশী ও লিগামেন্ট নিজ স্থানে রাখে উহারা ঢিলা হইয়া যাওয়ার জন্য জরায়ু নীচে নামিয়া যায়। ঐ সঙ্গে কাশি, কোষ্ঠবদ্ধতা, ইত্যাদি জরায়ুকে নামিয়া যাইতে আরও সাহায্য করে।
* শরীর ভাঙ্গিয়া যাওয়া। সন্তান প্রসবের পরে শরীর ঠিক মত সারিবার পূর্বেই এমন সব কাজ কর্ম করা যাহাতে দম আটকাইয়া ভারি কোন বস্তু উত্তোলন করিতে হয়। আবার সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার দুই বা তিন দিন পরেই বিছানা ছাড়িয়া সাংসারিক কাজ-কর্মে লাগিয়া যাওয়া। কেহ আবার শুধু বিছানায় শুইয়া থাকে। ঐ সময় তৃতীয় দিন হইতে পা দুখানি দিনের মধ্যে কয়েকবার সোজা করিয়া আবার গুটাইলে তলপেটের ও পেলভিসের (Pelvis – যাহার উপর জরায়ু থাকে) মাংসপেশির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ইহা বহুক্ষেত্রে অজ্ঞতার জন্য করা হয় না। সন্তানের ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর দুধ দানে মায়ের শরীর দুর্বল হয়। স্তন দানকারিনী মায়ের উৎকৃষ্ট খাদ্যের প্রতি অবহেলা তাহার শরীর ভাঙ্গিয়া যাওয়ার একটি প্রধান কারণ। শরীর ভাঙ্গিয়া গেলে সহজেই প্রলাপ্স দেখা দিতে পারে।
* ঘন ঘন সন্তান প্রসব ও স্বাস্থ্যের দিকে উপযুক্ত যত্নের অভাব।
* যথেষ্ট ওজন বিশিষ্ট বড় সন্তান প্রসব হইলে। পরবর্তীকালে প্রলাপ্স হইতে দেখা যায়।
* সন্তান ভূমিষ্ঠ হইবার সময় পেরিনিয়াম (Perineum) ছিঁড়িয়া যাওয়া এবং উহার সেলাই না হওয়া।
* সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার জন্য জরায়ুর সারভিক্স পূর্ণ মাত্রায় প্রসারিত হওয়ার পূর্বে ফরসেফ (Forces) নামক যন্ত্র দ্বারা ডেলিভারি করাইলে।

প্রলাপ্সের প্রকার ভেদঃ –
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
(ক) – ভ্যাজাইনার সম্মুখ দিকের দেয়াল য় তৎসহ প্রস্রাবের থলে বাহির হওয়া বা সিসটোসিল ( Cystocele )।
(খ) – জরায়ু বাহির হওয়াঃ- উহা আবার চারি প্রকার।
* প্রথম ডিগ্রীঃ- জরায়ুর সারভিক্স নিজ স্থান হইতে নামিয়া ভ্যাজাইনার মধ্যে থাকা।
* দ্বিতীয় ডিগ্রীঃ – জরায়ুর সারভিক্স নীচে নামিয়া সন্তান প্রসব রাস্তার মুখ পর্যন্ত আসা।
* তৃতীয় ডিগ্রীঃ- জরায়ুর সারভিক্স প্রসব মুখের বাহিরে আসা।
* চতুর্থ ডিগ্রীঃ- প্রোসিডেনসিয়াঃ সমস্ত জরায়ুর সন্তান প্রসব রাস্তার বাহিরে আসা।

লক্ষণঃ-
প্রলাপ্স দেখা দেওয়ার প্রথম দিকে রোগিণী অনুভব করে কি যেন প্রসব রাস্তায় নামে, শুইলে আবার উপরে উঠিয়া যায় বা কি যেন তাহার যোনি নালির মুখ পর্যন্ত আসে, আবার শুইলে উপরে উঠে । মল ত্যাগ বা প্রস্রাব করিতে বসিলে বা কোন কিছুর উপর ঠেশ না দিয়া বসিলে, কাশি দিলে বা কোন ভারি বস্তু উত্তোলন করিলে সে উহা বেশী অনুভব করে । কমরের নীচে ব্যথা অনুভব করে । জরায়ু স্বাভাবিক স্থান হইতে নীচে নামিয়া যায় তখন প্রস্রাবের থলেও কিছুটা নামিয়া যায় বলিয়া প্রস্রাবের কতগুলি কষ্ট দেখা দেয় । কেহ কেহ প্রস্রাবের বিষয়ে অসুবিধা বোধ করে । প্রস্রাবের বেগ হইলে উহা ধারণ করিতে কষ্ট হয় । সে ছাড়া কাশি বা হাসিবারকালে কয়েক ফোঁটা প্রস্রাব বাহির হইয়া পড়ে । বারে বারে প্রস্রাব হয় । যখন সিসটোসিল থাকে বা প্রোসিডেনসিয়ার ক্ষেত্রে প্রস্রাব আরম্ভ করিতে বিলম্ব হয় । নিজের আঙুল দ্বারা জরায়ু উপরে ঠেলিয়া দিলে তবে প্রস্রাব করা যায় ।

করনীয়ঃ-
-------------------------------------------------------------------------------------------------
* বিশ্রাম ও সুনিদ্রা হওয়া চাই ।
* ডেলিভারির পরে অন্ততঃ ১ সপ্তাহ বিছানাই থাকিতে হইবে ।
* ডেলিভারির তিন দিন পরে দুই পা একবার সোজা করিতে হইবে, আবার গুটাইতে হইবে, এইরূপ দিনে কয়েকবার করিলে পেলভিকের (যাহার উপর জরায়ু থাকে) মাংসপেশি সবল হইবে।
* স্তন দানকালে মায়ের উৎকৃষ্ট খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য রাখিতে হইবে।
* রেটোফ্লেকশন থাকিলে হজ পেসারি (Hodge Pessary) দ্বারা উহা ঠিক করিতে হইবে।
* অধিকাংশ রোগীর মধ্যে লিউকোরিয়া থাকে। লক্ষণ সাদৃশ্যে ঔষধ প্রয়োগ করিতে হইবে।
* রিংপেসারি ব্যবহারে জরায়ু নিজ স্থানে থাকে। ইহার মধ্যে শরীরের অবস্থা যাহাতে ভাল থাকে সেই দিকে লক্ষ রাখিতে হইবে।
-------------------------------------------------------------------------------------------------
চিকিৎসাঃ- একটি কথা সরণ রাখিবেন হোমিওপ্যাথিক মতের চিকিৎসায় প্র্যাকটিস – অব – মেডিসিন – মতে চিকিৎসা কখন ফলদায়ক হইতে পারে না । কারণ রোগের বিবিধ লক্ষণ, রোগীর পীড়ার সাধারণ লক্ষণ, বিশেষ লক্ষণ, ধাতুজ লক্ষণ, (Eonstitutional Symptoms), মানসিক লক্ষণ (Mental Symptoms) বিশেষত্ব (Peeuliarity Modality) প্রভৃতির সহিত ঔষধের লক্ষণ-সমষ্টির সাদৃশ্য মিলাইয়া ঔষধ নির্বাচন করিলে তবে তরিদ্বেগে ও সমূলে রোগ আরোগ্য হয়। এ সকল বিষয় প্র্যাকটিসের অন্তর্গত নহে - মেটিরিয়া–মেডিকারই অন্তর্গত।
-------------------------------------------------------------------------------------------------
* এলো ( Aloe ) – যোনিদ্বার দিয়ে কিছু ঠেলে বেড়িয়ে আসার ন্যায় অনুভুতি, দাঁড়িয়ে থাকলে ও মাসিক ঋতুস্রাব চলাকালিন অবস্থায় বৃদ্ধি। জরায়ুতে ভারবোধ এবং এই কারনে বেশী হাঁটতে পারে না। কোমরে প্রসব বেদনার ন্যায় বেদনা, বেদনা নীচের দিকে পা পর্যন্ত প্রসারিত হয়।

* আর্জেন্ট মেটালিকাম (Argentum Metallicum) – ডিম্বাশয় বড়ো হয়েছে বলে মনে হয়। নীচের দিকে ঠেলা মারার মত বেদনা। জরায়ুর স্থানচ্যুতি। ক্ষয়প্রাপ্ত এবং স্পঞ্জের মত সারভিক্স। জরায়ুর রোগ তৎসহ সন্ধিস্থানে এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বেদনা।

* অরাম মেটালিকাম (Aurum Metallicum) – নিজেকে তিরস্কার করার প্রবণতা ও নিজেকে অযোগ্য বলে মনে করে। তীব্র নৈরাশ্য, জীবনে বিতৃষ্ণা এবং অত্মহত্যার ইচ্ছা সহ যোনি নালী অত্যধিক অনুভুতি প্রবণ। জরায়ুর বিবৃদ্ধি ও স্থানচ্যুতি। বন্ধ্যাত। যোনিনালীর আক্ষেপ।

* অরাম মিউরিয়েটিকাম ন্যাট্রোনেটাম (Aurum Mur Nat) – জরায়ু গ্রীবার কঠিনতা। যুবতী মেয়েদের হৃদকম্প। পেটের ভিতর শীতল অনুভুতি। জরায়ুর পুরাতন প্রদাহ ও স্থানচ্যুতি। মনে হয় জরায়ু সমগ্র বস্থিকোঠর জুড়ে রয়েছে। জরায়ুর অল্প বিবৃদ্ধি। ডিম্বাশয়ের কঠিনতা।

* ক্যাল্কেরিয়া কার্বোনিকা (Calcarea Carbonica) – ক্যাল্কেরিয়া কার্বের প্রধান কাজ হল, শারীরিক যন্ত্রসমূহের কার্যপদ্ধতির উপর। পিটুইট্যারি ও থাইরয়েড গ্রন্থির ক্রিয়া বৈকল্য। ক্যাল্কেরিয়ার রোগী মেদযুক্ত, ফর্সা, থল থলে চেহারা যুক্ত এবং ঘামযুক্ত ও ঠাণ্ডা আদ্র, এবং অম্লগন্ধযুক্ত। ক্যাল্কেরিয়ার রোগিণীর জরায়ু খুব সহজেই স্থানচ্যুত হয়ে থাকে।

* ক্যাল্কেরিয়া সিলিকেটা (Calcarea Silicata) – যে সকল উপসর্গ ধীরে প্রকাশ পায় এবং দীর্ঘ সময় পরে যাদের পূর্ণতা প্রাপ্তি ঘটে, সেই সকল উপসর্গের ক্ষেত্রে একটি গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী কার্যকরী ঔষধ। জলীয় আবহাওয়ায় ও জলা জায়গায় থাকার ফলে যারা রোগ গ্রস্থ হয় এই ধাতুগ্রস্থ রোগিণীর জরায়ুতে ভারী বোধ, জরায়ুর স্থানচ্যুতি, প্রদর স্রাব, যন্ত্রণাদায়ক ও অনিয়মিত মাসিক ঋতুস্রাব। দুই ঋতুর মধ্যবর্তী সময়ে ঋতুস্রাব

* ইরিজিয়ান লেপটিলেনে ক্যানাডেন্সি (Erigeron Laptilon Canadense) – জরায়ু থেকে রক্তস্রাব, তৎসহ সরলান্ত্র ও প্রস্রাবথলির তীব্র উপদাহ এবং জরায়ুর স্থানচ্যুতি।

* ফ্রাক্সিনাস –এমেরিকেনা (Fraxinas Americana) – জরায়ুর বিবৃদ্ধি (Hyper trophy), জরায়ুর স্থানচ্যুতি (Displacement), প্রসবের পর জরায়ুর আকার ঠিক স্বাভাবিক অবস্থায় পরিণত না হওয়া (Subinvolution), জরায়ু সম্মুখদিকে বাঁকিয়া আসা (Anteversion), জরায়ু পশ্চাৎদিকে বাঁকিয়া বা ঘুরিয়া যাওয়া (Retroversion), জরায়ুর বহিনির্গমন (Prolapsus), জরায়ুর টিউমার, বাধক, মেট্রাইটিস প্রভৃতি স্ত্রীলোকের কতকগুলি জরায়ু সম্বন্ধীয় পীড়ায় এবং পায়ের তলায় খিলধরায় ইহা উপকারী।

* ফেরাম আয়োড (Ferrum Iod) – সামান্য পরিমাণ আহারেও পেট পূর্ণ হইয়া উঠে, যেন কত অধিক আহার করা হইয়াছে , আহারীয় বস্তু উপরদিকে গলায় ঠেলিয়া উঠে, তাহাতে বোধ হয় যেন কিছুই পাকস্থলীর মধ্যে প্রবেশ করে নাই তৎসহ জরায়ুর পশ্চাৎ-বক্রতা (Retroversion), সিদ্ধ মণ্ডের মত একপ্রকার শ্বেত-প্রদর স্রাব, মলত্যাগের সময় দড়ি কিম্বা তারের মত এক প্রকার লম্বা সাদা স্রাব যোনি দিয়ে নির্গমন। সর্বদাই বোধ হয় যেন তলপেট হইতে কোন পদার্থ যোনিদ্বার দিয়া বাহির হইয়া আসিতেছে।

* ফেরাম-ব্রোমেটাম (Ferrum Bromatum) – জরায়ু বাহির হইয়া পড়ে, প্রসবের পর প্রলাপ্সস, চটচটে শ্বেতপ্রদর স্রাব, স্রাবে হাজিয়া যায়। প্রস্রাব ত্যাগ কালে জ্বালা, কোঁথানিসহ আমরক্ত, স্পারম্মাটরিয়া।

* হেলোনিয়াস ক্যামেলিরিয়াম (Helonias Chamaelirium) – ত্রিকাস্থি ও বস্থিকোটর স্থানে দুর্বলতা, টেনে ধরার মত অনুভুতি ও ভারিবোধ, তৎসহ প্রচণ্ড অবসন্নতা ও ক্লান্তিভাব। যারা অলসভাবে ও বিলাসিতার মধ্যে জীবন কাটিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে অথবা যে সকল স্ত্রীলোক কঠোর পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, ক্লান্ত পরিশ্রান্ত পেশীসমূহের জ্বলন এবং কনকনানি ও অনিদ্রা। তাদের জরায়ুর স্থানচ্যুতি, বিশেষ করে গর্ভস্রাবের পর। যোনিকপাটে চুলকানি। গর্ভস্রাবের পর পিঠের বেদনা। জরায়ুতে ভারী বোধ ও টাটানি ব্যথা।

* হাইড্রোফবিনাম (Hydrophobinum) – মুলতঃ স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে, অস্থিসমূহের ভিতর কনকনানি। অস্বাভাবিক কামোত্তেজনা থেকে উদ্ভুত উপসর্গসমূহ। জরায়ুর স্পর্শকাতরতা, জরায়ুর স্থায়িত্ব সম্পর্কিত অনুভুতি। স্থানচ্যুতির ন্যায় অনুভুতি। যোনিপথ অনুভুতি প্রবণ, সঙ্গম বেদনাদায়ক। জরায়ুর স্থানচ্যুতি।

* ল্যাপ্পা-আর্কটিয়াম (Lappa – Arctium) – চর্মরোগ চিকিৎসায় এটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ বিশেষ। জরায়ুর মধ্যে তীব্র ক্ষতবৎ থেৎলিয়ে জাবার মত অনুভুতি। জরায়ুর স্থানচ্যুতি। তৎসহ যোনিদেশের তন্তুসমূহের শিথিলতা, বস্থিকোটরের সকল যন্ত্রসমূহের স্থিতিপকতার অভাব। এই সকল লক্ষণ সমূহ দাঁড়িয়ে থাকলে, হাঁটা-চলা করার সময়ে, চলার সময় সঠিকভাবে পা না ফেললে অথবা আকস্মিক ঝাঁকুনিতে বৃধি হয়

* লিলিয়াম টাইগ্রিনাম (Lilium Tigrinum) – বস্থিকোটরের যন্ত্রাদির উপর এই ঔষধের শক্তিশালী কাজের পরিচয় পাওয়া গিয়াছে। ঋতুস্রাব নির্দিষ্ট সময়ের আগে, অপ্ল, কালচে জমাট বাঁধা, দুর্গন্ধযুক্ত। কেবলমাত্র ঘুরে বেড়াবার সময় স্রাব হয়। নীচের দিকে কিছু ঠেলে বেরিয়ে আসার মত অনুভুতি তৎসহ দ্রুত মলত্যাগের বেগ, মনে হয় যেন সমস্ত যন্ত্রগুলি বেরিয়ে আসবে। বিস্রামকালে সবকিছু শান্ত থাকে। জরায়ু রক্তাধিক্য, স্থানচ্যুতি এবং জরায়ু ঘুরে যাওয়া। অবিরাম জননেন্দ্রিয়ের বাইরের অংশ চেপে ধরে থাকার স্পৃহা।

* মেল – কাম – সেল (Mel Cum Sale) – জরায়ুর স্থানচ্যুতি ও জরায়ুর পুরাতন প্রদাহ বিশেষতঃ যে সকল ক্ষেত্রে একই সঙ্গে জরায়ুর সামান্য বিবৃদ্ধি ও জরায়ুর গ্রীবার প্রদাহ সংশ্লিষ্ট থাকে। এই ঔষধটি নির্বাচনের বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ লক্ষণটি হল, তলপেটের নিম্নাংশ থেকে আড়াআড়ি ভাবে, একদিকের ইলিয়াম থেকে অপর ইলিয়াম পর্যন্ত টাটানি ব্যথা। জরায়ুর স্থানচ্যুতি এবং জরায়ু প্রদাহের প্রারম্ভে। প্রস্রাব থলি অধিক পূর্ণ, এই জাতীয় অনুভুতি। ত্রিকাস্থি স্থান হইতে বস্থিদেশ পর্যন্ত বেদনা। মুত্র ভানালি বা ইউরেটারের ভিতরে বেদনা।

* প্যালেডিয়াম (Palladium) – প্যালেডিয়াম ডিম্বাশয়ের একটি ঔষধ বিশেষ , ঔষধটি পুরাতন ডিম্বাশয়ের লক্ষণ সমষ্টি সৃষ্টি করে। জরায়ুর স্থানচ্যুতি ও জরায়ু পিচনের দিকে ঘুরে যায়। বস্থিকোটরীয় অন্ত্রাবর ঝিল্লির নাতি প্রবল প্রদাহ, তৎসহ ডানদিকের বেদনা ও পিঠের বেদনা; অতিরজঃ। জরায়ুতে কেটে ফেলার মত বেদনা, মল ত্যাগের পরে উপশম। ডানদিকের ডিম্বাশয়ের স্থানে স্ফীতি ও বেদনা।

* পডোফাইলাম (Podophyllum) – পিত্তাধিক্যযুক্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ঔষধটি বিশেষভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। জরায়ু ও ডানদিকের ডিম্বাশয়ে বেদনা তৎসহ অন্ত্রের উরধগামি অংশের ভিতর দিয়ে প্রসারিত শব্দ সমূহ। অবরুদ্ধ ঋতুস্রাব, তৎসহ বস্থিকোটরের কোঁথ। জরায়ুর স্থানচ্যুতি, বিশেষ করে প্রসবের পর । গর্ভাবস্থায় অর্শ ও মলদ্বারের স্থানচ্যুতি।

* রাস টক্স (Rhus Toxicodendron) – অতিরিক্ত বেগ বা কোঁথানির নিমিত্ত, কিম্বা কোনও ভারী দ্রব উত্তোলন করিয়া জরায়ুর বহিনির্গমন। ডাঃ মিলটন বলেন ঠাণ্ডা লাগিয়া কিম্বা জলে ভিজিয়া অর্থাৎ শৈত্যে , স্ত্রীলোকদের জরায়ু সম্বন্ধীয় যে কোন পীড়া হউক না কেন রাসটক্স উপকারী।

* ষ্টেনাম (Stannum) – ঔষধটি স্নায়ুমণ্ডল ও শ্বাসযন্ত্রের উপর বিশেষ কাজ করে। নীচের দিকে ঠেলামারা বেদনা। জরায়ু নির্গমন তৎসহ পাকস্থলীতে দুর্বলতা, নিমগ্রতাবোধ। ঋতুস্রাব অগ্রবর্তী ও প্রচুর। যোনিপথে বেদনা, উপরের দিকে এবং পিঠ হতে মেরুদণ্ড পর্যন্ত। প্রদ্রস্রাব তৎসহ অত্যন্ত দুর্বলতা।

* ট্রিলিয়াম পেন্ডুলাম (Trillium Endulum) – এই ঔষধটি সাধারণত রক্ত স্রাবের পক্ষে বিশেষ উপযোগী। জরায়ু হইতে রক্তস্রাব তৎসহ কটিদেশ ও পিঠ যেন ভেঙ্গে চূর্ণ হচ্ছে এমন অনুভুতি, শক্ত করে বেধে রাখলে উপশম। সামান্য নড়াচড়ায় উজ্জল রক্ত সবেগে নির্গত হয়। সৌত্রিক অর্বুদ হতে রক্তস্রাব। প্রসব বেদনার ন্যায় বেদনাসহ জরায়ু বের হয়ে পড়ে।
-------------------------------------------------------------------------------------------------
চিকিৎসার জন্য যোগাযোগের ঠিকানাঃ

ডাঃ মোঃ আতাউর রহমান।
ডি,এইচ,এম,এস (রংপুর), বি.এইচ.বি (ঢাকা)।
১৫+ বছরের অভিজ্ঞ , ক্রনিক ও পুরাতন রোগের সফল চিকিৎসক।

চেম্বারঃ-
সাদিক হোমিও হল,
মুন্সিরহাট বাজার (অগ্রণী ব্যাঙ্কের নীচতলা), সদর জেলা ঠাকুরগাঁও।
মোবাইলঃ নং – 01916–133246 ।

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৫

প্রাকৃতিক উপায়ে মেয়েদের স্তন বা ব্রেস্ট ছোট করার কৌসল

আজ দেকলাম কোনো এক বোন হয়ত গুগল সার্চ করেছেন এ সংক্রান্ত Key Word দিয়ে। তাই ভাবলাম এটা নিয়ে লিখা যাক। আজ লিখব কিভাবে প্রাকৃতিকভাবে মেয়েদের স্তন বা ব্রেস্ট ছোট করা যায়। অনেক মেয়েই তার বড় ব্রেস্ট নিয়ে অনেক সময় সমস্যায় পড়েন। সাধারণত ৩৪/৩৬ মেয়েদের স্ট্যান্ডার্ড ব্রেস্ট সাইজ। যদি ব্রেস্টের মাপ ৩৮ ও হয়, তাতেও সমস্যা নেই।

যদি আপনি স্ট্যান্ডার্ড ব্রেস্টের মাপ এর চেয়ে ছোট করতে চান, তবে তা দেখতে বেমানান লাগবে। এ পদ্বতিটি শুধুমাত্র তাদের জন্য যাদের ব্রেস্ট খুবই বড় অথবা অস্বাভাবিক। তাই নিম্নে প্রাকৃতিকভাবে ব্রেস্ট ছোট করার কয়েকটি উপায় আলোচনা করা হলোঃ

অস্বাস্থ্যকর খাবার বর্জন:-
অস্বাস্থ্যকর খাবার, বিশেষ করে ফাস্টফুড খাবার বর্জন করতে হবে। এছাড়া চিনিজাতীয় খাবারও বর্জন করতে হবে। বিভিন্ন সফট ড্রিংক্স, জুস, আইসক্রিম, চিপস, তেলে ভাজা খাবার একদম খাবেন না।

ওজন নিয়ন্ত্রণ:-
মেয়েদের ব্রেস্ট টিস্যুর ৯০% হলো ফ্যাট। তাই শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমিয়ে প্রাকৃতিকভাবে ব্রেস্ট ছোট করা যায়। তবে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমানোর জন্য শুধুমাত্র ব্রেস্টকেই টার্গেট করা যাবে না। তাই ব্রেস্ট ছোট করার ক্ষেত্রে আপনাকে পুরো শরীরের প্রতি নজর দিতে হবে, যা আপনার ব্রেস্ট ছোট করতে সাহায্য করবে। তাই ফিগার ম্যানটেইন করুন।

পুষ্টি:-
স্বাস্থ্যকর খাবার, বিশেষ করে শাক-সবজী বেশী করে খাবেন। দুই ঘন্টা পর পর লো ক্যালোরীর খাবার খান। এতে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরী ঝরে যাবে এবং আপনার শরীরের ওজনও কমে যাবে। এক্ষেত্রে “Kellogg’s Special K” ট্রাই করে দেখতে পারেন। তবে সফট ড্রিংক্স এবং জুস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, কারণ এতে থাকা অতিরিক্ত চিনি আপনার ব্রেস্ট কমানোর বদলে বৃদ্বি করতে সাহায্য করবে।

ব্যায়াম:-
শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমানোর জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। নিয়মিত ব্যায়াম করলে এবং নিয়মিত ডায়েট করলে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমে যাবে। ব্যায়াম করলে আপনার শরীরের পেশীগুলো নতুন করে সুসংগঠিত হবে, ফলে আপনার ব্রেস্ট ছোট হবে। তবে এধরণের ব্যায়াম পরিমিত করবেন।

এ্যারোবিক্স:-
সপ্তাহে অন্তত ৫-৬ দিন, অর্থাৎ প্রতিদিন আধঘন্টা করে যদি এ্যারোবিক্স করেন, তাহলে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমে যাবে। তাই ব্রেস্ট ছোট করতে চাইলে এ্যারোবিক্স ট্রাই করতে পারেন।

ডায়েট:-
ব্রেস্ট ছোট করার ক্ষেত্রে ডায়েট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা অবহেলা করা উচিত নয়। ডায়েট করতে হলে বিভিন্ন ফল, শাক-সবজী, রুটি খেতে পারেন। তবে বাটার, আইসক্রিম, চিপস, বার্গার এবং বিভিন্ন তেলে ভাজা খাবার বর্জন করতে হবে।

এছাড়া জামা-কাপড় এবং জুয়েলারীর মাধ্যমেও আপনার বড় ব্রেস্টকে ছোট দেখাতে পারেন, যদি আপনি ব্রেস্ট ছোট করার ঝামেলা করতে না চান। এ পদ্বতিটি তাদের জন্য যারা নিজেদের ব্রেস্ট ছোট দেখাতে পছন্দ করেন। উপায়গুলো নিম্নে দেয়া হলোঃ

মিনিমাইজিং ব্রা ব্যবহারঃ যাদের ব্রেস্ট বড়, তারা মিনিমাইজিং ব্রা ব্যবহার করতে পারেন। এর বিভিন্ন ডিজাইন রয়েছে। আপনার ব্রেস্টের মাপ অনুযায়ী ব্রা কিনুন। এ ধরণের ব্রা পরলে আপনার ব্রেস্টকে অন্তত ২ সাইজ কম দেখাবে। এছাড়া মিনিমাইজিং ব্রা পরতে আরামদায়ক এবং ব্রেস্টের সাইজ কম দেখানোর অন্যতম উপায়।

জামা-কাপড় এবং জুয়েলারীর মাধ্যমে ব্রেস্ট ছোট দেখানোঃ জামা-কাপড়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই লম্বা এবং ঢিলেঢালা জামা পরতে পারেন। এছাড়া গাঢ় রংয়ের জামা পরতে পারেন। এতে ব্রেস্টের প্রকৃত মাপ বোঝা যায় না। ব্রেস্টের অধিকাংশ দেখা যায় এমন জামা পরবেন না। এছাড়া বড় গলার ডিজাইন করা এবং শর্ট জামাও পরবেন না। শর্ট জামা পরলে ব্রেস্ট বড় দেখায়। আর জুয়েলারীর ক্ষেত্রে এমন কোন জুয়েলারী পরবেন না যা ব্রেস্টের মাঝখানে এসে ঝুলে থাকে। চাইলে গলায় থাকবে এমন ছোটখাট কোন জুয়েলারী পরুন।

অন্যান্য ব্রা এর মাধ্যমে ব্রেস্ট ছোট দেখানোঃ মিনিমাইজিং ব্রা ছাড়াও অন্যান্য ব্রা এর মাধ্যমেও বড় ব্রেস্টকে ছোট দেখানো যায়। সেক্ষেত্রে পাতলা ধরণের দুটি ব্রা একত্রে পরিধান করুন। এক্ষেত্রে কাপড় বা পাতলা ফোম জাতীয় সঠিক কাপ সাইজের ব্রা পরতে পারেন। এতে আপনার ব্রেস্ট টানটান থাকবে এবং আপনার ব্রেস্ট ছোট দেখাবে। এছাড়া স্পোর্টস ব্রা পরতে পারেন। এতেও ব্রেস্ট ছোট দেখাবে। ভুলেও টাইট ব্রা অথবা ব্লাউজ পরবেন না।