সন্ধান করুন

শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

আপনার মেয়ের ভবিষ্যৎ কি জরায়ু-মুখ ক্যান্সার থেকে সুরক্ষিত?

জরায়ু-মুখ ক্যানসার!

♣ নারীর জরায়ু-মুখে একটি মারাত্মক ক্ষতিকর টিউমার হলো জরায়ু-মুখ ক্যান্সার।

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) নামক একটি ঘাতক ভাইরাস দ্বারা দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ হলে এই রোগ হতে পারে।

♣ সংক্রমণ হবার পর জরায়ু-মুখ ক্যান্সার হতে প্রায় ১০-২০ বছর সময় লাগে।

                                                    রোগের পকোপঃ

♣ জরায়ু-মুখ ক্যান্সার বাংলাদেশের ১৫-৪৫ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে দ্বিতীয় প্রধান ক্যান্সার।

♣ বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১২ হাজার জন নারী নতুন করে জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।

        ♠ প্রতিদিন সারাদেশে গড়ে ১৮ জন নারী এই ক্যান্সারে মারা যাচ্ছেন ♠

                                               এই রোগ কিভাবে সংক্রমিত হয়?

♥ যৌন সংস্পর্শ এই রোগ ছড়ানোর প্রধান মাধ্যম।

♥ শতকরা ৮০ ভাগ নারী তাদের জীবনে এইচ.পি.ভি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন।

♥ একজন নারীর সহজাত শারীরিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বা কনডমের ব্যবহার, কখনো এই ইনফেকশনের বিরূদ্ধে স্থায়ী প্রতিরোধকারী হিসেবে কাজ করতে পারে না।

                   ♠ যৌন সক্রিয় প্রতিটি নারীরই তাই এই ঝুঁকি রয়েছে। ♠

                                         এই রোগের লক্ষন সমূহ কি কি?

♦ অস্বভাবিক রক্তপাত ;
♦ মাসিক বন্ধের পর রক্তপাত ;
♦ সহবাসের পর রক্তপাত ;
♦ দুর্গন্ধময় সাদা স্রাব।

                   ♠ জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের কোর পূর্ব লক্ষণ নেই ♠

                                       রোগ নির্ণয়ঃ

♥ কলপোস্কপি, বায়োপসি ও কোন বায়োপসি পরীক্ষার  মাধ্যমে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার সনাক্ত করা হয়।

আমাদের দেশের অনেক নারীর জরায়ুমুখের ক্যান্সার একেবারেই শেষপর্যায়ে ধরা পরে, তখন পর্যাপ্ত চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না।

                                     চিকিৎসাঃ

জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের চিকিৎসা নির্ভর করে রোগের বিস্তারের উপর।

এলোপ্যাথিতে চিকিৎসা পদ্ধতি মূলতঃ তিন ধরনের,

★ অপারেশন ;
★ রেডও থেরাপি ;
★ কেমো থেরাপি।

এলোপ্যাথি বিধান মতে সাধারণত জরায়ুমুখ ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে জরায়ুমুখ অপারেশন করে কেটে ফেলা হয়, ফলে একজন নারী মা হবার ক্ষমতা হারাতে পারেন। যদি রোগ বেশি ছড়িয়ে পড়ে তবে কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়। কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি ব্যয়বহুল এবং দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা।

হোমিওপ্যাথি বিধান মতেও জরায়ু-মুখ চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী তবে সল্প খরচে চিকিৎসা সম্ভব। লক্ষন অনুসারে হোমিও ঔষধ সেবনে ইনশা-আল্লাহ্ জরায়ু-মুখ ক্যন্সার ভাল হয়ে যায়।

♠ মনে রাখবেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার শুধু শারীরিক ভাবেই নয় মানসিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ♠

                                    প্রতিরোধের উপায় সমুহঃ

♦ জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের টিকা গ্রহন ;

♦ নিয়মিত জরায়ুমুখের পরীক্ষা (PAP Smear & VIA Test) ;

♦ ধুমপান বর্জন করা ;

♦ বাল্য বিবাহ থেকে বিরত থাকা।

বিস্তরিত জানতে আপনার চিকিসকের সাথে কথা বলুন।

                                   অথবা

রোগ বিষয়ে যেকোনও পরামর্শ বা চিকিৎসা সেবা নিতে যোগাযোগ করুনঃ
-------------------------------------------------------------------

চিকিৎসার জন্য যোগাযোগের ঠিকানাঃ

ডাঃ মোঃ আতাউর রহমান।
ডি.এইচ.এম.এস (রংপুর), বি.এইচ.বি (ঢাকা)।
১৫+ বছরের অভিজ্ঞ, ক্রনিক ও পুরাতন রোগের সফল চিকিৎসক।

চেম্বারঃ-
সাদিক হোমিও হল,
মুন্সিরহাট বাজার (অগ্রণী ব্যাঙ্কের নীচতলা), সদর জেলা ঠাকুরগাঁও।
মোবাইলঃ নং – 01916–133246 ।

ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন সবাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন