সন্ধান করুন

বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫

প্রাকৃতিক উপায়ে বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা এবং বীর্য ঘনত্ব বাড়ানোর কার্যকর পদ্ধতি

যদি কোন পুরুষ মনে করেন যে তার বীর্যে শুক্রানু প্রয়োজনীয় পরিমানে সর্বোচ্চ নয়, তাহলে তিনি কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারেন। মনে রাখবেন আপনি যদি একবছরের বেশি সময় ধরে এ চেষ্টা না করে থাকেন তাহলে বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার মত কোন কিছু নেই। আর যদি আপনি এক বছরের চেয়ে বেশি সময় ধরে সন্তান নেবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন, তাহলেই হোমিওপ্যাথের শরনাপন্ন হতে হবে।

বীর্যে শুক্রানুর পরিমান/সংখ্যা নিয়ে পুরুষের কিছু ভুল ধারনা:-
শুক্রানু সংখ্যা বৃদ্ধির উপায় বলার আগে চলুনএ বিষয়ে কিছু ভুল ধারনা সম্পর্কে যানা যাক। কিছু মানুষ মনে করেন তার বীর্যের পরিমান এবং রঙের দিকে তাকিয়ে নিঃস্বরিত বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা অনুমান করা সম্ভব! বীর্যের পরিমান দিয়ে কোন পুরুষের বন্ধত্ব কিংবা সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা নির্ধারন করা যায়না। বীর্যের বেশিরভাগ অংশ বীর্য-তরল, তাই খালি চোখে আমরা যা দেখি তা দিয়ে দৃশ্যমান বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা নিরূপন করা করা অসম্ভব। বীর্যে শুক্রানুর পরিমান/সংখ্যা জানতে তা মাইক্রোস্কপে পরীক্ষা করা অবশ্যক।

কিছু মানুষ মনে করে খৎনা না করা লিঙ্গ পুরুষের সন্তান জন্মদান ক্ষমতাকে ক্ষতিসাধন করতে পারে। খৎনা এবং শুক্রানুর সংখ্যার সাথে কোন পারস্পরিক সম্পর্ক নেই। খৎনা হলো শুধুমাত্র লিঙ্গের অগ্রভাগ থেকে কিছুটা চামড়া কেটে ফেলা মাত্র। খৎনা নিয়ে জাতি এবং ধর্মবেধে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু লিঙ্গের অগ্রভাগে চামড়া থাকা এবং না থাকার সাথে বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যায় কো ন পার্থক্য হয়না।

অন্য একটি ভুল ধারনা হলো, যৌন পুরুষোচিত তেজ এর ভিত্তিতে একজন পুরুষ বলতেপারে তার বীর্য কতটা উর্বর। উন্নত যৌনক্ষমতা থাকা হয়তো আনন্দের, কিন্তু তা পুরুষের সন্তান জন্মদান ক্ষমতা এবং বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা পরিমানের সাথে কোন প্রকার সম্পর্কযুক্ত নয়। শুক্রানুর সংখ্যার সাথে অনেকগুলো কারন জড়িত থাকতে পারে, কিন্তু ভাল যৌনমিলন ক্ষমতা এর সাথে সম্পর্কিত নয়।

বীর্যে শুক্রানুর সংখ্যা বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়:-
অল্প কিছু বিষয় পুরুষের বীর্যে শুক্রানু সংখ্যার উপর প্রভাব ফেলে। নিন্মে তার কিছু বর্ননা করা হলো:

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন:-
পর্যপ্ত পুষ্টিযুক্ত খাবার, নিয়মিত শরীর চর্চা এবং শরীরের সঠিক ওজন ধরে রাখার মাধ্যমে উর্বরতা (fertility) উন্নয়ন করা যায়। শাকসব্জি এবং ফলমুল খাদ্য তালিকায় থাকলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে যা উর্বরতায় (fertility) ভুমিকা রাখে। গবেষনায় দেখা গেছে শাকাসব্জি ও ফলমুলে বিদ্যমান এন্টিঅক্সিডেন্ট উর্বরতা (fertility) এর জন্য অনেক বেশি উপকারী। পাশাপাশি সঠিক শাররীক ওজনও একটি গুরুত্বপুর্ন বিষয়। অতিরিক্ত মেদযুক্ত পুরুষের শুক্রানুর সংখ্যা এবং শুক্রানুর গুনগত মান উভয়ই খারাপ হয়ে থাকে।

ধুমপান হতে বিরত থাকুন:-
এখনাকার সময় সবাই যানে ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে ধুমপান শুধুমাত্র মোটের উপর স্বস্থ্যের জন্য ঝুকিপুর্ন নয়, এটি আপনার সন্তান জন্মদান ক্ষমতাও ধ্বংস করতে পারে। এক স্টাডিতে দেখা গেছে, যেসকল পুরুষ ধুমপান করেন তাদের বীর্যে শুক্রানুর পরিমান যারা ধুমপান করেননা তাদের তুলনায় ১৭% কম।

মদ কিংবা অন্য মাদক পরিহার করুন:-
অতিরিক্ত মদ্যপান অথবা মাদকের ব্যবহার উর্বরতা নষ্ট করতে পারে। যেসকল পুরুষ দিনে ৪ গ্লাসের বেশি মদ্যপান করে থাকেন তাদের শুধুমাত্র সন্তান জন্মদান ক্ষমতা নয় – মোটের উপর যৌনক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। পাশাপাশি অধিক মাদক গ্রহন পুরুষের লিঙ্গের দৃঢ়তা ধরে রাখা ব্যহত করে যা স্থায়ী যৌন অক্ষমতায় রূপ নিতে পারে।

নিয়মিত যৌনমিলন করুন:-
আপনি হয়তো মনে করছেন যৌনমিলন করা সন্তান প্রত্যশি যুগলের জন্য ভাল জিনিস, কিন্তু অনেক যগলের ভুল ধারনা আছে যে মাত্রতিরিক্ত শাররীক মিলন করলে বীর্যে শুক্রানুর পরিমান কমে যায়। তথ্যটি একসময় সত্য ছিল – কিন্তু বর্তমানে সুঠাম স্বাস্থ্যবান (মোটা নয়) পুরুষের ক্ষেত্রে এটি ভুল ধারনা বলে প্রমানিত হয়েছে। একসময় ডাক্তার এমন পরামর্শ দিতেন যে, যেসকল পুরুষেরশুক্রানু সংখ্যা কম তারা কিছুদিন শাররীক মিলনে বিরতি দিয়ে শুক্রানু জমা করে শাররীক মিলন করতে পারেন। যদিও অনিয়মিত যৌনমিলন হয়তো সংখ্যায় কোনক্রমে উন্নতহয়, একই সাথে শুক্রানুর গুনগত মানে এর নেগেটিভ ইফেক্ট আছে। যখন একজন পুরুষ নিয়মিত যৌনমিলন করে তখন প্রতিবার বীর্যস্থলনের সময় সে তার ক্রুটিপুর্ন শুক্রানুর একটা অংশ নিষ্কৃত করে।

এভাবে ক্রুটিপুর্নশুক্রানু নির্গত করে সে স্বাস্থ্যবান শুক্রানু উৎপাদনের জন্য যায়গা খালি করে। সকালবেলা যৌনমিলন করলেও লাভবান হবার সম্ভাবনা আছে। গবেষণায় দেখা গেছে সকালবেলা প্রাকৃতিক ভাবেই বীর্যে শুক্রানু সংখ্যা সর্বোচ্চ পরিমানে থাকে। তবে যদি রোগ বা অন্য কারণে এ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে কথা বলতে ভুলবেন না।

শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

আপনার মেয়ের ভবিষ্যৎ কি জরায়ু-মুখ ক্যান্সার থেকে সুরক্ষিত?

জরায়ু-মুখ ক্যানসার!

♣ নারীর জরায়ু-মুখে একটি মারাত্মক ক্ষতিকর টিউমার হলো জরায়ু-মুখ ক্যান্সার।

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) নামক একটি ঘাতক ভাইরাস দ্বারা দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ হলে এই রোগ হতে পারে।

♣ সংক্রমণ হবার পর জরায়ু-মুখ ক্যান্সার হতে প্রায় ১০-২০ বছর সময় লাগে।

                                                    রোগের পকোপঃ

♣ জরায়ু-মুখ ক্যান্সার বাংলাদেশের ১৫-৪৫ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে দ্বিতীয় প্রধান ক্যান্সার।

♣ বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১২ হাজার জন নারী নতুন করে জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।

        ♠ প্রতিদিন সারাদেশে গড়ে ১৮ জন নারী এই ক্যান্সারে মারা যাচ্ছেন ♠

                                               এই রোগ কিভাবে সংক্রমিত হয়?

♥ যৌন সংস্পর্শ এই রোগ ছড়ানোর প্রধান মাধ্যম।

♥ শতকরা ৮০ ভাগ নারী তাদের জীবনে এইচ.পি.ভি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন।

♥ একজন নারীর সহজাত শারীরিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বা কনডমের ব্যবহার, কখনো এই ইনফেকশনের বিরূদ্ধে স্থায়ী প্রতিরোধকারী হিসেবে কাজ করতে পারে না।

                   ♠ যৌন সক্রিয় প্রতিটি নারীরই তাই এই ঝুঁকি রয়েছে। ♠

                                         এই রোগের লক্ষন সমূহ কি কি?

♦ অস্বভাবিক রক্তপাত ;
♦ মাসিক বন্ধের পর রক্তপাত ;
♦ সহবাসের পর রক্তপাত ;
♦ দুর্গন্ধময় সাদা স্রাব।

                   ♠ জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের কোর পূর্ব লক্ষণ নেই ♠

                                       রোগ নির্ণয়ঃ

♥ কলপোস্কপি, বায়োপসি ও কোন বায়োপসি পরীক্ষার  মাধ্যমে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার সনাক্ত করা হয়।

আমাদের দেশের অনেক নারীর জরায়ুমুখের ক্যান্সার একেবারেই শেষপর্যায়ে ধরা পরে, তখন পর্যাপ্ত চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না।

                                     চিকিৎসাঃ

জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের চিকিৎসা নির্ভর করে রোগের বিস্তারের উপর।

এলোপ্যাথিতে চিকিৎসা পদ্ধতি মূলতঃ তিন ধরনের,

★ অপারেশন ;
★ রেডও থেরাপি ;
★ কেমো থেরাপি।

এলোপ্যাথি বিধান মতে সাধারণত জরায়ুমুখ ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে জরায়ুমুখ অপারেশন করে কেটে ফেলা হয়, ফলে একজন নারী মা হবার ক্ষমতা হারাতে পারেন। যদি রোগ বেশি ছড়িয়ে পড়ে তবে কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়। কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি ব্যয়বহুল এবং দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা।

হোমিওপ্যাথি বিধান মতেও জরায়ু-মুখ চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী তবে সল্প খরচে চিকিৎসা সম্ভব। লক্ষন অনুসারে হোমিও ঔষধ সেবনে ইনশা-আল্লাহ্ জরায়ু-মুখ ক্যন্সার ভাল হয়ে যায়।

♠ মনে রাখবেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার শুধু শারীরিক ভাবেই নয় মানসিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ♠

                                    প্রতিরোধের উপায় সমুহঃ

♦ জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের টিকা গ্রহন ;

♦ নিয়মিত জরায়ুমুখের পরীক্ষা (PAP Smear & VIA Test) ;

♦ ধুমপান বর্জন করা ;

♦ বাল্য বিবাহ থেকে বিরত থাকা।

বিস্তরিত জানতে আপনার চিকিসকের সাথে কথা বলুন।

                                   অথবা

রোগ বিষয়ে যেকোনও পরামর্শ বা চিকিৎসা সেবা নিতে যোগাযোগ করুনঃ
-------------------------------------------------------------------

চিকিৎসার জন্য যোগাযোগের ঠিকানাঃ

ডাঃ মোঃ আতাউর রহমান।
ডি.এইচ.এম.এস (রংপুর), বি.এইচ.বি (ঢাকা)।
১৫+ বছরের অভিজ্ঞ, ক্রনিক ও পুরাতন রোগের সফল চিকিৎসক।

চেম্বারঃ-
সাদিক হোমিও হল,
মুন্সিরহাট বাজার (অগ্রণী ব্যাঙ্কের নীচতলা), সদর জেলা ঠাকুরগাঁও।
মোবাইলঃ নং – 01916–133246 ।

ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন সবাই।

যৌনবাহিত রোগসমূহ এবং হোমিও চিকিৎসা

সিফিলিস :-

সিফিলিস রোগের জীবানুর নাম ট্রেপনোমাপ্যালিডাম। সিফিলিস আক্রান্ত কারো সাথে যৌন মিলনে এই রোগ হয়ে থাকে, তবে রোগীর রক্ত গ্রহনের মাধ্যমেও এই রোগ হয়। আবার গর্ভাবস্থায় মায়ের সিফিলিস থেকে থাকলে সন্তান সেখান থেকে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ভূমিস্ট হয়ে থাকে। সাধারণত আক্রান্ত কারো সাথে যৌন মিলনের ২-৪ সপ্তাহ পরে এই রোগের লক্ষন গূলো দেখা দেয়, তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ৩ মাস পর্যন্ত দেরী হতে পারে।
এটা শুরুতে পুরুষের যৌনাঙ্গের মাথায় বা শীস্নে হাল্কা গোলাপী বর্ণের একটা দাগ হিসেবে দেখা দেয়। ধীরে ধীরে এটা বড় হয়ে ফোস্কা বা ঘায়ের মতো হতে থাকে। রোগ শুরুর ২ মাসের মধ্যেও যদি চিকিৎসা না নেয়া হয় তবে যৌনাঙ্গের ঘা দ্রুত ছড়াতে থাকে এবং সেই সাথে জর ওমাথা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয় এবং শরীরের বিশেষকরে কুচকীর গ্রন্থিগুলো বড় হয়ে যেতে থাকে। এ রোগ পায়ু-পথ, ঠোট, মুখ, গলনালী, খাদ্যনালী এমনকি শ্বাসনালীতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে, অবশ্য এটা নির্ভর করে কোন পথে যৌনাচার করা হয়েছিলো তার উপড়।

এ অবস্থায় ও যদি কেউ চিকিৎসা নিতে অবহেলা করে তবে রোগটি খুবই জটিল আকার ধারন করে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এটি সুপ্ত অবস্থায় চলে যায় এবং বছর দুয়েক সুপ্ত থাকারপরে ভয়াবহ রুপে দেখা দেয়। এভাবে চিকিৎসাহীন থেকে গেলে পুরুষাঙ্গের মাথায় বিশাল আকৃতির বিশ্রী ক্ষত বা ঘা হয়, অবস্থা আরো জটিল হতে থাকে এবং এক সময় এই রোগ হৃদপিন্ড এবং মস্তিস্কে ছড়িয়ে পরে বা নিউরোসিফিলিস (Neurosyphilis) হয়, যা রোগীকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।

বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে (যেমন VDRL, TPHA) এই রোগটি সনাক্ত করা যায়। প্রাথমিকপর্যায়েই সিফিলিসের চিকিৎসা করানো উচিত। চিকিৎসকেরপরামর্শ অনুযায়ী পেনিসিলিন শ্রেনীর ঔষধ সেবন অথবা ইঞ্জেকশন গ্রহনে এই রোগ ভালো হয়ে যায়। স্বামী-স্ত্রী বা যৌনসঙ্গী উভয়েরই চিকিৎসা নেয়া উচিত অন্যথায়এই ইনফেকশন সঙ্গীর কাছ থেকে আবার হতে পারে।

গনোরিয়া :-

যৌন বাহিত এই রোগটি নাইজেরিয়া গনোরি নামক একপ্রকার ব্যকটেরিয়ার কারনে হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে মিলনের ৮-১০ দিন পর এই রোগের লক্ষন গুলো দৃষ্টিগোচর হয়। পুরুষের যৌনাংগ দিয়ে পুজ (Pus) বের হওয়া, প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলো গনোরিয়া রোগের উপসর্গ।মহিলাদের যোনিপথ, মূত্রনালী ও গুহ্যদারে এই রোগ হয়। যদিও অনেক মহিলার ক্ষেত্রেই রোগটি কোনো লক্ষন প্রকাশ করেনা তবে প্রসাবে জ্বালাপোড়া, যোনিপথে স্রাব আসা (Vaginal discharge) এসব উপসর্গ নিয়ে অধিকাংশ রোগী চিকিৎসকের দারপ্রান্তে উপস্থিত হয় । সমকামীরা এই রোগে গুহ্যদারে আক্রান্ত হয়।

যৌনাংগ থেকে নিঃসৃত নির্যাস বা পুজ থেকে স্মেয়ার (Smear) বা স্লাইডতৈরী করে অথবা কালচার (Culture) করেও এর জীবানু সনাক্ত করা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পেনিসিলিন বা সেফালোস্পোরিন জাতীয় অসুধ গ্রহনে এই রোগ ভালো হয়ে যায়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে পুরুষের শুক্রাশয় (Testes), মহিলাদের ডিম্বাশয় (Ovary), ডিম্বনালী এসব স্থানে প্রদাহ হয়ে রোগী বন্ধাত্ব বরণ করতে পারে। মায়ের এইরোগ থাকলে শিশু অপথাল্মিয়া নিওন্যাটারাম (Opthalmia neonataram) নামক চোখের প্রদাহ নিয়েজন্ম নিতে পারে।

ব্যাকটেরিয়াল ভাজিনোসিস (বিভি/BV) :-

এই রোগকে কঠিন অর্থে যৌন সংক্রান্ত রোগ বলা যায় না, কারণ এই রোগ যৌনমিলনের দ্বারা সংক্রামিতহয় না। তবে যৌনমিলনের দ্বারা এই রোগের বাড়াবাড়ি হতে পারে এবং যে সকল মহিলারা কোন দিন যৌন সঙ্গম করেননি, তাদের থেকে যে সকল মহিলারা নিয়মিত যৌন সঙ্গম করে থাকেন তাদের মধ্যে এই রোগ বেশী হয়। জনন যন্ত্রের স্বাভাবিক জীবানুর ভিতর সমতা না থাকার দরুন এই রোগ হয়ে থাকে। যদিও এই জীবানু সাধারনভাবে ক্ষতিকারক নয় এবং অজানাভাবে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তির মধ্যে যেতে পারে, তাহলেও মধ্যে মধ্যে যোনি থেকে বেশী পরিমানে স্রাব বেরোতে পারে এবং সেটার থেকে মাছের গন্ধের মত গন্ধ বেরোতে পারে।

যদিও পরিষ্কার ভাবে জানা যায় না যে কেন ব্যাকটেরিয়াল ভাজিনোসিস (বিভি/BV) হয়, তবে এটা মনে করা হয় যে বীর্যে এলকালাইন থাকার দরুন এটা হতে পারে, কারন এটা স্ত্রী যোনির জীবানুগুলি যেগুলি এসিডিক(টক), সেগুলির মধ্যে গন্ডগোল সৃষ্টি করে। এই রোগ হওয়ার আর একটা কারন হতে পারে কয়েল ব্যবহার করার ফলে। একজন মহিলা থেকে এই রোগ কোন পুরুষের মধ্যে যেতে পারে না। তবে তার এই রোগের চিকিৎসা করানো অত্যন্ত জরুরী কারন ব্যাকটেরিয়াল ভাজিনোসিস কখনও কখনও জরায়ু এবং ফেলোপাইন টিউব পর্যন্ত যেতে পারে এবং তার ফলে কঠিন সংক্রামক রোগের সৃষ্টি হতে পারে।

বালানিটিস :-

এই রোগকে প্রায়ই বলা হয়ে থাকে যে এটাহল সংক্রামনের লক্ষন এবং হয়ত এটা সংক্রামক রোগ নয়। এক কথায় বলা যায় না যে এটা যৌন সংক্রামক রোগ, এটা বিশেষ করে হচ্ছে যৌন সঙ্গমের ফলাফল। এই রোগ কেবলমাত্র পুরুষদের হয়। এই রোগের লক্ষন হল পুরুষ জনন যন্ত্রের মাথা ফুলে যাওয়া এবং যাদের লিঙ্গের উপরের চামড়া কাটা, অন্যদের থেকে তাদের এই রোগ কম হয়।

অপরিস্কার অবস্থা, কনডোম এবং স্পারমিসাইডস্‌ (জেলী জাতীয় পদার্থ) ব্যবহার করার জন্য জ্বালা যন্ত্রনা হওয়ার জন্য, সুগন্ধি প্রসাধন দ্রব্য গুলির ব্যবহার করার এবং থ্রাস হওয়ার ফলে এই রোগ হতে পারে। কতকগুলি বিশেষ প্রসাধন দ্রব্যগুলি ব্যবহার না করে এবং জনন যন্ত্রের চামড়ার নীচে পরিষ্কার করে ধুঁয়ে রাখলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

ক্লামোডিয়া :-

এটা হচ্ছে সবচাইতে সাধারন জীবানুদ্বারা সংক্রমিত যৌনসংক্রান্ত রোগ। এই রোগের যদি সময়মত চিকিৎসা না হয় তাহলে বয়স হলে পরে গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। ক্লামাডিয়া মহিলাদের গর্ভাশয়ের সঙ্কীর্ন অংশে রোগের সংক্রামন করে। এই রোগের দ্বারা পুরুষ এবং মহিলাদুজনেরই মুত্রনালী, মলদ্বার এবং চোখে এই রোগ সংক্রামিত হতে পারে। এই রোগ যে সংক্রামিত হয়েছে, যে কোন সময়েই তার লক্ষন দেখা যেতে পারে। সাধারনত: এই রোগের সংস্পর্শে আসার এক থেকে তিন সপ্তাহের ভিতর এই লক্ষনগুলি দেখা যায়। তবে এটাও দেখা যায় যে এর লক্ষনগুলি অনেকদিন পর প্রকাশ পেতে পারে।

ক্রেব অথবা পিউবিক লাইস :-

এইগুলি হচ্ছে কাকড়ার মত ছোট পরগাছা জীবানু/প্যারাসাইটস। এইগুলি চুলের মধ্যে বাস করে এবং রক্ত শুষে খায়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই যৌন এলাকার চুলের ভিতর। তবে বগলের চুলে, শরীরের অন্যান্য জায়গায় এমনকি মুখের এলাকায়, যেমন ভুরুর ভিতরেও এই জীবানুগুলিথাকতে পারে। এগুলি মানুশের শরীর ছাড়া বাইরেও থাকতেপারে, এবং সেইজন্য জামাকাপড়ের ভিতরে বিছানার কাপড়চোপর এবং টাওয়েল গুলিতেও পাওয়া যেতে পারে। আপনার হয়তঃ এই ক্রেব/কাকড়া থাকতে পারে কিন্তু আপনি জানেন না, তবে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পরে আপনার চুলকানি হতে পারে।

এই ক্রেব/কাকড়াগুলি সাধারনত যৌন সঙ্গম করার সময় একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে যায়, তবে জামাকাপড়, টাওয়েল অথবা বিছানাপত্রে অন্য কারো সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করলেও এই রোগ একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে যেতে পারে। এই রোগে আপনি যাতে আক্রান্ত না হতে পারেন, কার্যকরীভাবে ভাবে সেটা বন্ধ করা কঠিন।তবে জামাকাপড় এবং বিছানাপত্র গরম জলে ধুঁয়ে আপনি অন্যদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়া বন্ধ করতে পারেন। ফার্মেসী থেকে লোশন কিনে এই পরগাছা জীবানুগুলিকে/প্যারাসাইটগুলিকে মারবার জন্য সারা শরীরে মাখতে পারেন। যৌন এলাকার চুল কেটে ফেললেই যে এই ক্রেব/কাকড়াগুলি ছাড়াতে পারবেন এমন কোন কথা নেই।

এপিভিডাইমিটিস :-

হচ্ছে এপিডিডাইমিটিসের ফোলা। এটা হচ্ছে পুরুষের শুক্রাশয়ের উপরের কতকগুলি টিউব, যেখানে পুরুষের শুক্রানু/স্পার্ম জমা করা থাকে। সবসময় এই রোগ যৌন সংক্রামক রোগের ফলে হয় না। কিন্তু যদি কখনও কখনও এইভাবে হয়ে থাকে, তাহলে তার মানে হল যে ক্লামাডিয়া অথবা গনোরিয়া থাকার জন্য হয়েছে। এই অসুখের লক্ষন হল শুক্রাশয় এবং অন্ডকোষ ফুলে যাওয়া এবং যন্ত্রনা হওয়া।

এই রোগ হওয়া বন্ধ করার পথ হল যৌনমিলনের সময় কনডোম ব্যবহার করা। যেমন ক্লামাডিয়া এবং গনোরিয়া যাতে নাহতে পারে, তারও সর্বশ্রষ্ঠ পথ হল কনডোম ব্যবহার করা। এপিডিডাইমিটিস রোগ এক ব্যক্তি থেকে আরেকজন ব্যক্তির মধ্যে ছড়ায় যায় না তবে অন্য কোন সংক্রামক রোগ, থাকলে সেগুলি এই রোগকে ছাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

জেনিটাল ওয়ার্টস/জননেন্দ্রিয় আঁচিল :-

এইগুল পুরুষবা মহিলাদের জননেন্দ্রিয়ের যতে কোন অংশে ছোট ছোট মাংসপিন্ডের মত গজায়। এইগুলি হয় হিউম্যন পাপিলোমা ভাইরাস/রোগের জীবানু (এইচ পি ভি/HPV) দ্বারা। এই ওয়ার্ট/আঁচিল জননেন্দ্রিয় বা শরীরের অন্য অংশেও, যেমন হাতে হতে পারে। এই রোগের সংষ্পর্শে আসার ১ থেকে তিন মাসের ভিতর জননেন্দ্রিয়ে এই ওয়ার্ট/আঁচিল বেরোয়। আপনি বা আপনার সঙ্গী হয়ত দেখতে পাবেন যে জননেন্দ্রিয়তে ছোট ছোট গোলাপী মাংসপিন্ড বা ফুলকপির মত দেখতে মাংসপিন্ড গজিয়েছে।

এই মাংসপিন্ড স্ত্রী যোনী দ্বারে, অন্ডকোষ বা মলদ্বারে হতে পারে। এই মাংসপিন্ডগুলি আলাদা আলাদা ভাবে একটা একটা করে বা একসঙ্গে অনেকগুলি হতে পারে। সেগুলিতে সাধারনত কোন ব্যথা হয় না তবে চুলকানি হতে পারে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অন্য কোন লক্ষন দেখা যায় না এবং এই ওয়ার্টগুলি/আঁচিলগুলি চোখে দেখা কঠিন। যদি কোন মহিলার গর্ভাশয়ের সঙ্কীর্ন অংশে এই ওয়ার্ট/আঁচিল হয়ে থাকে, তাহলে এর ফলে অল্প স্বল্প রক্তপাত হতে পারে, অথবা কদাচিৎ রঙীন স্রাব বেরোতে পারে।

গাট ইনফেকশ্‌ন/তন্ত্রের সংক্রামন :-

এই রোগ যৌনমিলনের সময় একজনের থেকে আরেকজনেরমধ্যে যায়। সব থেকে সাধারন দুইটা সংক্রামনের নাম হল এমিয়োবিয়াসিস এবং জিয়ারডিয়াসিস। এই রোগের সংক্রামন জীবানুর/ব্যকটিরিয়ার দ্বারা হয়ে থাকে এবং সেগুলি যখন গাট বা তন্ত্রে পৌঁছায় তখন পেটখারাপ বা পেটে ব্যথা হতে পারে। কোন ব্যক্তির যখন এই রোগ থাকে তখনযৌনমিলনের সময় এই রোগ অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করতে পারে। বিশেষতঃ যদি মলের সংষ্পর্শে আসে, যেমন রিমিং এবং মলদ্বারের যৌন সঙ্গম দ্বারা।

কনডোম, দাতের বাঁধ/ডেন্টাল ডেমস অথবা লেটেক্স গ্লাভস ব্যবহারের দ্বারা এই সংক্রামন বন্ধ করা যায়। যৌন খেলনাগুলি ব্যবহার করার পরে ভালভাবে পরিষ্কার করা এবং মলের সংষ্পর্শে আসার পর ভালভাবে হাত ধোওয়া উচিত। এই সংক্রামনগুলির বেশীরভাগই পেঠখারাপের ঔষধের চিকিত্সাতেই ভাল হয়ে যায় তবে যথাযথ হোমিও ট্রিটমেন্ট নেয়া উচিত।

মলাস্কাম :-

এটা হচ্ছে একটা চামড়ার রোগ। এই রোগ হয়মলাস্কাম কন্টাজিওসাম নামক রোগের বীজ/ভাইরাসের দ্বারা। এই রোগের ফলে চামড়ায় ছোট ছোট ফোলা দেখা দেয়। এই ফোলাগুলি দুই সপ্তাহ থেকে কয়েক বৎসর পর্যন্ত থাকতে পারে। মলাস্কামের এই ফোলাগুলি উরুতে, পাছাতে, জননেন্দ্রিয়ে এবং কখনও কখনও মুখেও হতে পারে। এই রোগজীবানু/ভাইরাস যৌনমিলনের সময়ের শরীরের যোগাযোগের এবং অন্যান্যভাবে চামড়ার যোগাযোগের দ্বারা একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে যেতে পারে।

এই রোগ আটকানোর পথ হল কনডম ব্যবহারের দ্বারা এবং যে ব্যক্তির এইরোগ আছে তার চিকিৎসা না হওয়া পর্যন্ত তার সঙ্গে যৌন মিলন না করা, যাতে তার শরীরের চামড়ার সঙ্গে কোন যোগাযোগ না হয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই মলাস্কামের কোন চিকিত্সার প্রয়োজন হয় না এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই রোগ ভাল হয়ে যায়। তবে, কখনও কখনও এই রোগ শরীরে থেকে যেতে পারে।

নন-স্পেসিফিক্‌ উরেত্রিটিস(এনএস ইউ/NSU) :-

এই রোগের ফলে পুরুষের মূত্রনালী ফুলেযায়। বিভিন্ন ধরনের সংক্রামনের জন্য এই ফোলার সৃষ্টি হতে পারে। এই রোগ সবচাইতে বেশী হয় ক্লামাডিয়ার সংক্রামনের ফলে। এন এস ইউ/NSU হয়ত একজন পুরুষ অথবা নারীর সঙ্গে সম্পর্ক আরম্ভ হওয়ার মাস অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে বহু বছর পরেও হতে পারে।

এই রোগের লক্ষনের ভিতর থাকতে পারে, প্রস্রাব করার সময় ব্যথা বাজ্বালা করা। সকালে প্রস্রাব করার সময়ে লিঙ্গের মাথায় সাদা ঘন রস দেখা যেতে পারে। আপনার হয়ত মনে হতে পারে যেন আপনার ঘন ঘন প্রস্রাব করার প্রয়োজন। প্রায়সই কোনরকম লক্ষন দেখা যায় না। তবে এই এর মানে এই নয় যে আপনার থেকে আপনার সঙ্গীর ভিতর এই রোগের সংক্রামন হবে না। আরও খবরের জন্য এন এস ইউ/NSU দেখুন।

স্কেবিজ :-

এই রোগ হয় একধরনের পরজীবানু বা প্যারাসাইট দ্বারা। এইগুলি চামড়ার নীচে ঢুকে যায় এবং এর ফলে চুলকানি হয়। এই পরবীজানু বা প্যারাসাইটগুলি খুবই ছোট এবং এগুলিকে চোখে দেখা যায় না। বহু লোকেই জানেননা যে তাদের এই রোগ আছে। এই রোগের ফলে চুলকানি হয় এবং এটা আরম্ভ হয় সংক্রামনের ২ থেকে ৬ সপ্তাহের ভিতর। হাতের চামড়ার নীচে পাছায় বা জননেন্দ্রিয়তে লাল লাল লাইন হয়ত এই রোগের চিহ্ন হতে পারে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই যৌন মিলনের সময়ে শরীরের সংস্পর্শই হল এই রোগের কারণ।

তবে এটাও সম্ভব যে, যে ব্যক্তির এই রোগ আছে, তার ব্যবহার করা টাওয়েল বা কাপড় চোপড় ব্যবহার করলেও এই রোগ হতে পারে। যদিও সাধারনভাবে এরকম হয় না। আপনার নিজের এই রোগ না হওয়া বন্ধ করার কোন কার্যকরী পথ নেই। তবে কাপড় চোপড় বিছানাপত্র, গরম জলে ধুঁয়ে অন্যদের এই রোগের আক্রমন থেকে বাঁচাতে পারেন। ফার্মেসী থেকে লোশন কিনে শরীরে লাগিয়ে এই পরজীবানু বা প্যারাসাইট গুলিকে মারতে পারেন।

ট্রিকোমোনাস ভাজিনোসিস :-

এটাকে ট্রিচ ও বলা হয়। এই রোগ হয় এক রকমের পরগাছা জীবানু দ্বারা যেটা মহিলাদের যোনীতে এবং পুরুষদের মুত্রনালীতে পাওয়া যায়। প্রায়সই এই রোগের কোন লক্ষন দেখা যায় না। যদি কোন লক্ষন দেখা যায় তাহলে সেগুলি হতে পারে পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সময় ব্যথা এবং স্রাব এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে স্রাব, যৌনমিলনের সময় এবং প্রস্রাবের সময় ব্যথা এবং যোনীদ্বারে ফোলা এবং ব্যথা। যেব্যক্তির এই রোগ আছে, তার সঙ্গে মৌখিকভাবে, যোনীতে অথবা মলদ্বারে যৌনমিলন করবার সময় অন্য ব্যক্তির মধ্যে এই রোগের সংক্রামন হতে পারে। এর এন্টিবায়োটিকের দ্বারা চিকিৎসা করা হয় এবং এই সংক্রামন আবার হওয়ার কথা নয়।

থ্রাস :-

এটাকে ক্যানডিয়াসিসও বলা হয়। এটা হচ্ছে একরকমের ইষ্ট(yeast), যেটা চামড়ার উপরে বাস করে এবং সাধারনত শরীরের জীবানুগুলির/ব্যাকটেরিয়াগুলির দ্বারা সংযত থাকে। তবে যদি এই ইষ্ঠ পরিমানে বাড়ে, তাহলে পুরুষ এবং মহিলা দুজনেরই শরীর ফুলে যেতে, ঘা হতে এবং চুলকানি এবং লিঙ্গ বা যোনী থেকে স্রাব বের হতে পারে। যে মহিলার এই রোগ আছে তার যোনী থেকে ঘন সাদা স্রাব বেরোতে পারে এবং প্রস্রাব করার সময় ব্যথা হতে পারে। একজন পুরুষ যার এই রোগ আছে, তার হয়ত লিঙ্গ থেকে একই ধরনের ঘন স্রাব বেরোতে পারে এবং তার লিঙ্গের চামড়া পেছনে টানতে অসুবিধা হতে পারে। যে ব্যক্তির থ্রাস আছে, যৌনসঙ্গমের সময়ে তার শরীর থেকে অন্য ব্যক্তিরশরীরে এই রোগের সংক্রামন হতে পারে।

তবে আপনিযদি টাইট নাইলন টাইট অথবা লাইক্রা কাপড় পরেন অথবা কতকগুলি বিশেষ ধরনের এ়ন্টিবায়োটিকস খান তাহলেও এই রোগ হতে পারে। তবে কখনও কখনও এই রোগ হবার সঠিক কারন জানা যায় না। যৌনমিলনের সময় কনডোম ব্যবহার করলে এবং পুরুষ মানুষ তাদের লিঙ্গের চামড়ার নীচের অংশ ভাল করে ধুলে এই রোগের সংক্রামন বন্ধ করা যায়। এর চিকিসার ভিতরে আছে এন্টি ফাংগাল ঔষুধের ব্যবহার। থ্রাস ভাল হয়ে গেলেও, আরেকবার হতে পারে, বিশেষ করে মহিলাদের।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা :-

যদি কেউ এধরনের কোনো যৌন বাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে সকলপ্রকার সংকোচ বাদ দিয়ে আজই ভালো কোনো হোমিও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চিকিৎসা নিন। দেখবেন আপনার ভাল হতে খুব বেশি দিন লাগবে না। অচিরেই সুস্থ হয়ে আবার স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন।