সন্ধান করুন

বুধবার, ২৪ জুন, ২০১৫

যে সব কারণে রোযা ভঙ্গ হয় না তবে মাকরুহ হয়

মুফতি জসিম উদ্দিন, উস্তাদ, দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা
(মাসিক মুঈনুল ইসলাম, বর্ষ– ২৪ জুলাই-২০১৪ থেকে সংকলিত)
০১। বিনা প্রয়োজনে কোন জিনিস চিবানো।
০২। তরকারি ইত্যাদির লবন চেখে ফেলা দেয়া। তবে কোন চাকরের মুনিব বা কোন নারীর স্বামী বদ মেজাজী হলে জিহবার অগ্রভাগ দিয়ে লবন চেখে তা ফেলে দিলে এতটুকুর অবকাশ আছে।
০৩। কোন ধরনের মাজন, কয়লা, গুল, টুথপেষ্ট ব্যবহার করা মাকরুহ। আর এর কোন কিছু সামান্য পরিমাণও গলার মধ্যে চলে গেলে রোযা ভঙ্গ হবে।
০৪। গোসল ফরজ এ অবস্থায় সারাদিন অতিবাহিত করা।
০৫। সিঙ্গা লাগানো অথবা কোন রোগীর জন্য নিজের রক্ত দেয়া।
০৬। গীবত করা, চোগলখুরী করা, অনর্থক কথাবার্তা বলা, মিথ্যা বলা।
০৭। ঝগড়া ফ্যাসাদ করা, গালি গালাজ করা।
০৮। ক্ষুধা বা পিপাসার কারণে অস্থিরতা প্রকাশ করা।(আহকামে যিন্দেগী)
০৯। মুখে অধিক পরিমাণ থুথু একত্র করে গিলে ফেলা।(আহকামে যিন্দেগী)
১০। নিজের মুখ দিয়ে চিবিয়ে কোন বস্তু শিশুর মুখে দিলে।(আহকামে যিন্দেগী)
১১। ঠোঁটে লিপিষ্টিক লাগালে যদি মুখের ভিতর চলে যাওয়ার আশংকা হয়।
১২। রোযা অবস্থায় দাঁত উঠালে দাঁতে ওষুধ ব্যবহার করা একান্ত প্রয়োজনে জায়েজ। কিন্তু বিনা প্রয়োজনে মাকরুহ। যদি রক্ত অথবা ওষুধ পেটের মধ্যে প্রবেশ করে তবে রোযা ভেঙ্গে যাবে। (দুররেমুখতার)
১৩। পরনিন্দা চর্চা করা এহেন বদভ্যাস সর্বোতভাবে পরিতাজ্য তথা হারাম। রোযার দিনে পরনিন্দা চর্চা ততোধিক গোনাহের কাজ।
১৪। রোযা অবস্থায় ইনজেকশনের মাধ্যমে রক্ত বের করলে রোযা ভঙ্গ হয় না। কিন্তু রক্ত বের করার কারনে যদি এতই দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে যে,রোযা রাখার শক্তিই হারিয়ে ফেলবে তাহলে রোযা মাকরুহ হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া)
রোযার কাফফারাঃ
কাফফারা হচ্ছে একটি গোলাম আজাদ করা অথবা ৬০ টি রোযা (একটি কাযা বাদে)একাধারে একসঙ্গে রাখা,তন্মধ্যে একটি রোযা ভঙ্গ হয়ে গেলে পুনরায় শুরু থেকে ৬০টি রোযা রাখতে হবে। যদি রোযা রাখার শক্তি না থাকে তবে ৬০ জন মিসকিনকে অথবা একজনকে ৬০ দিন দুবেলা পেট ভরে খানা খাওয়াতে হবে। বর্তমানে শরীয়ত অনুযায়ী গোলাম বা বান্দীর প্রচলন নেই বিধায় রোযা রাখা বা মিসকীন খাওয়ানোর নিয়ম দুটিই প্রযোজ্য। (মুঈনুল ইসলাম, বর্ষ –২৪,জুলাই -২০১৪)
অথবা সদকায়ে ফিতর যে পরিমাণ গম বা তার মূল্য দেওয়া হয় প্রত্যেককে সে পরিমাণ দিতে হবে। এই গম বা মূল্যে দেয়ার ক্ষেত্রে ১ জনকে ৬০ দিনেরটা ১ দিনেই দিয়ে দিলে কাফফারা আদায় হবে না। তাতে মাত্র এক দিনের কাফফারাই আদায় হবে। (আহকামে যিন্দেগী)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন