সন্ধান করুন

শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৭

মুত্রপাথুরী বা বৃক্ক-শূল (Gravel Renal Colic)

মুত্রাস্মরী প্রধানতঃ ইউরিটার নামক মুত্রনালীর উর্ধতম অংশে (Pelvis of the Kidney) উৎপন্ন হয়। ইহাতে যে পাথুরী জন্মায় তাহা নানা প্রকারের উপাদানে গঠিত হইতে পারে। তন্মধ্যে ইউরিক অ্যাসিড (Uric Acid) ও ইউরেটস (Urates) এই দুই রাসায়নিক উপাদানে গঠিত পাথুরিই প্রধান। ইহা ঈষৎ বাদামী রঙ্গের এবং গোলাকার অথবা শাখা প্রশাখাবিশিষ্ট দেখায়। অকজ্যালেট অব ক্যালসিয়াম (Oxalate of Calcium) দ্বারা গঠিত পাথুরী ঘোর বাদামী রঙের হয়। এই সকল পাথুরী এককালে অনেকগুলি জন্মাইতে পারে এবং তাহা মুত্রনালী (Ureter) দিয়া ইউরিনারী ব্লাডার (Urianry Bladder) এবং তথা হইতে মুত্রমার্গে (Urethra) আসিবার সময় দুর্বিষহ যাতনা উৎপাদন করে।

                     <> রোগ লক্ষণাদি <>

মাঝে মাঝে শূলবিদ্ধবৎ অতিশয় তীব্র বেদনা এবং ঐ বেদনা কোমরের এক পার্শ্ব হইতে উৎপন্ন হইয়া সেই পার্শ্বের অণ্ডকোষ পর্যন্ত নিন্মাভিমুখে তীরবেগে ধাবিত হয়। ইহার সহিত বিবমিষা, বমন, শীত বা কম্পন, ঘর্ম, মুখমণ্ডলাদির নীরক্তভাব এবং সমগ্র শরীরের শীতলতা প্রকাশ পাইতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে এই সকল লক্ষণ তিরোহিত হইতে না হইতে রক্তস্রাব উপস্থিত হয় এবং প্রস্রাবের মধ্যে রক্তকণিকা, পুঁজময় কোষ (Pus Cells) এবং সচরাচর ইউরিক অ্যাসিড জনিত পাথুরী (Crystals) পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম অকজ্যালেট জনিত পাথুরীতে সর্বাপেক্ষা অধিক শোণিতপাত এবং যাতনা হইয়া থাকে।
চিকিৎসা <> রেনাল কলিক জনিত বেদনার সময় রোগীর কোমরে ও পেটে সেকতাপ প্রয়োগ করা যাইতে পারে। মুত্রের সহিত ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল বাহির হইলে আমিষজাতীয় খাদ্যাদি যথা – মাছ, মাংস ও ডিম বর্জন করা উচিৎ। অকজ্যালেট ক্রিস্টাল নির্গত হইলে বেশী শাক সব্জি খাওয়া অনুচিত। পথ্য সম্বন্ধে এইরূপ ব্যবস্থা দ্বারা ভবিষ্যতে পাথুরী হইবার সম্ভবনা অনেকটা কমান যায়। অতিরিক্ত মিষ্টান্নাদি ভোজন এবং মদ্যপান ত্যাগ করা কর্তব্য। যাহাতে প্রচুর পরিমাণে প্রস্রাব হইতে পারে তারজন্য প্রচুর জল, বার্লির সরবত ইত্যাদি পান করা উচিৎ। কচি ডাবের জল পাথুরী রোগের পক্ষে হিতকর। প্রস্রাবে অকজ্যালেট ক্রিস্টালযুক্ত রোগীর পক্ষে মাটির নীচে জন্মে এরূপ দ্রব্যাদি যথা – আলু, মুলা, আদা, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি বর্জনীয়।



     <> হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা <>

এপিস > কিডনী প্রদাহ জনিত শূল ; চাপ দিলে বা অবনত হইতে গেলে কিডনী প্রদেশে ব্যথা বোধ এবং থাকিয়া থাকিয়া হঠাৎ ইউরেটার মধ্যে চিড়িক মারা বা হুলবিদ্ধবৎ বেদনা ; মুত্রস্থলী-গ্রীবায় জ্বালাযুক্ত উত্তেজনা এবং ক্ষণে ক্ষণে মুত্রত্যাগেচ্ছা সহ মাত্র কয়েক বিন্দু মুত্রত্যাগ ও তৎকালে মুত্রস্থলী-গ্রীবায় ও মুত্রনলীতে প্রবল জ্বালা ; গাঢ় বর্ণের স্বল্প ও অতি উত্তপ্ত মুত্র বা রক্তময় প্রস্রাব।

আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম > প্রদাহ বা পাথুরীজনিত কিডনী শূল। কিডনী প্রদেশের প্রচণ্ড বেদনা ইউরেটার বাহিয়া মুত্রস্থলীতে বিস্তৃত হয় এবং সামান্য স্পর্শ বা নড়াচড়ায় এমন কি গভীর শ্বাসগ্রহণেও বৃদ্ধি। হঠাৎ মুত্রবেগ এবং মুত্রত্যাগকালে জ্বালা ও মুত্রনালীর মধ্যে স্ফীতি বোধ। মুত্রের বর্ণ ঘোর এবং রক্ত বা কিডনির এপিথেলিয়াম এবং ইউরিক অ্যাসিড যুক্ত। রোগীর মুখমণ্ডল শুষ্ক ও ঘোর বর্ণের প্রতীয়মান। এই অধিকারে আর্জেন্ট নাইট্রিক ক্যান্থারিসের সমকক্ষ এবং উহা বিফল হইলে আর্জেন্ট নাইট্রিক প্রযোজ্য।

আর্ণিকা > কিডনি প্রদেশে ছুরিকাঘাতের ন্যায় বেদনা এবং মুত্রস্থলীতে প্রবল কুন্থনবেগ ; বিবমিষা ও শীতার্ততা।

আর্সেনিক > মধ্যে মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথুরী (Gravel) নির্গমন জন্য কিডনি প্রদেশে অতীব বেদনা এবং তাহা ইউরেটার বাহিয়া প্রসারিত হয় এবং তৎসহ পাকাশয় শূল ; মুত্রনালী মধ্যে সুড়সুড়ানি ও মুত্রত্যাগকালে জ্বালা ও যন্ত্রণা ; অস্থিরতা, আতঙ্ক ইত্যাদি মানসিক বিকারাদি।

বেলেডোনা > পাথুরী নির্গমনকালে নির্গমনপথের আক্ষেপিক সঙ্কোচন শ্লথ করিয়া তীব্র শূল প্রশমন করে ও অনায়াসে পাথুরী নির্গমনের সহায়তা করে। অতি তীব্র এবং উত্তেজনার কেন্দ্র হইতে তীব্রবেগে চতুর্দিকে প্রবাহমান বেদনা ; বেদনা হঠাৎ আসে ও হঠাৎ চলে যায় ; মুখমণ্ডল ও চক্ষু ঘোর লাল, জ্বরজ্বর ভাব ও বৈকারিক উত্তেজনা। নড়াচড়া, স্পর্শ, এমন কি শয্যায় ঝাঁকি লাগিলেও যন্ত্রণার বৃদ্ধি।

বেঞ্জোয়িক অ্যাসিড > কিডনি দেশে টাটানি বা আঘাতবৎ অতীব্র যন্ত্রণা ; বাম কিডনি মধ্যে জ্বালা ও অবনত হইতে গেলে কটিদেশে আড়ষ্টতা বোধ। গাঢ় লাল বর্ণের এবং অতুগ্র ও ঝাঁঝাল গন্ধযুক্ত প্রস্রাব। সন্ধিগুলিতে বাত জনিত স্ফীতি ও অশ্বমুত্রের ন্যায় অতি তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত মুত্র ইহার নির্দেশক।

বার্বেরিস > ইহা মুত্রপাথুরীর একটি বিশিষ্ট ঔষধ। ইহারও বেদনা তীব্রবেগে কেন্দ্র হইতে চতুর্দিকে পরিব্যাপ্ত হয়। সামান্য নড়াচড়ায় যন্ত্রণার বৃদ্ধি হয় এবং আক্রান্ত পার্শ্বে হেলিয়া বসিয়া থাকিলে স্বস্তি বোধ হয়। কিডনি স্থান হইতে ইউরেটার বাহিয়া তীব্র বেদনা মুত্রস্থলির মধ্য দিয়া পাদদেশ পর্যন্ত প্রধাবিত হইলে বার্বেরিস নির্দিষ্ট। উভয় কিডনির উপরই ইহার ক্রিয়া বর্তমান। কটিদেশে কিডনি স্থানে স্পর্শাতিসহ্য যন্ত্রণা ; কোনও প্রকার ঝাঁকি সহ্য হয় না এবং সেজন্য অতি সন্তর্পণে হাঁটিতে হয়। সজোরে পাদক্ষেপ অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক হয়। কিডনি মধ্যে দপদপানি, ছিন্নকরা বা সুচিবিদ্ধবৎ যন্ত্রণা এবং তাহা ইউরেটার, মুত্রস্থলী ও মুত্রনালী মধ্যে প্রসারিত হইয়া পদ পর্যন্ত ধাবিত হয়। পাথুরির জন্য মুত্রস্থলীর শ্লেষ্মাবিকার এবং পুনঃ পুনঃ মুত্রবেগ। প্রভুত লোহিত বর্ণযুক্ত ঘোর বর্ণের ও ঘোলা মুত্র। অজীর্ণদোষ ও মলিন মুখাবয়ব।

ক্যাল্কেরিয়া কার্ব > কটিদেশ চাপ বোধ। অশ্বারোহণে বা ঝাঁকানি লাগিলে কিডনি ও কটিদেশে বেদনা বোধ। মুত্রস্থলী মধ্যে পাথুরি (Gravel or stone) ; মুত্রস্থলী মধ্যে কুন্থনবেগ ও পুনঃ পুনঃ মুত্রবেগ। মুত্রমধ্যে বহুল পরিমাণে শ্লেষ্মা এবং মূত্রত্যাগকালে বা অন্য সময়ে মুত্র নালীমধ্যে জ্বালা।

ক্যাল্কেরিয়া রিনালিস > ইহা ইউরিক অ্যাসিড বা ফসফেট অব লাইম দ্বারা উদ্ভুত পাথুরি চূর্ণ করিয়া (By trituration) প্রস্তুত। ইহার প্রয়োগে পাথুরি সৃষ্টি রুদ্ধ হয় বলিয়া প্রথিত।

ক্যানাবিস স্যাটাইভা > কিডনি ও মুত্রস্থলীর প্রদাহ কুঁচকির গ্রন্থি (Inguinal glands) পর্যন্ত প্রসারিত। কিডনি প্রদেশের ঘৃষ্টবৎ বেদনাসহ অস্থিরতা ও বিবমিষা ; মুত্র ত্যাগের প্রারম্ভে এবং শেষে মুত্রনালী মধ্যে জ্বালা এবং ঐ জ্বালা মুত্রত্যাগান্তের অব্যবহিত পরে অত্যন্ত বৃদ্ধি হয়। মুত্রের বর্ণ ঘোলা ও সাদা বা ঘোলা ও লাল।

ক্যান্থারিসমুত্রপাথুরি শূল নিবারণের পক্ষে ইহা শ্রেষ্ঠ ঔষধগুলির মধ্যে অন্যতম। ইহা স্থানীয় উত্তেজনা হ্রাস করিয়া বিনা ক্লেশে পাথুরি নির্গমনে সহায়তা করে। উভয় কিডনিতেই অতীব চাপবৎ বেদনা কটিতিঅত্যুগ্র ভাব ধারণ করে। থাকিয়া থাকিয়া  উভয় কিডনিতেই কাটিয়া ছিঁড়িয়া ফেলিবার ন্যায় জ্বালাযুক্ত বেদনা এবং লিঙ্গমুণ্ডশীর্ষে তীব্র বেদনা ; কিডনি প্রদেশে সামান্য চাপ সহ্য হয় না। যন্ত্রণার তীব্রতায় কোনও অবস্থাতেই রোগী স্বস্তি পান না এবং চিৎকার করেন বা গোঙ্গান এবং এতৎসহ বিবমিষা, বমনোদ্রেক ও বমন বর্তমান থাকে। প্রচণ্ড মুত্রবেগ সহ বিন্দু বিন্দু রক্তময় প্রস্রাব বা শুদ্ধ রক্তস্রাব। কিডনি প্রদেশের বেদনা কখনো বা উদরমধ্যে, বগলতলায় (Axilla) এবং মুত্রনালী বাহিয়া মুত্রথলীর মধ্যে প্রসারিত হয়। (আইপোমিয়া নিল – ইহাতে অন্যতর পার্শ্বের কিডনি প্রদেশে তীব্র কর্তনবৎ বেদনা আক্রান্ত পার্শ্বের অপরদিকস্থ মুত্রনালী বাহিয়া ধ্যাবিত হয় এবং তীব্র বমনোদ্রেক হয়। হাইড্রোঞ্জিয়া – পাথুরিসংক্রান্ত তীব্র বেদনায় অনেক সময় ব্যবহৃত হয়। বাম কটিতে ও মুত্রনালী মধ্যে সুচিবিদ্ধবৎ যন্ত্রণা। মুত্রমধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথুরি (Gravel) নির্গত হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে ইহা পাথুরি সৃষ্টি নিবারণ করিয়ছে এবং কিডনি প্রদেশে যন্ত্রণা ও রক্তপ্রস্রাব সহ পাথুরিজনিত শূলনিবারণ করে বলিয়া প্রথিত)।

কক্কাস ক্যাকটাই > কিডনি প্রদেশে অতীব্র চাপবৎ বেদনা ; সুচিবিদ্ধবৎ বেদনা মুত্রনালী বাহিয়া মুত্রস্থলী মধ্যে ধাবিত হয়। মুত্রপাথুরি শূল মুত্রবেগ কিন্তু রক্তের চাপ নির্গত না হওয়া পর্যন্ত প্রস্রাব হয় না এবং তজ্জন্য অসহ্য যন্ত্রণা বোধ।

ডায়োস্কোরিয়া > দক্ষিণ ইলিয়াম অস্থির উপরিভাগে অল্প পরিসর স্থানে দুরন্ত বেদনা এবং উহা তথা হইতে ঊর্ধ্বে কিডনি এবং নিন্মে অণ্ডকোষ ও পদ পর্যন্ত প্রসারিত হয়। রোগী যন্ত্রণায় চীৎকার ও ছটফট করেন। গাত্রে শীতল চটচটে ঘর্ম ; নাড়ী ক্ষীণ ও দুর্বল এবং তৎসহ বমনোদ্রেক।

ইকুইসেটাম > দক্ষিণ কিডনি প্রদেশে অতীব্র ব্রদনা সহ মুত্রবেগ। প্রথমে দক্ষিণ ও পরে বাম কিডনিতে মৃদু বেদনা এবং তাহা সেক্রাম অস্থির বামপার্শ্ব বাহিয়া প্রসারিত হয়। মুত্রথলীতে বায়ুস্ফীতিবৎ যন্ত্রণা, পুনঃ পুনঃ মুত্রবেগ সহ প্রচুর মূত্রত্যাগ সময়ে মুত্রনালী মধ্যে জ্বালা ও লিঙ্গমুলে তীব্র যন্ত্রণা। মুত্র মধ্যে প্রভুত শ্লেষ্মা। (এপিজিয়া রেপেন্স – মুত্রপাথুরিতে উপকার করে বলিয়া কথিত। এরিঞ্জিয়াম একোয়াটিকাম – মুত্রপাথুরি শূল। পুনঃ পুনঃ মুত্রবেগ সহ মূত্রত্যাগকালে মুত্রনালী মধ্যে ও লিঙ্গমুণ্ডের নিন্মে হুলফুটাবৎ জ্বালা। বিন্দু বিন্দু মুত্র অবিশ্রান্ত পড়িতে থাকে এবং আগুনের ন্যায় জ্বলিতে থাকে। এরিজেরন – বাম কিডনি প্রদেশে হুলফুটানবৎ তীব্র যন্ত্রণাসহ মুত্রের সম্পূর্ণ নিরোধ অথবা তীব্র জ্বালাযুক্ত কয়েক বিন্দু মুত্রপাত সহ মুত্রবেগ)।

ইউপেটোরিয়াম পারপিউরিয়াম > ইহাকে মুত্রপাথুরি (Gravelroot) বলে। মুত্রপাথুরিতে পুরাতন একলেকটিক (Eclectic) চিকিৎসকগণ ইহা দ্বারা প্রভুত উপকার পাইয়াছেন বলিয়া কথিত। উভয় কিডনিতে ও মুত্রস্থলীতে অতীব্র, গভীর বেদনা, কখনও বা কর্তনবৎ বেদনা। সর্বক্ষণই মুত্রবেগ সহ মুত্রস্থলী ও মুত্রনালী মধ্যে জ্বালা ও যন্ত্রণা। বিন্দু বিন্দু মূত্রত্যাগ। মুত্রে শ্লেষ্মা ও লিথেটেসএর আধিক্য।

লাইকোপোডিয়াম > সাধারণতঃ দক্ষিণ কিডনি আক্রান্ত হয় এবং বেদনা মুত্রনালী (Ureter) বাহিয়া মুত্রস্থলীতে পর্যবসিত হয় – এই লক্ষণে ইহা নাক্স ভমিকা সদৃশ। কিন্তু পার্থক্য এই যে নাক্সের ন্যায় ইহার বেদনা জননেন্দ্রিয় বা পদ বাহিয়া নামে না। ইহা নাক্সের পরে প্রযুক্ত হইতে পারে। মুত্রত্যাগের পূর্বে কটিদেশে তীব্র বেদনা এবং তাহা মুত্রত্যাগের পর উপশম। মুত্র ঘোলা দুগ্ধবৎ এবং দুর্গন্ধময় তলানি যুক্ত। মুত্রমধ্যে পাথুরি নির্গমন। মুত্রস্থলী মধ্যে পাথুরিজনিত প্রদাহ (Cystitis)। মুত্রস্থলী ও মুত্রনালী মধ্যে ঝিলিক দেওয়া, চিমটি কাটা বা কর্তনবৎ যন্ত্রণা ; পাথুরিজনিত রক্তমুত্র।

মেডোহ্রিনাম > মুত্রপাথুরিজনিত তীব্র শূল ; মুত্রনালী মধ্যে তীব্র যন্ত্রণা এবং পাথুরি নির্গমনবৎ অনুভূতি ; যন্ত্রণায় সময়ে সময়ে বরফ পানের ইচ্ছা। কিডনি প্রদেশে যন্ত্রণা সহ প্রভুত মুত্রস্রাব ; মুত্রস্থলীতে প্রবল চাপবোধ – প্রভুত মুত্রত্যাগেও উপ্সমিত হয় না। গাঢ় বর্ণের ও তীব্র গন্ধ এবং পুরু চর্বিযুক্ত ঝিল্লীদ্বারা আচ্ছাদিত মুত্র ; ধীরগতি মুত্র এবং শেষ বিন্দু মূত্রত্যাগ হইবার অব্যবহিত পরে লিঙ্গমুলে আড়াআড়ি ভাবে কর্তনবৎ তীব্র বেদনা।

নাক্স ভমিকা > বিশেষতঃ দক্ষিণ কিডনি শূল এবং তাহা জননেন্দ্রিয় ও দক্ষিণ পদ বাহিয়া নামে এবং দক্ষিণ পার্শ্বে শয়নে বৃদ্ধি ও চিৎ হইয়া শয়নে উপ্সমিত হয়। কষ্টকর ও নিস্ফল মুত্রবেগ ; জ্বালা ও ছিন্নকরণবৎ যন্ত্রণানুভুতি সহ বিন্দু বিন্দু মুত্রত্যাগ ; কিডনি শূল সহ তীব্র কটিবেদনা।

নাইট্রিক অ্যাসিড > মুত্রে যদি অক্স্যালিক অ্যাসিড বর্ত্তমান থাকে এবং উহাই যদি পাথুরির প্রধান উপাদান হয় তবে মুত্রপাথুরিতে ইহা ব্যবহার্য।

ওসিমাম > দক্ষিণ কিডনিতে তীব্র মুত্রশিলাশূলসহ অনুক্ষণ প্রবল বমন এবং ছটফটানি। যন্ত্রণায় রোগী মোচড়াইতে থাকেন, চীৎকার করেন ও গোঙরান। প্রস্রাব লাল বর্ণের এবং ইষ্টকচূর্ণবৎ তলানিযুক্ত। ক্যাল্কেরিয়া কার্ব, লাইকো, সিপিয়া, সার্সা ও বার্বেরিস নিস্ফল হইবার পর ইহাতে আশ্চর্য উপকার পাওয়া গিয়াছে।

প্যারেরা ব্রেভা > বাম লাম্বার বা কিডনি প্রদেশে অত্যধিক তীব্র শূল এবং তাহা ইউরেটার বাহিয়া বাম কুক্ষিদেশে নামিয়া যায় ; বাম অণ্ডকোষে যন্ত্রণা এবং অণ্ডকোষ উর্ধে আকর্ষিত হয়। সর্বক্ষণই মুত্রবেগ এবং প্রবল কুন্থন ; মূত্রত্যাগ জন্য হাতে পায়ে ভর করিয়া এবং দেয়ালে বা মেঝেতে মাথা চাপিয়া অতি প্রবল কুন্থন দিতে হয়। কুন্থন সহ মূত্রত্যাগকালে লিঙ্গমুণ্ডে ভীষণ যন্ত্রণা ; কিডনির বেদনা পাদদেশ বাহিয়া নামিয়া যায় এবং কুন্থন সময়ে পদাঙ্গুলিতে ও পদতলেও প্রসারিত হয়। মুত্রে অ্যামোনিয়ামের তীব্র ঝাঁঝাল গন্ধ।

সার্সাপ্যারিলা > মুত্রপাথুরিতে ইহা একটি বিশিষ্ট ঔষধ। ইহা মুত্রের এরূপ পরিবর্তন আনয়ন করে যে আর পাথুরি সৃষ্টি হয় না এবং পূর্বসৃষ্টি পাথুরি ক্রমশঃ দ্রবীভূত হইয়া যায় এবং ছোট ছোট পাথুরিগুলি মুত্রসহ নির্গত হইয়া যায়। মুত্রপাথুরিগ্রস্থ রোগীর মুত্রমধ্যে ছোট ছোট পাথুরি এবং পুঁজ ; মুত্রত্যাগের অব্যবহিত পরেই প্রবল বেদনার জন্য রোগী হঠাৎ অস্বাভাবিক চীৎকার করিয়া উঠেন ; মুত্রনালী মধ্যে তীব্র বেদনা এবং উহা পিছাইয়া নিম্নোদর পর্যন্ত ধাবিত হয়। মুত্রথলীমধ্যে পাথুরিসহ তথায় খাল ধরার ন্যায় বেদনা এবং মুত্রস্থলী – গ্রীবার সঙ্কোচন জন্য বসিয়া মূত্রত্যাগ অক্ষমতা, কিন্তু দাঁড়াইলে সহজেই মূত্রত্যাগ হয়।

সলিডেগো > ইহা কিডনি রোগের একটি পুরাতন এবং বিশিষ্ট ঔষধ। কিডনি প্রদেশে সামান্য চাপও সহ্য হয় না। কিডনির যন্ত্রণা উদরাভ্যন্তর দিয়া মুত্রস্থলী এবং পা বাহিয়া নামিয়া যায়। অতি কষ্টে সামান্য প্রস্রাব। মুত্রের রং গাঢ় বা লালাভ বাদামী এবং তন্মধ্যে ঘন তলানি পড়ে অথবা ট্রিপল ফসফেট বা ফসফেট অব লাইম দ্বারা সৃষ্ট পাথুরি (Gravel of triple phosphates or phosphates of lime)।

ট্যাবেকাম > মুত্রনালী (Ureter) বাহিয়া তীব্র বেদনা, সর্বাঙ্গে শীতল ঘর্ম এবং প্রবল বমন সহ কিডনি-শূলে ইহা উপযোগী।

থ্রাস্পি > পিত্তশিলাশূল সহ রক্তমুত্র ; মুত্রমধ্যে প্রভুত পরিমাণে ইষ্টকচূর্ণবৎ বালুকার তলানি পড়ে।

Dr. Md. Ataur Rahman. D.H.M.S (Dhaka)

Over 16 Years of Experience in Treating Acute, Chronic & Complicated Diseases.

Mobile : 01916 - 13 32 46

বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৭

নারীদের জরায়ুর ফাইব্রয়েড টিউমার নির্মূলে সফল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

নারীদের জরায়ুর ফাইব্রয়েড টিউমার নির্মূলে সফল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
********************************************************************

ফাইব্রয়েড ( যাকে মায়োমাও বলা হয়ে থাকে )  হলো প্রজননক্ষম বয়সে মহিলাদের জরায়ুতে সবচেয়ে পরিচিত একটি টিউমারের নাম। জরায়ুর পেশির অস্বাভাবিক এবং অতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণেই এই টিউমারের সৃষ্টি হয়ে থাকে। যে সব মহিলাদের বয়স ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে তাদের মধ্যে ২০% মহিলাই এই ফাইব্রয়েড টিউমারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এক কথায় বলতে গেলে ফাইব্রয়েড হলো এক প্রকার নিরীহ টিউমার।

  মহিলাদের জরায়ুতে মায়োমা বা ফাইব্রয়েড টিউমার
---------------------------------------------------------------------------
এটি ক্যানসারের মত সাংঘাতিক না হলেও দুটো কারণে এর সুচিকিৎসা দরকার। সেগুলো হলো :-

★ এর ফলে অতিরিক্ত মাসিক হওয়া এবং তার জন্য রক্তশূন্যতা হতে পারে।

★ এটিকে বন্ধ্যাত্বের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

তবে এই ধারণা সব সময় সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না-ও হতে পারে। কেননা ২৫% ফাইব্রয়েড টিউমার আজীবন কোনো সমস্যাই করে না। কিন্তু মোটামুটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কমবেশি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা অনিয়মিত মাসিক বা তলপেট ভারী বোধ হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ হয়।

২৭ থেকে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রেই কেবল এটি বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে উঠতে পারে, যদি নিচের ঘটনাগুলো ঘটে :-
---------------------------------------------------------------------------
★ যদি ফাইব্রয়েডের কারণে জরায়ু অতিরিক্ত বড় হয়ে যায়।

★ জরায়ুর ভেতরের দেয়ালে রক্তনালির সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভ্রূণ ঠিকমতো বেড়ে উঠতে পারে না।

★ জরায়ু ও ফ্যালোপিয়ান টিউবের সংযোগস্থলে বা এমন কোনো জায়গায় টিউমারটির অবস্থান হয়, যা ভ্রূণকে সুস্থিত হতে বাধা দেয়।

যাঁদের বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা দেখা যাচ্ছে বা বারবার গর্ভপাত হচ্ছে, তাঁদের ফাইব্রয়েড থাকলেও বন্ধ্যাত্বের অন্য কারণগুলোকে শনাক্ত করা উচিত। কারণ, মূল সমস্যাটি ফাইব্রয়েড না-ও হতে পারে। মায়োমেকটমি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ফাইব্রয়েডকে জরায়ুর দেয়াল থেকে তুলে এনে আবার তা সেলাই করে দেওয়া হয়। জরায়ু কেটে ফেলার প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে এই অস্ত্রোপচার পেট কেটে বা ছিদ্র করে উভয় পদ্ধতিতেই করা হয়। তবে অস্ত্রোপচার দরকার হোক বা না হোক, কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরি।

        অস্ত্রোপচার বা অপারেশন কতটা সফল?
     --------------------------------------------------------------
★ এই অস্ত্রোপচারে বেশ রক্তপাত হতে পারে। ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের সময় জরায়ু কেটে ফেলে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।

★ অস্ত্রোপচারের পর আবার ফাইব্রয়েড হওয়ার সম্ভাবনা ১০ থেকে ১৫ ভাগ।

★ অস্ত্রোপচারের পর গর্ভধারণের সম্ভাবনা ৪০ থেকে ৬০ ভাগ। এটি নির্ভর করে ফাইব্রয়েড টিউমারের সংখ্যা, আকার এবং অস্ত্রোপচারের সফলতার ওপর। ফাইব্রয়েড অস্ত্রোপচারের পর গর্ভধারণ করলে অবশ্যই ভালো সুযোগ-সুবিধা আছে এমন হাসপাতালে সন্তান প্রসব করাতে হবে।

   নিশ্চিতরূপে আরোগ্যকারী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
--------------------------------------------------------------------------
হোমিওপ্যাথরা যেখানে অতি সাফল্যের সাথে লাখ লাখ মহিলাদের জরায়ুর টিউমারকে কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ঔষধের মাধ্যমে নিশ্চিতরূপে চিরতরে নির্মূল করে আসছে সেখানে জরায়ুর টিউমার সারাতে বিপদজনক, ক্ষতিকর এবং প্রায় অনিশ্চিত অস্ত্রোপচার বা অপারেশন করাটা এই আধুনিক যুগে বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। মা বোনদের প্রতি অনুরোধ, হোমিওপ্যাথিতে মহিলাদের জরায়ুর টিউমার সারানোর চিকিত্সাটা একেবারই সাধারণ একটি ব্যাপার, তাই এর জন্য ক্ষতিকর অপারেশনের পেছনে ছুটাছুটি না করে আপনার সব ডাক্তারি রিপোর্টগুলি সাথে নিয়ে ভালো এবং অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের সাথে কথা বলুন এবং চিকিত্সা নিন। দেখবেন খুব অল্প দিনেই চিরদিনের জন্য আপনার জরায়ুর টিউমার দূর হয়ে গেছে ইনশাল্লাহ।

=====================================

  বিস্তারিত জানতে বা চিকিৎসা সেবা নিতে যোগাযোগ করুনঃ
---------------------------------------------------------------------------------------
                          ডাঃ মোঃ আতাউর রহমান
                          D.H.M.S (B.H.B) DHAKA
                          B.H.M.S(count) (B.H.B) DHAKA
                          Mobile : 01916133246

                                   চেম্বারঃ
                                ---------------
                          সাদিক হোমিও হল
          মুন্সিরহাট বাজার, (অগ্রণী ব্যাঙ্কের নীচতলা)
                       সদর জেলা - ঠাকুরগাঁও।
=====================================

মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭

Google review of Sadik homeo hall, Munshirhat Market, Thakurgaon sadar https://www.google.com/maps/reviews/data=!4m5!14m4!1m3!1m2!1s110703868620194742181!2s0x39e493c12b9f0caf:0xdcd3ea1a1de96363?hl=en-BD
Google review of Sadik homeo hall, Munshirhat Market, Thakurgaon sadar https://www.google.com/maps/reviews/data=!4m5!14m4!1m3!1m2!1s110703868620194742181!2s0x39e493c12b9f0caf:0xdcd3ea1a1de96363?hl=en-BD

শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০১৭

হেপাটাইটিস-বি প্রতিকারে হোমিওপ্যাথি

হেপাটাইটিস-বি প্রতিকারে হোমিওপ্যাথি

 

অনেকেই মনে করেন জন্ডিস এবং হেপাটাইটিস-বি একই রোগের ভিন্ন নাম। আসল ছবিটা কিন্তু অন্যরকম। জন্ডিসের লক্ষণ দেখা দিলেও হেপাটাইটিস-বি অনেক বেশি বিপজ্জনক। এ রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করতে হোমিওপ্যাথিক প্রতিবিধান নিয়ে আজকের নিবন্ধ।

হেপাটাইটিস-বি লিভারের একটি মারাত্মক রোগ। হেপাটাইটিস-বি নামক একটি ভাইরাস এই রোগের কারণ। হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস মূলত লিভারকে আক্রমণ করে লিভার কোষ ধ্বংস করে তা অকেজো করে দেয়। বাস্তবে হেপাটাইটিস-বি এইডসের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি সংক্রামক। এটি এইডসের ভাইরাস এইচআইভির চেয়ে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সংক্রমণ করে। ফলে রোগী লিভার সিরোসিস বা ক্যান্সারে দ্রুত আক্রান্ত হয়।

পৃথিবীতে এইডসের কারণে প্রতি বছর যত লোক মৃত্যুবরণ করে, হেপাটাইটিস- বি এর কারণে তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। তামাকের পর একে দ্বিতীয় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী হিসেবে গণ্য করা হয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৫% হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদি বাহক এবং ২০ ভাগ লিভার সিরোসিস বা ক্যান্সারের কারণে মারা যায়। দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে।

হেপাটাটিস-বি কীভাবে হয় :

* সংক্রমিত সুচের মাধ্যামে রক্তদান, রক্ত গ্রহণ বা সংক্রমিত রক্ত গ্রহণ অর্থাৎ রক্ত পরিসঞ্চালনের মাধ্যমে এই রোগ হয়। পেশাদার রক্তদাতাদের ২৯ ভাগই হলো এ রোগের বাহক।
* সংক্রমিত লোক বা বাহকের টুথব্রাশ, ইনজেকশনের সুচ, রেজার ইত্যাদির মাধ্যমে অন্য লোকে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়।
* সংক্রমিত পুরুষ থেকে নারীতে অথবা নারী থেকে পুরুষে যৌন মিলনের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়।
* এ ছাড়াও জন্মের সময় বাহক মা থেকে নবজাতকের শরীরে সংক্রমিত হয়।

কারা এই রোগ সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ :

* স্বাস্থ্য কর্মীরা
* যাদের ঘন ঘন রক্তের প্রয়োজন
* মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা
* হেপাটাইটিস-বি বাহক মা থেকে যেসব সন্তানের জন্ম হয়
* বেপরোয়া বা অবাধ যৌন জীবনযাপনে অভ্যস্ত মানুষ
* যাদের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তাদের এই রোগের সংক্রমনের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে।

হেপাটাইটিস-বি এর উপসর্গ :

* জ্বর
* মাথাব্যথা
* দুর্বলতা
* খাওয়ায় অরুচি বা ক্ষুধামন্দা
* বমি
* হলুদ ইউরিন
* ত্বক এবং চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া।

রোগ নির্ণয় :

উপরোক্ত উপসর্গ ছাড়াও রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে হেপাটাইটিস-বি আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়। রক্ত পজিটিভ হলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করতে হবে। উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে হেপাটাইটিস-বি থেকে আরোগ্য লাভ সম্ভব। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসার উদ্দেশ্য হচ্ছে লিভার কোষ ধ্বংসের গতি বন্ধ করা এবং শরীরকে ভাইরাসমুক্ত করা।

প্রতিরোধ :

* রক্ত পরিসঞ্চালনের সময় দাতার রক্তে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিতে হবে। রক্ত পরিসঞ্চালনের আইন অনুযায়ী এ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।

* একজনের ব্যবহার্য টুথব্রাশ, ইনজেকশনের সুচ, দাড়ি কাটার রেজার ইত্যাদি অন্যজনের ব্যবহার করা উচিত নয়।
* যৌন মিলনের সময় অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে।

হোমিওপ্যথিক প্রতিবিধান :

হোমিওপ্যাথিতে হেপাটাইটিস-বি রোগে ওষুধ নির্বাচন করা খুব সহজ নয়। এই রোগ আরোগ্য হওয়ার জন্য যে ওষুধগুলো ব্যবহৃত হয় তা সংক্ষেপে নিম্নে প্রদত্ত হলো যথা :
মার্কুরিয়াস সলিউবিলিস, নেট্রাম সালফ, হাইড্রাসটিস, চেলিডোনিয়াম, কার্ডুয়াস- মেরিনাস, চিয়োন্যানথাস- ভার্জিনিকা, কার্বোভেজ, ডলিকস, চায়না, লাইকোপোডিয়াম, নাক্সভমিকা উল্লেখযোগ্য। তার পরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থেকে ওষুধ সেবন করা উচিত।

রবিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৭