সন্ধান করুন

শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫

হার্ট এটাক: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকার

হার্ট এটাক: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকার

হার্ট এটাক কি?

আমাদের পুরো শরীরে অনবরত রক্ত সরবরাহ করে চলেছে হৃৎপিন্ড। রক্তের মাধ্যমে পুষ্টি পেয়ে বেঁচে থাকে আমাদের শরীরের কোষগুলো। এই হৃৎপিন্ড নিজে পুষ্টি পায় কোথা থেকে? করোনারিআর্টারি নামে হৃৎপিন্ডের গায়ে থাকে দুটি ছোট ধমনী।এরাই হৃৎপিন্ডে পুষ্টির যোগান দেয়। কোন কারনে এই করোনারি আর্টারিতে যদি ব্লক সৃষ্টি হয় তাহলে যে এলাকা ঐ আর্টারি বা ধমনীর রক্তের পুষ্টি নিয়ে চলে সে জায়গার হৃৎপেশি কাজ করে না। তখনই হার্ট এটাক হয়ে থাকে। এর কেতাবি নাম মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন।

হার্ট এটাকে বুকে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভূত হয়। এই ব্যাথা ২০-৩০ মিনিট স্থায়ী হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী হাসপাতালে পৌছার আগেই মৃত্যুবরন করে। তাই এটি একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি।

কখন হয়?

যেকোন সময় হতে পারে।


ঘুমের সময় হতে পারে


বিশ্রামের সময় হতে পারে


হঠাৎ ভারী কায়িক শ্রমের পর হতে পারে


বাইরে ঠান্ডা আবহাওয়ায় বেরুলেন, তখন হতে পারে


ইমোশনাল স্ট্রেসের জন্য হতে পারে

হার্ট এটাকের কারণ:


এথেরোস্ক্লেরোসিস (Atherosclerosis) – সোজা ভাষায় করোনারি আর্টারিতে রক্তের জমাট বেঁধে যাওয়া ও ধমনী প্রাচীর মোটা হয়ে সহজে রক্ত প্রবাহিত হতে না পারা।


দীর্ঘস্থায়ী করোনারি স্পাজম

হার্ট এটাকের কিছু অনিয়ন্ত্রণ যোগ্য রিস্ক ফ্যাক্টর আছে। যেমন-


বয়স

লিঙ্গ

বংশগত

হার্ট এটাকের কিছু নিয়ন্ত্রণ যোগ্য রিস্ক ফ্যাক্টর আছে। যেমন-


ধুমপান

উচ্চ রক্তচাপ

হাইপার লিপিডেমিয়া

ডায়াবেটিস

মুটিয়ে যাওয়া

কায়িক পরিশ্রমের অভাব

উচ্চচর্বি জাতীয় খাদ্য গ্রহন ও আঁশ জাতীয় খাদ্য কম খাওয়া

মানসিক চাপ

মদ্যপান

হাইপো-ইস্ট্রোজেনোমিয়া

জন্মনিয়ন্ত্রক পিল

কিভাবে বুঝবেন হার্ট এটাক?

বুকে প্রচন্ড ব্যাথা হবে। এরকম লাগতে পারেঃ


হঠাৎ অনুভব করবেন ভারি কিছু একটা যেন বসে আছে আপনার বুকের উপর

একটা ব্যাথার ব্যান্ড বুকের চারপাশে অনুভব করবেন

বুকের ব্যাথা মনে হবে যেন বুক চিপে ফেলছে

হজম হবে না পেটের উপরের অংশে জ্বালাপোড়া করবে

এছাড়াও

ছোট ছোট শ্বাস প্রশ্বাস

ঘেমে যাওয়া

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

ঝাপসা দেখা

বমি এসব হতে পারে

তখন কি করা যাবে না?


নিজে নিজে গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে রওনা দেবেন না

এক মুহুর্ত দেরি করবেন না হাসপাতালে যেতে।

কি করা উচিত?


হার্ট এটাক ধরতে পারলে রোগিকে তাৎখনিক এসপিরিন/ ওয়ারফেরিন জাতীয় ওষুধ খাইয়ে দেয়া ভাল। এতে রক্ত জমাট বাঁধা বন্ধ হবে।


জিহবার নিচে নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে দিতে হবে।

রোগিকে আশ্বস্ত রাখা

চিকিৎসা:

হাসপাতালে নেবার পর ডাক্তার নানান ধরনেরচিকিৎসা দিতে পারেন। প্রয়োজন মোতাবেক ডাক্তার আপনাকে –


ECG করতে পারেন

কৃত্তিম উপায়ে অক্সিজেন দিতে পারেন

আপনার হাতে intra venous ফ্লুইড (মেডিসিন) দিতে পারেন

নাইট্রোগ্লিসারিন দিতে পারেন

এছাড়াও আপনার চিকিৎসক আপনাকে অবস্থা বুঝে অন্যান্য চিকিৎসা দিতে পারেন।

সার্জারি:

যদি মেডিসিনে কাজ না হয় তাহলে আপনাকে সার্জনের টেবিলে যেতে হবে যেখানে-

এনজিওগ্রাম করে দেখা হবে আপনার ব্লক কতটুকু


যদি ব্লক বেশি হয়, আর অষুধে কাজ হবে না বলে মনে করেন তাহলে আপনাকে এনজিওপ্লাস্টি করাতে হবে। এই পদ্ধতিতে আপনার ছোট হয়ে যাওয়া ধমনীতে কতগুলো মাইক্রো-রিং পরিয়ে দেয়া হবে।


যদি এরপরও ভবিষ্যতে আবার হার্ট এটাক হয় তাহলে এমনকি ওপেন হার্ট সার্জারি বা বাইপাস সার্জারি করতে হতে পারে। এক্ষেত্রে সার্জন আপনার সার্জারি করে আপনার হার্টের ধমনীটিকে পা থেকে একটি শিরা (গ্রেট সাফেনাস ভেইন) কেটে নিয়ে সেটি দিয়ে ধমনীর সমস্যাযুক্ত অংশদিয়ে স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহের একটি বাইপাস রাস্তা তৈরি করে দিতে পারেন।


এছাড়াও আপনার চিকিৎসক আপনাকে অবস্থা বুঝে অন্যান্য চিকিৎসা দিতে পারেন।

প্রতিরোধ:


ধুমপান না করা

মাদক থেকে দূরে থাকা

দুশ্চিন্তা না করা

রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন

কলেস্টেরন নিয়ন্ত্রন

চর্বি জাতীয় খাদ্য কম খাওয়া

শাকসবজি – ফল বেশি খাওয়া

দেহের অতিরিক্ত ওজন ঝেড়ে ফেলা

প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম করা । অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা

এখনএ সম্পর্কে কিছু জানলেন। এবার সাবধানে থাকুন, ভাল থাকুন।
ডিসক্লেইমার: উপর্যুক্ত তথ্য শুধু জ্ঞানার্জনের জন্য। রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া চিকিৎসা আইনত দন্ডনীয়।

বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৫

গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩ মাস যে বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকবেন

গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩ মাস যে বিষয় গুলোতে সতর্ক থাকবেন

যদিও অনেকটাই বোঝা যায় না, কিন্তু গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস যে কোন মায়ের কাছেই ভীষণ জাদুকরি বলেই মনে হয়। নতুন প্রাণের আগমনের খবর উদ্বেলিত করে তোলে নতুন মায়ের জীবন। শুধু মায়ের জন্য নয়, সন্তানের জন্যও এই সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। তাই দরকার সচেতনতার। যেহেতু সন্তানের একদম প্রথম পর্যায় এটি, তাই মাকে হতে হবে অনেক বেশি সতর্ক। কিন্তু বললেই তো আর সতর্ক হওয়া যায়না, কারন অনেক ক্ষেত্রেই মায়েরা বুঝতে পারেন না যে কি হচ্ছে বা কি হতে পারে। অনেকেরই নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকেনা, জানা থাকেনা কিসে সন্তানের ভাল বা খারাপ হতে পারে। তাই সন্তান গর্ভধারণের এই প্রথম পর্যায়টি অনেকের জন্যই হতে পারে ক্ষতিকারক, যদি সঠিক যত্ন না হয়। সন্তান গর্ভধারণের প্রথম পর্যায়ের মায়েদের শারীরিক অবস্থা্র সবকিছু নিয়েই আমাদের এই আয়োজন।

প্রথমেই জেনে নিন আপনি প্রেগন্যান্ট কি না। আজকাল প্রেগন্যান্সি কিট কিনতে পাওয়া যায়। তা দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এসব কিট দিয়ে যে পরীক্ষা করা হয় তার মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ পরীক্ষাই সঠিক হয় বলে ধরা হয়। তবে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হতে চাইলে ডাক্তারের পরামর্শে আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।

নিশ্চিত তো হওয়া গেল, এখন জানা যাক পরবর্তী পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে।

♥ একবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে গেলে এর পরে থেকে সাবধানে চলাফেরা করুন। এলকোহল, ক্যাফেইন, ধুমপান থেকে দূরে থাকুন, তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যেমনই হোক না কেন। কারন এই সময় এসব জিনিস অন্য যে কোন কিছুর থেকেই সবচাইতে বেশি ক্ষতি করে বাচ্চার।

♥ যেহেতু আপনি অন্তঃসত্ত্বা, তাই আপনাকে সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। অতিসত্বর একজন ডাক্তার নির্বাচন করুন। ডাক্তার নির্বাচন করার আগে কিছু জিনিষ মনে রাখবেন। যেমন- ডাক্তারের সাথে যে কোন সময় যোগাযোগ করা সম্ভব কি না, যে কোন দরকারে তাকে পাওয়া যাবে কি না। সেই সাথে দূরত্বটাও খেয়াল রাখবেন। যেহেতু আপনি অন্তঃসত্ত্বা তাই এ সময় বেশি চলাচল করতে পারবেন না। কেননা তা বাচ্চার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই ডাক্তারের কাছে অল্প সময়ে যেন পৌঁছানো যায় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।

♥ অন্তঃসত্ত্বা হবার কারনে শরীরে বেশ কিছু হরমোন পরিবর্তন ঘটে। যার ফলে বমি ভাব, মাথা ঘোরা, খেতে না পারা, শরীর খারাপ ভাব হতে পারে। তবে সবাইকে যে এই সকল পরিস্থিতি পার করতে হয় তাও নয়, অনেক মায়ের মধ্যেই এসবের কোনটি বা কখনও কখনও একটিও উপসর্গ দেখা যায় না। এমন কিছু হলে ভয় পাবেন না, আবার না হলেও ভয় পাবেন না। বেশি বমি হলে সকালে উঠে লেবু পানি খেতে পারেন। আর মাথা বেশি ঘোরালে শুয়ে পড়ুন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যাবে।

♥ এছাড়াও হরমোন ঘটিত পরিবর্তনের কারনে এ সময় স্তনের আকারে পরিবর্তন হওয়া শুরু হয় ধীরে ধীরে। সেই কারণে স্তনে ব্যথা হবে ও স্তন নরম হয়ে যাবে। এমনটা হলে ভয় পাবেন না। মনে রাখবেন এই পরিবর্তন আপনার সন্তানের জন্য জরুরি।

♥ সন্তান গর্ভে ধারণ করার ফলে কিছু শারীরিক পরিবর্তনও ঘটে। যেহেতু সন্তান জরায়ুতে ধারণ করা হয় ও জরায়ুর অবস্থান থাকে প্রসাবের নালীর উপরে, তাই বাচ্চার বৃদ্ধির সাথে সাথে জরায়ু প্রসাবের নালির উপরে কিছু চাপ ফেলে। ফলে প্রসাবের পরিমান বেড়ে যাবে। এই সমস্যা প্রথম ৩ মাস এবং শেষ ৩ মাসের মধ্যেই প্রবল থাকে বেশি।

♥ এছাড়াও অনেক অন্তঃসত্ত্বা নারীরই রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারো রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, আবার কারো বা কমে যেতে পারে। সেই সাথে দেখা দিতে পারে সুগারের সমস্যা। তাই সন্তানের গর্ভধারণের পরপর ডাক্তারের পরামর্শে সব কিছুর পরীক্ষা একবার করে নিয়ে দেখতে হবে গর্ভাবস্থা স্বাভাবিক আছে কি না। এমন কোনও সমস্যা দেখা দিলে নিয়মিত চেকআপের মধ্যে থাকতে হবে।

♥ বুক জ্বালা করা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে অনেক মায়ের। অন্তঃসত্ত্বা নারীর খাবার হজম হতে ও পেট খালি হতে অন্য নারীদের তুলনায় বেশি সময় লাগে, কারন গর্ভস্থ বাচ্চার খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহন করতে সময় লাগে একটু বেশি। কিন্তু এই কারণটাই গর্ভবতী নারীর জন্য হয়ে যায় কষ্টের কারণ। এর ফলেই গর্ভবতী নারী শিকার হতে পারেন কোষ্ঠকাঠিন্য ও বুক জ্বালা করা রোগের। ঘাবড়ে যাবেন না। দরকার পড়লে ডাক্তারের পরামর্শে কোন ওষুধ সেবন করতে পারেন।

♥ এছাড়াও একজন গর্ভবতী নারী গর্ভ ধারণ করেছেন এটা জানার পরে আনন্দিত, উদ্বিগ্ন, প্রফুল্ল ও ক্লান্ত ইত্যাদি সব ধরনের অনুভূতি অনুভব করেন। এত সব কিছু এক সাথে মানিয়ে নেয়াটাও একটা বড় ব্যাপার হয়ে দেখা দেয়। অনেকেই ঠিক মত মানিয়ে নিতে পারেন না নতুন পরিস্থিতির সাথে। ফলে শিকার হন মুড সুইং এর। সেই সাথে নানা রকম “হরমোনাল চেঞ্জ” এর কারণে রাগ বা খারাপ লাগা অনুভুত হতে পারে। এমন কিছু হলে অধিক উত্তেজনা পরিহার করে চলতে হবে। কারণ বেশি উত্তেজনা গর্ভস্থ সন্তানের জন্য ভাল নয়।

♥ সঙ্গীর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটু ধৈর্য ধরুন। মনে রাখতে হবে আপনি যেমন মা হচ্ছেন, তেমনই তিনিও বাবা হচ্ছেন। তার কোন ভুল দেখতে পেলে তার সাথে রাগারাগি না করে সাহায্য করুন, সেই সাথে আপনার কোন কিছু খারাপ লাগলে তাকে জানাতে ভুলবেন না।

♥ মনে রাখবেন আপনি যে কাজ করছেন তা “প্রেগন্যান্সি সেফ” কিনা জেনে নিন। ভারি কোন কাজ একদম করতে যাবেন না। মনে রাখবেন প্রথম তিন মাস খুব সাবধানী হতে হবে কারণ এই তিন মাসেই এবরশনের হার সবচাইতে বেশি থাকে। সেই সাথে এমন খাবার খাবেন না যা বাচ্চার জন্য খারাপ হবে। পেঁপে, আনারসের সাথে সাথে কাঁচা বা আধা সিদ্ধ প্রোটিন যেমন মাছ, মাংস, ডিম এসব পরিহার করে চলতে হবে। প্রোটিন ভালো করে রান্না করে তবেই খাবেন। সেই সাথে গলিত চিজ বা এই জাতীয় খাবারও পরিহার করে চলবেন। প্রথম ৩ মাস খেতে কষ্ট হয়, কিছু খেতে ইচ্ছা করেনা তাও বাচ্চার কথা চিন্তা করে যতটা সম্ভব ততটা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

♥ ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক কোন ওষুধ খাবার থাকলে তা খাবেন। এমনকি গ্যাসের সমস্যা বা মাথা ব্যাথা বা জ্বর হলেও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেতে যাবেন না। এতে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।

♥ ঘুমের সময় বাড়িয়ে দিন। দিনে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা করে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। এছাড়াও সারাদিনের কাজের ফাঁকে ফাঁকে হালকা বিশ্রাম নিতে পারেন। মনে রাখবেন সন্তান সবার কাছেই মূল্যবান। সবাই চাইবে সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে। তাই কষ্ট হলেও সন্তানের ভালোর জন্য সাবধানে সবকিছু মেনে চলার চেষ্টা করুন। সেই সাথে নিয়মিত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখুন। বিশ্রামে থাকুন, উত্তেজিত থাকবেন না, সেই সাথে উদ্বেগ না হয় এমন কিছু করবেন না ও ভয় পাবেন না। সব থেকে বড় কথা হল নিজের খেয়াল রাখুন। আপনি ভাল থাকলেই আপনার সন্তানও ভাল থাকবে।

মহিলা এবং পুরুষ বন্ধাত্বে ( Infertility ) কার্যকর হোমিও চিকিৎসা নিন

বিবাহিত দম্পতিদের সন্তান না হওয়ার বিড়ম্বনা সব সমাজেই বিদ্যমান। সাধারণত ২০-৩৫ বছর বয়স্ক দম্পতিরা একত্রে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে জীবনযাপন করে এবং কোন প্রকার জন্মনিয়ন্ত্রণের সাহায্য না নিয়ে যদি এক বছরের মধ্যে সন্তান উৎদপাদনে সক্ষম না হন তাহলে তাদের বন্ধাত্ব হয়েছে বলা যাবে। যদি স্ত্রীর বয়স ২৫ কিংবা তার বেশি হয়, তাহলে সময়সীমা (দাম্পত্য জীবন) হবে ছয় মাস। এক সমীক্ষায় জানা যায়, ২০-৪০ বছর বয়সের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ২০ শতাংশ সন্তান উৎপাদনে অক্ষম। সন্তানহীন দম্পতিদের মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষের দোষেই এটা হয়ে থাকে। অথচ সন্তানহীনতার দায় অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের বহন করতে হয়। অনেক মেয়েকে এ জন্য অনেক নির্যাতনও সহ্য করতে হয় পরিবার ও সমাজের কাছ থেকে। সন্তানহীনতার অভিযোগে স্ত্রীকে ত্যাগ করে অনেক স্বামী আবারো বিয়ে করে থাকেন সন্তানের আশায়। কিন্তু বাস্তবে সন্তান না হওয়ার দায় কেবল স্ত্রীর নয়, স্বামীরও। তাই সন্তানহীন দম্পতি পরীক্ষার সময় স্বামী ও স্ত্রী উভয়কেই ভালোভাবে পরীক্ষা করা উচিত।

এখানে সন্তানহীনতার বিষয়টিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা হলেও ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে এর প্রকৃত কারণ বোঝার দরকার আছে।
কুরআনের সূরা আশ-শূরা, আয়াত ৪৯-৫০-এ বলা হয়েছে, " নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তায়ালারই। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি
করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দান করেন। অথবা তাদের দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বìধ্যা করে দেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজন ও ক্ষমতাশীল। "

তাই যারা মুসলিম তাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানের কারণ উপাত্ত জানার পরও কুরআনের আলোকে বিষয়টিকে বুঝতে হবে। এ ছাড়া চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকেও দেখা যাচ্ছে, স্বামী-স্ত্রী সব দিক থেকে স্বাভাবিক হলেও এবং নিয়ন্ত্রণহীন নিয়মিত সহবাস করলেও যে তাদের সন্তান হবেই এ কথা বলা যায় না। সুস্খ, স্বাভাবিক এবং ইচ্ছুক দম্পতিদের সন্তান কবে হবে তা সব সময় বলা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে সব সময়েই কিছু অনিশ্চয়তা থেকে যায়। তাই কুরআনের ওই সিদ্ধান্তকেই সবার স্মরণে রাখা উচিত।

আমরা জেনেছি, বছরব্যাপী স্বাভাবিক দাম্পত্যজীবনে সন্তান না এলে তাকে বন্ধাত্ব হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যেসব ক্ষেত্রে মহিলার গর্ভসঞ্চার হচ্ছে, কিন্তু জীবিত সন্তান প্রসব হচ্ছে না। এটাও এক ধরনের বন্ধাত্ব। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত স্বামীর ত্রুটি থাকে না। যেসব ক্ষেত্রে গর্ভধারণ একবারো হয়নি, সেখানে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই ত্রুটি থাকতে পারে। আবার অনেক সময় প্রথম সন্তানের পর দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দম্পতির ইচ্ছা এবং চেষ্টা সত্ত্বেও বিলম্বিত হয়। এ-ও একধরনের বন্ধাত্ব। একে সাময়িক বন্ধাত্ব বলা হয়।

পুরুষের যেসব অসুখের কারণে স্ত্রীর সন্তান লাভ সম্ভব হয় না
তার মধ্যে রয়েছে অন্তস্রাবী গ্রন্থির অসুখ, যেমন হাইপোথ্যালামাসের রোগ, কলম্যানস সিনড্রম। এটি একটি বংশগত রোগ। পিটুইটারী গ্রন্থির অসুখ, যেমন টিউমার, সিস্ট ইত্যাদি। থাইরয়েড হরমোনের অভাব বা মিক্সিডিমা। এ ছাড়া রয়েছে জিনঘটিত কারণ যেমন- প্রকৃত যৌন গ্রন্থির অভাব, জন্মগতভাবে অণ্ডকোষ না হওয়া ইত্যাদি। আবার 'ক্লাইন ফেলটার সিনড্রোম নামক একপ্রকার ক্রোমজমের অসুখের ফলেও শুক্রকীটের অভাব হতে পারে।

অন্তস্রাবী গ্রন্থি ছাড়াও আরো অনেক কারণে পুরুষ বন্ধাত্ব দেখা দিতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে পুষ্টির অভাব, বিশেষত ভিটামিন বি এবং ই। অতিরিক্ত ধূমপান, অতিরিক্ত মদপান। অতিরিক্ত গরমে যারা কাজ করেন, যেমন- বাস, ট্রাকচালক, খনিশ্রমিক। এদের শুক্রকীটের পরিমাণ কম হতে পারে। কারণ শুক্রকীটের জন্ম ও বৃদ্ধির জন্য একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার প্রয়োজন। ভেরিকোসিল, জীবাণু সংক্রমণ, মাম্পসের কারণে অণ্ডকোষের প্রদাহ, গনোরিয়া, যক্ষ্মা, কিডনি, মূত্রনালী বা মূত্রাশয়ের সংক্রমণ, ডায়াবেটিস মেলাইটাস, শুক্রকীটের গতিপথে কোনো প্রকার বাধা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব, প্রভৃতি কারণেও পুরুষের বন্ধাত্ব হতে পারে।

ক্যান্সারের ওষুধ ব্যবহার, মানসিক অবসাদের ওষুধ, ম্যালেরিয়ার ওষুধ, কিছু উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, বিকিরণ বা রে, ইত্যাদিও বন্ধাত্বের কারণ হতে পারে। বন্ধাত্বের এসব জানা কারণ ছাড়াও ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনো কারণ পাওয়া যায় না। এ জন্য নিঃসন্তান দম্পতিদের চিকিৎসায় রোগীর ইতিহাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষের ইতিহাসে তার শৈশব ও বাল্যকালের অসুখ, পুরাতন ও দীর্ঘস্খায়ী অসুখ, পারিবারিক অসুখ, পেশা, ধূমপান, মদ্যপানের ইতিহাস, ওষুধের নেশা, শল্য চিকিৎসা ও আঘাতের বিবরণ এবং বিবাহিত জীবনের ইতিহাস। পুরুষের বীর্য পরীক্ষা ছাড়াও প্রয়োজন হতে পারে টেসটিসের বাইয়পসি, বীর্য কালচার, বিভিন্ন হরমোনের পরিমাণ, ক্রোমজম পরীক্ষা ইত্যাদি।

মহিলাদের যেসব কারণে বìধ্যত্ব দেখা দিতে পারে,
যেমন- যেকোনও দীর্ঘস্খায়ী অসুখ, পুষ্টির অভাব বা অতিরিক্ত মেদবহুল আতঙ্ক বা ভয়, জরায়ু মুখের অসুখ, জরায়ুর অসুখ, জন্মগতভাবে জরায়ু না থাকা বা ছোট জরায়ু, এক বা দুই শৃঙ্গযুক্ত জরায়ু, দুই ভাগে বিভক্ত জরায়ু, জরায়ুতে জীবাণুর সংক্রমণ (টিবি, গনোরিয়া) জরায়ুতে টিউমার ইত্যাদি।

মহিলাদের বন্ধাত্বের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এন্ডোমেট্রিওসিস, যা সাধারণত ৩০-৩৫ বছর বয়স্ক মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা দেয়। বিলম্বে বিবাহ এবং সন্তান সম্ভাবনা বিলম্বিত করা এর একটি প্রধান কারণ। এর প্রধান লক্ষণ ঋতুস্রাবের সময় ব্যথা, যৌন মিলনে ব্যথা, তলপেটে ব্যথা।

ডিম্বনালীর অসুখের কারণেও বন্ধাত্ব হতে পারে।
ডিম্বনালীর প্রধান কাজ ডিম্বাণু ও শুক্রকীটের মিলনের স্খান ঠিক করা এবং ভ্রূণের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনের সৃষ্টি করা। এই ডিম্বনালী যখন জীবাণুর দ্বারা সংক্রমিত হয় তখন এর শ্লেষ্মাঝিল্লির ক্ষতি হয়। আমাদের দেশে টিবি, গনোরিয়া, স্ট্যাকাইলোকক্কাস, স্ট্রেপ্টোকক্কাস, বিকোলাই ইত্যাদি জীবাণুর সংক্রমণ ডিম্বনালীতে বেশি হয়ে থাকে। শল্য চিকিৎসার কারণেও ডিম্বনালী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যেমন- ডিএন্ডসি, এন্ডোমেটিয়াল বাইয়পসি বা অ্যাপেন্ডিক্সের অপারেশনের ফলেও ডিম্বনালীর অসুখ হতে পারে।

হরমোনের অভাবেও বন্ধাত্ব দেখা দেয়।
মহিলাদের ঋতুচক্র এবং ডিম্বাণু নির্গত হওয়া নানা অন্তস্রাবী গ্রন্থির হরমোনের ওপর নির্ভরশীল। এর যেকোনো হরমোনের অভাবে তাই বন্ধাত্ব দেখা দিতে পারে। যেমন- হাইপোথেলামসের আঘাত, টিউমার, পিটুইটারি গ্রন্থির টিউমার; অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির টিউমার, থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখ, ডিম্বাশয়ের অসুখ - টিউমার, সিস্ট ইত্যাদি কারণে হরমোনের গোলমাল দেখা দিয়ে থাকে। নারীর শরীরজাত অ্যান্টিবডিও অনেক সময় পুরুষের শুক্রকীট ধ্বংস করে দেয় বা শুক্রকীটের জরায়ু মুখে প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করে। এই অ্যান্টিবডি পুরুষের রক্ত বা বীর্যে এবং মেয়েদের রক্ত বা জরায়ুমুখের শ্লেষ্মাঝিল্লিতে পাওয়া যায়।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে, মানসিক চাপ। অত্যধিক মানসিক চাপ বন্ধাত্বের কারণ হতে পারে বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এখন একমত। এমনকি সন্তান লাভের অদম্য বাসনাও সন্তান ধারণে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। এ জন্য সন্তান লাভে ইচ্ছুক দম্পতিদের সম্পূর্ণ স্বাভাবিক মানসিক ও শারীরিক অবস্খাতেই সন্তান লাভে চেষ্টা করা উচিত। তাই কোনরূপ ভয়, আতঙ্ক, দুশ্চিন্তা না করে মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত কামনা করে সন্তান লাভের চেষ্টা করলে তারা সফল হতে পারবেন।

হোমিওপ্যাথি একটি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান
বিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক, যারা এ বিষয়ে প্রশিক্ষিত, তারা নিঃসন্তান দম্পতিদের চিকিৎসা দিতে পারেন । এ ব্যাপারে বাজারে যেসব বাণিজ্যিক প্রচারণা রয়েছে তাতে প্রলোভিত না হয়ে অভিজ্ঞ কোন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তিনি রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দিতে পারবেন। মনে রাখবেন, চিকিৎসায় যারা গ্যারান্টি দেবে এবং চুক্তিবদ্ধ হবে তারা আপনার সাথে প্রতারণার আশ্রয় নেবে। সঠিক কারণ নির্ণয় করে যথাযথ হোমিও চিকিৎসা গ্রহণ করলে নিঃসন্তান দম্পতিরা উপকার পাওয়ার আশা করতে পারেন।

সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৫

ফিস্টুলা রোগের লক্ষণ ও এর প্রতিকার

ফিস্টুলা রোগের লক্ষণ ও এর প্রতিকারঃ

ফিস্টুলা বা ভগন্দর পায়ুপথের একটি রোগ। রোগটির জন্ম হয় মলদ্বারের বিশেষ ধরনের সংক্রমণের কারণে।

মলদ্বারের ভেতরে অনেকগুলো গ্রন্থি রয়েছে। এগুলোর সংক্রমণের কারণে ফোঁড়া হয়। এক সময় এই ফোঁড়া পেঁকে যায় এবং ফেটে গিয়ে মলদ্বারের চতুর্দিকের কোনো এক স্থানের একটি ছিদ্র দিয়ে পুঁজ নির্গত হতে থাকে। মলদ্বারের আশেপাশের কোনো স্থানে এক বা একাধিক মুখ দিয়ে মাঝে মাঝে পুঁজ বের হয়ে আসাকে ফিস্টুলা বা ভগন্দর বলা হয়। মলদ্বারের ক্যান্সার এবং বৃহদান্ত্রের প্রদাহজনিত রোগেও ফিস্টুলা হয়ে থাকে। মলদ্বারের যক্ষ্মার কারণেও ফিস্টুলা হতে পারে।

ফিস্টুলার প্রকারভেদঃ

ফিস্টুলা সাধারণতঃ দুটি পর্যায়ের হয়ে থাকে। একটি সাধারণ ফিস্টুলা, এটি মলদ্বারের মাংসপেশির খুব একটা গভীরে প্রবেশ করে না। ফলে এর চিকিৎসা তুলনামূলকভাবে সহজসাধ্য।

আরেকটি হলো জটিল ফিস্টুলা। এর বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। এটা নির্ভর করে এর শেকড় মলদ্বারের মাংসের কতটা গভীরে প্রবেশ করেছে। এপর্যায়ে চিকিৎসার প্রধান সমস্যা হচ্ছে সঠিকভাবে অপারেশন করতে ব্যর্থ হলে রোগী মল আটকে রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে।

ফিস্টুলার লক্ষণঃ

ফিস্টুলা বা ভগন্দর রোগের লক্ষণ মূলত তিনটি।
১. মলদ্বার ফুলে যাওয়া,
২. মলদ্বার ব্যথা হওয়া,
৩. পুঁজ বা আঠাল পদার্থ বের হওয়া।
এছাড়াও সব সময় অশান্তি আরও একটা প্রধান লক্ষন।

ফিস্টুলা পরীক্ষাঃ

রোগ নির্ণয়ের জন্য বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। যেমন –
১. প্রক্টস্কপি, সিগময়ডস্কপি
২. কোলনস্কপি
৩. বেরিয়াম এক্স-রে
৪. ফিস্টুলো গ্রাম
৫. এনাল এন্ডোসনোগ্রাফি

চিকিৎসাঃ

অনেক রোগীরই ফোঁড়া ফেটে গিয়ে পুঁজ বের হয়ে গেলে ব্যথা এবং ফোলা কমে যায়। সমস্যা একটানা না থাকার কারণে অনেকেই ভাবেন, হয়তো ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু মাস দুয়েকের ভেতর আবার সমস্যা দেখা দেয়। তাই সমস্যার প্রথমদিকেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।লক্ষন অনুযায়ি নিম্নলিখিত ঔষধ প্রয়োগ করা যেতে পারে।

=) Silicea - 30। হতে ক্রমান্বয়ে উচ্চশক্তি উক্ত রোগের উৎকৃষ্ট ঔষধ। এর পুঁয দুর্গন্ধযুক্ত এবং পাতলা। খোঁচামারার ন্যায় বেদনা হয়।

=) Heper Sulfer - 3x, 6, 30। এতে অত্যন্ত বেদনা এবং কিছুদিন থেকে হঠাৎ সেই বেদনা স্ফোটকে পরিণত হলে Heper প্রয়োগে খুব শীঘ্র ফোড়া ফেটে যায়, এবং রোগী উপশম লাভ করে।

=) Myristica -3x। এর বেদনা যন্ত্রনা Heper থেকে অনেক বেশি প্রবল। যদি Heper এ উপশম না হয়, তবে ইহা প্রয়োগে রোগী উপশম বোধ করবে। তবে মনে রাখতে হব, Heper এর আগে Myristica কখনও প্রয়োগ করা যাবেনা।

=) Acid Flur -30, 200। ইহা Silicea এর একটি এন্টিডোট এবং ফিস্টুলায় উপকারী।

=) Sulfer - 30, 200। মলদ্বার ফোলে, দপদপ করে, মল ত্যাগের পরে ছুরী বেঁধার মত বেদনা বর্তমান । এটা খুব উচ্চশক্তি প্রয়োগ করতে হয়। Dr. Karlton প্রথম Berberis - 30 পরে Sulfer - 30 দিয়ে অনেক রোগী আরোগ্য করেছেন এইরকম মন্ত্যব্য প্রকাশ করেন।

এছাড়াও - ফিস্টুলার সাথে ফুসফুসের কোনও সমস্যা থাকলে Phosphorus, ফিস্টুলা অপসারনের পর Calcarea Phos, মলদ্বারে গরম ও জ্বালাবোধ, দপদপ করা, মলদ্বার ভারীবোধ ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে Alo soc উপকরি।

বিশেষ দ্রষ্ট্যবঃ কোনও ঔষধ সেবনের আগে অবশ্যই ডাঃ এর কাছে পরামর্শ নিবেন। প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন নিম্ন ঠিকানায়।

=> সাদিক হোমিও হল
মুন্সিরহাট বাজার (অগ্রণী ব্যাঙ্কের নীচতলা),
সদর জেলা- ঠাকুরগাঁও।
মোবাইলঃ 01916133246